OrdinaryITPostAd

গণতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য

একটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর ও সুস্থ হওয়ার জন্য কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে:

  1. স্বাধীন ও ন্যায়বান নির্বাচন: একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনগুলি হতে হবে স্বাধীন, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক। সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার থাকতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বতন্ত্র এবং নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

  2. আইনের শাসন: প্রত্যেক নাগরিক ও সরকার আইন মেনে চলবে এবং আইনের চোখে সবাই সমান হবে। আদালতগুলিকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখতে হবে যাতে তারা ন্যায়বিচার প্রদান করতে পারে।

  3. মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা: নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার যেমন বাকস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা রক্ষা করা উচিত।

  4. ক্ষমতার ভারসাম্য ও নিরীক্ষা: সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে। আইনসভা, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে স্বতন্ত্রতা থাকা উচিত এবং একে অপরের ওপর নিরীক্ষার ক্ষমতা থাকা উচিত।

  5. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হওয়া উচিত। জনগণের কাছে তথ্য পাওয়ার অধিকার থাকতে হবে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

  6. নাগরিক অংশগ্রহণ: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে। নীতি নির্ধারণে এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের মতামত ও অবদানের সুযোগ থাকতে হবে।

  7. সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা: সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা উচিত। তাদের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না এবং তাদের নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

এই বৈশিষ্ট্যগুলি একটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে তোলে এবং সমাজের সকল স্তরে সমৃদ্ধি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩