OrdinaryITPostAd

বাংলা বর্ষপঞ্জির ইতিহাস

বাংলা বর্ষপঞ্জি বা বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি মূলত প্রাচীন ভারতীয় সৌর বর্ষপঞ্জি থেকে। এটি হিন্দু সৌর বর্ষপঞ্জির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। বাংলা সন ও মাসের উৎপত্তি এবং বিকাশের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ এবং জটিল।

বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রাথমিক রূপটি মূলত চন্দ্রভিত্তিক ছিল, যা পরে সৌর বর্ষপঞ্জিতে রূপান্তরিত হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রথমে মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে প্রচলিত হয়। ১৫৮৪ সালে সম্রাট আকবর ফসলের কর সংগ্রহের সুবিধার জন্য নতুন এক বর্ষপঞ্জি চালু করেন, যাকে বলা হয় ফসলি সন। এটি বাংলা সনের ভিত্তি তৈরি করে।

বাংলা সনের মাসগুলোর নামকরণ হয়েছে সংস্কৃত শব্দ থেকে। যেমন:

  • বৈশাখ (বৈশাখী)
  • জ্যৈষ্ঠ (জ্যেষ্ঠ)
  • আষাঢ় (আষাঢ়ী)
  • শ্রাবণ (শ্রাবণী)
  • ভাদ্র (ভাদ্রপদ)
  • আশ্বিন (আশ্বিনী)
  • কার্তিক (কার্তিকী)
  • অগ্রহায়ণ (অগ্রহায়ণী)
  • পৌষ (পৌষা)
  • মাঘ (মাঘী)
  • ফাল্গুন (ফাল্গুনী)
  • চৈত্র (চৈত্র)

১৯৫২ সালে বাংলা একাডেমি বাংলা বর্ষপঞ্জির সংস্কার করেন এবং ১৯৮৭ সালে এটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়। বর্তমানে বাংলা বর্ষপঞ্জি আন্তর্জাতিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলমান।

বাংলা বর্ষপঞ্জি কেবল বাংলাদেশে নয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা রাজ্যেও ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ, কালীপূজা, দুর্গাপূজা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের সময় ব্যবহার হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩