OrdinaryITPostAd

কোন মাসে বিয়ে করা ভালো - কোন দিন বিয়ে করা যাবে না

 কোন মাসে বিয়ে করা ভালো? আপনি যদি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। কোন মাসে বিয়ে করা ভালো সে বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, কোন মাসে বিয়ে করা ভালো?

অনেকেই বিয়ে করার পূর্বে জানতে চায় যে, কোন মাসে বিয়ে করা ভালো? যাইহোক, আসুন দেখে নেয়া যাক, কোন মাসে বিয়ে করা ভালো, সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি যে কোন মাসে বিবাহ করতে পারেন। বিবাহ করার জন্য, নির্দিষ্ট কোন মাস নেই। অথবা ইসলাম ধর্মে এমন কোন বিধান নেই যে অমুক মাসের বিবাহ করা উত্তম। আপনি যে কোন মাসেই বিবাহ করতে পারেন। 

যদিও কোন কোন ইসলামিক স্কলার মনে করে থাকেন যে, সাওয়াল আসে বিবাহ করা উত্তম আবার কেউ কেউ মনে করেন রবিউল আউয়াল মাসে বিবাহ করা উত্তম। যাইহোক পবিত্র কুরআনের এমন কোন আয়াত নেই বা হাদীসসমূহের মধ্যে এমন কোন হাদিস নেই, যেখানে কোন মাসকে বিয়ের জন্য উত্তম হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। 

মুসলমান হয়ে আপনি এই বিশ্বাস ধারণ করতে পারবেন না যে, অমুক মাসে বিবাহ করা উত্তম আর অমুক মাসের বিবাহ করা নিষিদ্ধ। সুতরাং কোন মাসে বিয়ে করা ভালো? এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বিবাহ করুন। কোন মাসে বিয়ে করা ভালো? আশা করি তা জানতে পেরেছেন।

কোন দিন বিয়ে করা যাবে না - আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ

কোন দিন বিয়ে করা যাবে না এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ? সে সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়তে থাকুন। নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়লে জানতে পারবেন যে, কোন দিন বিয়ে করা যাবে না এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ। নিচে কোরআন হাদিসের আলোকে আলোচনা করা হবে, কোন দিন বিয়ে করা যাবে না এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ?

কিছু কিছু লোক মনে করে থাকে যে, মহরম মাসে বিবাহ করা উচিত নয়। বিশেষ করে কিছু লোক রয়েছে যারা মনে করে যে মহরম মাসে যেহেতু হুসাইন (রা:) শাহাদাত বরণ করেছিলেন তাই এই মাসের সব পালন করা উচিত আনন্দ নয়। বিবাহ যেহেতু আনন্দের বিষয়, তাই এই মাসে বিবাহ করা অনুচিত। এমন ধারণা যারা পোষণ করে, তারা নিতান্তই মানসিক বিকারগ্রস্ত। যদি  হুসাইন (রা:) শাহাদাতের কারণে মহরম মাসে বিবাহ শাদী করা অপছন্দনীয় হয়ে থাকে, তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর মাসে অর্থাৎ রবিউল মাসে কেন বিবাহ করা হয় অপছন্দনীয় নয়?
রবিউল আওয়াল মাসে বিয়ে করা যাবে না বা কোন ধরনের আনন্দ উৎসব করা যাবে না মর্মে কোন হাদিস বর্ণিত হয়নি। তাই এই ধরনের ধারণা পোষণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ইসলামে, কোন কিছুকে কুলক্ষণীয় বা অশুভ মনে করা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে, "যে ব্যক্তি নিজে কুলক্ষণে বিশ্বাস করে ও যার কারণে অন্যের মাঝে কুলক্ষণের প্রতি বিশ্বাসের প্রবণতা সৃষ্টি হয় এবং যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করে ও যার জন্য ভাগ্য গণনা করা হয় (বর্ণনাকারী মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ সম্পর্কেও বলেছিলেন) এবং যে জাদু করে ও যার কারণে জাদু করা হয় সেই ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়"। ( তাবারাণী) 

উপরের লিখিত হাদিস থেকে প্রতিমান হবে যে, কুলক্ষণ কিংবা কোন কিছুকে অপয়া মনে করা সম্পূর্ণ নিষেধ। শুভ অশুভ, কল্যাণ অকল্যাণ সমস্ত কিছু আল্লাহতালা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাই আল্লাহতালা যার জন্য কল্যাণ ও নির্ধারণ করে রেখেছেন সে কল্যান করতে হবে পক্ষান্তরে যার জন্য অকল্যাণ নির্ধারণ করে রেখেছেন সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোন দিন বিয়ে করা যাবে না বা আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ, এই ধরনের প্রশ্ন গুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অপ্রয়োজনীয়।

উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, কোন দিন বিয়ে করা যাবে না এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ? এই ধরনের প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর। মুসলমানদের জন্য এমন কোন মাস বা দিন নেই, যখন বিবাহ করা অশুভ কিংবা অকল্যাণকর।

কোন কোন মাসে বিয়ে হয় না

কোন মাসে বিয়ে করা ভালো? আশা করি তা জানতে পেরেছেন। যাই হোক কোন কোন মাসে বিয়ে হয় না? মুসলমানদের জন্য এই ধরনের প্রশ্ন ভিত্তিহীন। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই ধরনের প্রশ্ন উপযুক্ত হতে পারে। কেননা তাদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী কিছু কিছু মাস রয়েছে যেই মাসগুলোতে বিবাহ হয় না। কোন কোন মাসে বিয়ে হয় না, সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।সুতরাং কোন কোন মাসে বিয়ে হয় না সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।আসুন দেখে নেয়া যাক, কোন কোন মাসে বিয়ে হয় না? 

বিয়ে করার ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মে সময়ের হিসেব নিকেশ রয়েছে। অর্থাৎ হিন্দুরা সারা বছর বিয়ে করতে পারে না। তাদের বিয়ে করার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এর বাইরে বিয়ে করা সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। যেমন চৈত্র মাসে হিন্দুরা বিয়ে করতে পারবে না। শুধু বিয়ে নয়, বিয়ে সংক্রান্ত কোনো কাজও করতে পারবে না।এমনটাই তারা বিশ্বাস করে থাকে। 
পক্ষান্তরে মুসলমানেরা কখনোই এই ধরনের বিশ্বাস পোষণ করতে পারেনা। পূর্বেই বলা হয়েছে যে শুভ অশুভ কিংবা ভালো-মন্দ সবকিছু নিয়ন্ত্রক মহান আল্লাহতালা। তাই কোন মাসকে অশুভ মনে করা বা কোন দিন কে অশুভ মনে করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। তাই মুসলমানেরা বছরের যে কোন সময়, যে কোন মাসে, যে কোন দিনে বিবাহ করতে পারবে। এতে কোন বাধা নিষেধ নেই।

কার্তিক মাসে বিয়ে হয় না কেন

কার্তিক মাসে বিয়ে হয় না কেন, সেই বিষয় সম্পর্কে জানার আগে, কার্তিক কে? সেই বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, সেনাপতি কার্তিক একজন দেবতা। তিনি ছিলেন চিরকুমার তিনি কখনোই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার একটি ঘটনা পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়, সেনাপতি কার্তিকের যেদিন বিবাহ, সেদিন তিনি দেখতে পান যে,  তার মা কলার পাতায় ভাত খাচ্ছে। 

এর কারণ হলো, বিয়ের পরে ছেলের বউ যদি খাবার খেতে না দেয়, তাই বিয়ের দিন বরের মায়ের পাতায় ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতে হয়। এই অবস্থা দেখে সেনাপতি কার্তিক আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি কখনো বিবাহ করবেন না। এই হল কার্তিকের বিবাহ না করার কাহিনী। , যাই হোক, হিন্দু ধর্মের মতে, কার্তিক মাসেও নির্দিষ্ট লগনে বিবাহ করা যায়। কার্তিক মাসে বিয়ে হয় না কেন? এই প্রশ্নটির যথাপুযুক্ত প্রশ্ন নয়। কেননা, কার্তিক মাসেও বিবাহ করা যায়। 

ইসলাম ধর্ম মতে, কার্তিক মাসে বিয়ে হয় না কেন? এই ধরনের প্রশ্নের কোন অস্তিত্ব নাই। কেননা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, বছরের যে কোন সময়। বিবাহ করা যায় এতে কোন ধরনের কোন সমস্যা নেই। হিন্দু ধর্ম মতে, কার্তিক মাসে বিয়ে হয় না কেন? আশা করি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। 

জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম - জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়

জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম বা জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। তাই, জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম এবং জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়, সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটি গুরুত্বসহকারে পাঠ করুন। আশা করি, জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম এবং জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়? এই বিষয়ের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো দেরি না করে আসুন দেখে নেয়া যাক, জন্ম মাসে বিয়ে ইসলাম এবং জন্মবারে বিয়ে হলে কি হয়?
জন্ম বারে বা জন্ম মাসে বিবাহ হলে, কোন সমস্যা নেই। অশুভ বলতে কোন দিন নেই। যেকোনো দিন যে কোন বারে বিবাহ করা যেতে পারে। তা হোক আপনার জন্ম বার কিংবা জন্মের মাস। অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী জন্ম বারে বার জন্ম মাসে বিবাহ করলে কোন সমস্যা নেই। 

যদি কোন ব্যক্তি এই ধরনের ধারণা পোষণ করে যে, জন্মবারে কিংবা জন্ম মাসে বিবাহ করলে তার অমঙ্গল হবে কিংবা সংসার জীবনে অসুখী হবে তাহলে তা শিরিকের পর্যায়ে চলে যাবে। কেননা মঙ্গল এবং অমঙ্গলের ক্ষমতা আল্লাহতালার হাতে। তাই অন্য কোন কিছুকে এই ক্ষমতার মালিক মনে করা, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। 

উপসংহার

বিয়ে করার ক্ষেত্রে যে সকল কুসংস্কার রয়েছে সেই কুসংস্কার গুলোর সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রথম থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন যে, কোন মাসে বিয়ে করা ভালো, কোন দিন বিয়ে করা যাবে না এবং আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩