OrdinaryITPostAd

বিআরটিএ অফিসের বিস্তারিত কার্যক্রম

বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) অফিসের মূল কার্যক্রম হলো দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ। তাদের কিছু প্রধান কার্যক্রম হলো:

  1. রেজিস্ট্রেশন: নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, পুরনো গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নবায়ন।

  2. লাইসেন্স প্রদান: ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন, এবং লাইসেন্সের পরীক্ষার আয়োজন।

  3. ফিটনেস পরীক্ষা: গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা এবং ফিটনেস সনদ প্রদান।

  4. বিভিন্ন ফি সংগ্রহ: গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস পরীক্ষা, লাইসেন্স ইস্যু ইত্যাদির জন্য ফি সংগ্রহ।

  5. পরিবহন নীতিমালা বাস্তবায়ন: সড়ক পরিবহন নীতিমালা ও আইন বাস্তবায়ন এবং নজরদারি।

  6. সার্ভিস সেন্টার পরিচালনা: বিভিন্ন অঞ্চলে সার্ভিস সেন্টার পরিচালনা যা গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে।

বিআরটিএ অফিসে গিয়ে আপনি এসব সেবার বিস্তারিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন।

নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিঃ

নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

  1. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, যেমন:

    • গাড়ির ক্রয়ের রসিদ
    • প্রমাণপত্র (যেমন এনআইডি বা পাসপোর্ট)
    • গাড়ির সনদপত্র (যদি থাকে)
    • গাড়ির ইন্স্যুরেন্স পলিসি
    • ক্রেতার ছবি
  2. স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসে যোগাযোগ: আপনার স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন বা তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দেশনা দেখুন।

  3. ফর্ম পূরণ করুন: ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করুন।

  4. ফি পরিশোধ: রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করুন। ফি পরিমাণ বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন হতে পারে।

  5. নির্ধারিত সময়সীমায় পরীক্ষা: কিছু জায়গায় গাড়ির টেকনিক্যাল পরীক্ষা হতে পারে। যদি আপনার জায়গায় এটি প্রযোজ্য হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করুন।

  6. রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন: সমস্ত কাগজপত্র ও ফি পরিশোধের পর ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে একটি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা নাম্বার প্লেট প্রদান করা হবে।

উল্লেখযোগ্য যে বিভিন্ন অঞ্চলে বা দেশের আইন অনুযায়ী কিছু ধাপ পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপনার স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসের নির্দেশনা অনুসরণ করা সর্বোত্তম।

পুরনো গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনঃ

পুরনো গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য সাধারণত আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই পদ্ধতিগুলি বাংলাদেশে সাধারণত প্রযোজ্য:

  1. ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন:

    • গাড়ির মূল কাগজপত্র (Registration Book, গাড়ির কাগজপত্র)
    • বিক্রেতার পরিচয়পত্র (National ID Card)
    • ক্রেতার পরিচয়পত্র (National ID Card)
    • ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সই করা বিক্রয় চুক্তিপত্র (Sale Agreement)
    • পত্রিকা বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশ (যদি প্রয়োজন হয়)
  2. ফর্ম পূরণ করুন:

    • মালিকানা পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় পরিবহন অফিস থেকে নির্ধারিত ফর্ম সংগ্রহ করুন এবং পূরণ করুন।
  3. ফি জমা দিন:

    • মালিকানা পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিন।
  4. গাড়ি পরিদর্শন:

    • কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির পরিদর্শনও করতে হতে পারে।
  5. নতুন মালিকানার জন্য আবেদন করুন:

    • পূর্ণ করা ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্থানীয় পরিবহন অফিসে গিয়ে মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন জমা দিন।
  6. মালিকানা পরিবর্তনের প্রমাণ সংগ্রহ করুন:

    • আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নতুন মালিকের নামের গাড়ির কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩