বাংলাদেশের ভৌগলিক বিবরণ
ভৌগোলিক অবস্থানঃ ২০^০ ৩৪' থেকে ২৬^০ ৩৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮^০ ০১' থেকে ৯১^০ ৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। ঢাকার প্রতিপাদস্থান চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে। প্রতিপাদ স্থানের সাথে সময়ের পার্থক্য ১২ঘন্টা। প্রতিপাদ স্থানের সাথে স্থানের সাথে সেই স্থানের দাঘ্রিমার ব্যবধান ১৮০।
ট্রপিক অব ক্যানসার ঃ
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে কর্কটক্রান্তী রেখা বা ট্রপিক অব ক্যানসার বা ৯০০ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা। ট্রপিক অব ক্যান্সার বাংলাদেশের ১১ টি জেলার উপর দিয়ে গেছে। বাংলাদেশের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিক থেকে মোট ১১ টি জেলার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে (চুয়াডাঙা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি) ।
ভূ-প্রকৃতিঃ ভূমির বন্ধুরতা ও গঠনের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১. টারশিয়ারী যুগের পাহাড়ী অঞ্চল।
২. প্লাইস্টোসিন কালের সোপান অঞ্চল।
৩. নদীর প্লাবন ভূমি। ৯০%
জলবায়ুঃ বাংলাদেশ ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তুু সমুদ্র সানিধ্যেও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা খুব বেশি নয় ।
বৃষ্টিপাত অঞ্চলঃ সর্বোচ্চ লালখান (সিলেট)। সর্বোনিম্ন লালপুর (নাটোর)।
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতঃ ২০৩ সেঃ মিঃ, আর্দ্রতা - ৯৯% (জুলাই)।
বনাঞ্চলের আয়তনঃ ২২,৫৮৪ বর্গ কি.মি. বা ২৫ লক্ষ হেক্টর। (মোট ভূ-ভাগের ১৯.৮৯ %)।
বাংলাদেশের সীমানা:
অবস্থানঃ
বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়, পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা এবং মায়ানমার, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
- বাংলাদেশের সাথে ভারতের মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৪১৫৬ কি.মি।
- ভারতের পাঁচটি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমানা রয়েছেঃ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরাম।
- ভারতের সাথে সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩৭১৫ কি. মি. । বাংলাদেশ ভারত অমীমাংসিত সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৬.৫ কি.মি।
- মায়ানমারের সাথে সীমান্ত দৈর্ঘ্য ২৮৩ কি.মি
- সমূদ্র উপকুলের দৈর্ঘ্য ৭১১ কি. মি. । রাজনৈতিক সমূদ্র সীমা ১২ নটিক্যাল মাইল (২২ কি.মি.) ।
- অর্থনৈতিক সমূদ্র সীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৬৭ কি. মি.) ।
- বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ফারাক্কা বাঁধের দুরত্ব ১৬.৫ কি. মি. বা ১১ মাইল। ১ নটিক্যাল মাইল সমান ১.৮৫৩ কি. মি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url