ইসলামের মূলনীতি ও উৎস
ইসলামের মূলনীতি চারটি প্রধান উৎসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা হলো কুরআন, হাদিস, ইজমা এবং কিয়াস। এগুলো ইসলামী শরীয়তের (আইন) ভিত্তি। নিচে এদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
১. কুরআন:
কুরআন হলো ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। এটি ইসলামের প্রধান উৎস এবং সর্বোচ্চ নীতি ও আইন নির্ধারক। কুরআনে জীবনের প্রতিটি দিকের নির্দেশনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আধ্যাত্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক নির্দেশনা।
আরো পড়ুনঃ সঠিক পদ্ধতিতে মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
২. হাদিস:
হাদিস হলো নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কথা, কাজ ও সমর্থন। হাদিস কুরআনের ব্যাখ্যা ও পূর্ণতা প্রদান করে এবং ইসলামিক আইন এবং আচরণের নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে। হাদিস কুরআনের পরে ইসলামের দ্বিতীয় প্রধান উৎস।
৩. ইজমা:
ইজমা হলো ইসলামিক জ্ঞানীদের (মুজতাহিদদের) সর্বসম্মত মতামত বা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। যখন কোন বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকে, তখন ইজমা ব্যবহৃত হয়। এটি ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
৪. কিয়াস:
কিয়াস হলো যৌক্তিক তুলনা বা বিশ্লেষণ, যেখানে কুরআন, হাদিস এবং ইজমার আলোকে নতুন সমস্যার সমাধান করা হয়। এটি ইসলামী ফিকহ বা আইন প্রণয়নের চতুর্থ মূল উৎস।
ইসলামের মূলনীতি:
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ বা মূলনীতি রয়েছে, যা প্রতিটি মুসলমানের পালন করা আবশ্যক:
- শাহাদাহ (ঈমানের সাক্ষ্য): আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।
- সালাত (নামাজ): প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা।
- যাকাত: সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ গরীব ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা।
- সাওম (রোজা): রমজান মাসে সাওম পালন করা।
- হজ: আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা।
এই মূলনীতি এবং উৎসসমূহ মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং আচার-আচরণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url