গণতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য
একটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর ও সুস্থ হওয়ার জন্য কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
স্বাধীন ও ন্যায়বান নির্বাচন: একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনগুলি হতে হবে স্বাধীন, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক। সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার থাকতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বতন্ত্র এবং নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
আইনের শাসন: প্রত্যেক নাগরিক ও সরকার আইন মেনে চলবে এবং আইনের চোখে সবাই সমান হবে। আদালতগুলিকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখতে হবে যাতে তারা ন্যায়বিচার প্রদান করতে পারে।
মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা: নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার যেমন বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা রক্ষা করা উচিত।
ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিরীক্ষা: সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে। আইনসভা, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে স্বতন্ত্রতা থাকা উচিত এবং একে অপরের ওপর নিরীক্ষার ক্ষমতা থাকা উচিত।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হওয়া উচিত। জনগণের কাছে তথ্য পাওয়ার অধিকার থাকতে হবে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
নাগরিক অংশগ্রহণ: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে। নীতি নির্ধারণে এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের মতামত ও অবদানের সুযোগ থাকতে হবে।
সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা: সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা উচিত। তাদের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না এবং তাদের নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি একটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে তোলে এবং সমাজের সকল স্তরে সমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url