OrdinaryITPostAd

ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার পদ্ধতি

ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়া সাধারণত বিভিন্ন দেশের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে, তবে আমি বাংলাদেশের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলতে পারি:

  1. প্রথম ধাপ: প্রস্তুতি

    • বয়স: প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে (মোটর সাইকেলের জন্য ১৮ বছর এবং গাড়ির জন্য ২১ বছর)।
    • পূর্ব অভিজ্ঞতা: সাধারণত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রয়োজন।
  2. ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ:

    • একটি নিবন্ধিত ড্রাইভিং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া আবশ্যক। প্রশিক্ষণ শেষ করার পর একটি প্রশিক্ষণ সনদ পাবেন।
  3. ডকুমেন্ট প্রস্তুতি:

    • পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র পূরণ করুন।
    • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্মসনদ।
    • পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
    • প্রশিক্ষণ সনদ।
    • প্রয়োজনীয় ফি।
  4. আবেদন প্রক্রিয়া:

    • স্থানীয় পরিবহন অফিস বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে আবেদন জমা দিন।
    • মেডিক্যাল পরীক্ষা (মাথা, চোখের পরীক্ষা ইত্যাদি) পাশ করতে হবে।
  5. লেখাপড়া ও ব্যবহারিক পরীক্ষা:

    • প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে, যা সাধারণত সড়ক নিয়মাবলী সম্পর্কিত।
    • তারপর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে, যেখানে আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা পরীক্ষা করা হবে।
  6. লাইসেন্স সংগ্রহ:

    • পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আপনার লাইসেন্স তৈরির জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এরপর, লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।

লাইসেন্স পেতে কিছু সময় লাগতে পারে, তাই নিয়মিত অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইনে স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে পারেন।


ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন কিভাবে করা হয়ঃ

ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন করার প্রক্রিয়া সাধারণত নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

  1. নবায়ন সময়সীমা যাচাই করুন: আপনার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করা উচিত। সাধারণত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৬ মাসের মধ্যে নবায়ন করা যেতে পারে।

  2. নির্দিষ্ট দপ্তরে যান: আপনার স্থানীয় মোটর ভেহিকল অফিস বা সড়ক পরিবহন অধিদপ্তরে গিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।

  3. ডকুমেন্ট জমা দিন: নবায়নের জন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে, যেমন:

    • পুরনো ড্রাইভিং লাইসেন্স
    • জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো পরিচয়পত্র
    • ছবি (যদি প্রয়োজন হয়)
    • নবায়ন ফি
  4. ফরম পূরণ করুন: অফিসে গিয়ে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে।

  5. টেস্ট (যদি প্রযোজ্য): কিছু ক্ষেত্রে লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য নতুন করে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার লাইসেন্সের মেয়াদ দীর্ঘ সময় ধরে শেষ হয়ে যায়।

  6. ফি পরিশোধ করুন: নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।

  7. নতুন লাইসেন্স সংগ্রহ করুন: সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, নতুন লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।

আপনার নির্দিষ্ট এলাকার নিয়মাবলী অনুসারে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে, তাই স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা ভালো।

গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা হয় কিভাবেঃ

গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েকটি ধাপে বিভক্ত হয়:

  1. সাধারণ পরিদর্শন: গাড়ির বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ অংশ পরিদর্শন করা হয়, যেমন লাইট, উইন্ডস্ক্রিন, সিট, ডোর লক, এবং আরও অন্যান্য ফিচার।

  2. ইঞ্জিন পরীক্ষা: ইঞ্জিনের কার্যকারিতা, পারফরম্যান্স এবং রেসপন্স পরিমাপ করা হয়। ইঞ্জিন তেলের পরিমাণ এবং গুণগত মানও পরীক্ষা করা হয়।

  3. ব্রেক পরীক্ষা: ব্রেক সিস্টেমের কার্যকারিতা, ব্রেক প্যাডের পরিধি, এবং ব্রেক ফ্লুইডের অবস্থাও পরীক্ষা করা হয়।

  4. টায়ার পরীক্ষা: টায়ারের অবস্থা, চাপ এবং প্রোফাইল পর্যালোচনা করা হয়।

  5. সাসপেনশন পরীক্ষা: গাড়ির সাসপেনশন সিস্টেম পরীক্ষা করা হয় যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি সঠিকভাবে কাজ করছে এবং গাড়ির সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখছে।

  6. স্টিয়ারিং পরীক্ষা: স্টিয়ারিং সিস্টেমের সঠিকতা এবং প্রতিক্রিয়া যাচাই করা হয়।

  7. ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম পরীক্ষা: গাড়ির লাইট, হর্ন, উইপার্স এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সিস্টেম পরিদর্শন করা হয়।

এই পরীক্ষাগুলি সাধারণত একজন প্রশিক্ষিত মেকানিক দ্বারা করা হয় এবং গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩