OrdinaryITPostAd

কম্পিউটারের ইতিহাস

Kw¤úDUv‡ii BwZnvm mg~nt

কম্পিউটার শব্দটির উৎপত্তি গ্রীকভাষা থেকে। কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কম্পিউটার যন্ত্রের জন্মলগ্ন থেকে এই সময়কাল পর্যন্ত সময়কে মোটামুটি তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

০১. প্রাচীন যুগঃ খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বছর আগে চীন দেশে গণনা কাজের জন্য এক ধরণের যন্ত্র ব্যবহার করা হতো। যার নাম ছিল Abacus। গণনার কাজের জন্য ব্যবহার করা হতো কতকগুলো গোল চাকতি। এই চাকতি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গণনার কাজ সম্পন্ন করা হতো।  

০২.মধ্যযুগঃ Abacus আবিস্কারের পর পার হয়ে যায় কয়েক হাজার বছর। প্রথম যান্ত্রিক গণনা যন্ত্র তৈরি হয় ১৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দে। স্যার বেøয়েস প্যাসকেল নামের একজন ফরাসি বিজ্ঞানী এটা তৈরি করেন। বিজ্ঞানীর নাসানুসারে এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছিল প্যাসকেলাইন। এটার কার্যপ্রণালী কিšতু ছিল অনধপঁং এর মতই। তবে এতে চাকতির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছিল দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ার। ১৬৯৪ সালের দিকে প্যাসকেলাইন যন্ত্রের কিছুটা উন্নত সং®করণ তৈরি করলেন গটফ্রেড উইলহেম ভন লেইবনিজ। এই যন্ত্রে নাম দিলেন তিনি স্টেপড রেকোনার। ১৮২০ সালের মাঝামাঝি স্টেপড রেকোনার যন্ত্রকে আরও একটু উন্নত করলেন টমাস দ্যা কোমার। ততদিনে মানুষও বেশ আধুনিক হয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির দিকে তাদের অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে। আর এরই ফলশ্রæতি.ত ১৮২১ সালে ঘটে গেল এক বিপ্লব। চার্লস ব্যাবেজ নামের একজন ইংরেজ গণিতবিদ অংকের বিভিন্ন তথ্যের সহজ সমাধানের জন্য তৈরি করে ফেললেন একটি যন্ত্র। যার নাম দেওয়া হলো ডিফারেন্স ইঞ্জিন। অনতিকাল পরে এই যন্ত্রটিকে আরও আধুনিক করা হলো, নাম দেওয়া হলো এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিন। ১৮২১ সালের পূর্বে যেসব যন্ত্র তৈরি হয়েছিল সেগুলো শুধু অংক আর সংখ্যা নিয়ে কাজ করা হতো কিন্তুু চার্লস ব্যাবেজের উদ্ভাবিত এই যন্ত্রে অংকের পাশাপাশি তথ্য নিয়েও কাজ করা যেত। বর্তমানের আধুনিক একটি কম্পিউটারে যেসব অংশ দেখা যায় বা বিদ্যমান রয়েছে চার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিনে তার সবগুলোই বিদ্যমান ছিল। এই প্রথম কোন যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করতে পারতো। চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটারের আদি পিতা।


০৩.আধুনিক যুগঃ

  • ১৯৪৩ সালের গোড়ার দিকে পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির জন মশলি ও .প্রসপার একার্ট নামের দুই প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ার প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরিতে হাত দিলেন। পুরো তিন বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯৪৬ সালের মাঝামাঝি তারা সত্যি সত্যি তৈরি করে ফেললেন প্রথম ইলেক্ট্রনিকস ডিজিটাল কম্পিউটার ENIAC.
  • ১৯৪৮ সালের শেষদিকে বারডিন, ব্রাটান এবং শকলি নামের তিন প্রতিভাবান আমেরিকান বৈজ্ঞানিক আবি®কার করলেন ট্রানজিষ্টার। ফলে কম্পিউটার দিগন্তে সূচিত হলো এক নতুন বিপ্লবের। 
  • ১৯৫৮ সালের মাঝামাঝি সারা পৃথিবী চমকে উঠলো জ্যাক কিলবি নামের একজন প্রতিভাবান মার্কিন বৈজ্ঞানিকের কল্যাণে। তিনি আবি®কার করে ফেললেন সিলিকন চিপ। এই সিলিকন চিপের ছোট্ট এক টুকরোর উপর স্থাপন করা হলো অনেকগুলো ট্রানজিষ্টর। এদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য তৈরি করা হলো সুক্ষ্ম পথ, যাকে বলা হয় সার্কিট। এই সার্কিটের মধ্যদিয়ে উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎপ্রবাহ প্রবাহিত করা সম্ভব হয়ে উঠলো। এই সার্কিট সংযোজনের নাম দেওয়া হলো আইসি বা ইনটিগ্রেটর সার্কিট। এই ইনটিগ্রেটর সার্কিট দিয়ে কম্পিউটার তেরি করতে উৎসাহী হলেন প্রস্তুুতকারকরা। কারণ এতে করে কম্পিউটার আকারে অনেক ছোট হবে। আর সেইসাথে খরচ ও কমে আসবে অনেক। আবার কম্পিউটারেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। পরবর্তীতে এই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ব্যপক উন্নতি সাধিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তাক্লারা উপত্যকায় চলতে থাকে গবেষণার পর গবেষণা। একসময় এই জায়গাটার নামই হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি। 
  • ১৯৭১ সালে ছোট্ট একটুকরো সিলিকন চিপের উপর অনেকগুলো ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বসানো সম্ভব হয়ে ওঠে। এই সন্নিবেশিত চিপের নাম দেওয়া হয় মাইক্রোপ্রসেসর। বর্তমানে আধুনিক কম্পিউটার এই মাইক্রোপ্রসেসর এর উপর নির্ভরশীল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩