OrdinaryITPostAd

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী ও অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশীদের জন্য কি কি উপায় এবং অনলাইনের মাধ্যমে কি করে আবেদন করা সম্ভব অনেক বাঙালি এ বিষয়ে জানতেআগ্রহী। কারণ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগালে কাজের সুযোগ অনেক।

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী

তাই সঠিক উপায়ে কাজের ভিসা অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে পূরণ করা সম্ভব এ ব্যাপারে অনেকেই জানতে চান। বাংলাদেশে পর্তুগালের ওয়ার্ক পার্মিশন ভিসার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না। 

পেজ সূচিপত্রঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী যত মানুষ কাজের ক্ষেত্রে যান তা ঘুরতে যাওয়া বা পড়াশোনা করার থেকেও বেশি। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিভিন্ন দেশেই যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে ওয়ার্ক ভিসা পর্তুগালে যাওয়ার জন্য খুবই জনপ্রিয়। ওয়ার্ক ভিসার জন্য সমস্ত প্রসেস অনেক ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও মানুষ পর্তুগালের যাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন। 

আরও পড়ুনঃ কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

তার একটা সাধারণ কারণ হচ্ছে এখানে গেলে খুব সহজেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। আবার এই ওয়ার্ক ভিসার দুই ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। স্বল্প মেয়াদী ভিসা এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসা। এই দুইটা যেকোনো এক ভাবেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। 

স্বল্প সময়ের ওয়ার্ক ভিসাঃ

পর্তুগালে যাওয়ার জন্য আপনি স্বল্প মেয়াদী বা কম সময়ের জন্য ওয়ার্ক ভিসার ব্যবস্থা করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সে ভিসার মেয়াদ ৬ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ১১ মাস করা যায়। তবে আপনি পর্তুগালে গিয়ে কাজ করার পর প্রয়োজনে ওয়ার্ক ভিসার সময় বাড়ানোর সুযোগ পাবেন। 

স্বল্প সময়ের জন্য পারমিট নিয়ে পর্তুগালে আসলে আর্টিকেল ৫৪ এর আওতায় রেসিডেন্সি কার্ড পাবেন। এবং এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার থাকার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।

দীর্ঘ সময়ের ওয়ার্ক ভিসাঃ

এই ওয়ার ভিসা আপনি সাধারণ সময় বা সিজনাল টাইমেও পেয়ে যাবেন। এবং এর মেয়াদ এর কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে না। দীর্ঘ সময়ের জন্য ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আপনি যদি পর্তুগালে আসেন তবে আপনি আর্টিকেল ৫৮ এর আওতায় রেসিডেন্সি কার্ড পাবেন। 

প্রয়োজনে আপনি ইতালিতে গিয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস থেকে প্রায় দুই বছরের জন্য বানাতে পারবেন। আবার বেশ কিছু কাজ আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। যেগুলো করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং সেই কাজগুলোর একেকটার বেতন একেক রকম। 

তবে আপনার যদি অভিজ্ঞতা বেশি থাকে তবে আপনি ওই কাজগুলো করে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যেই ধরনের কাজগুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ
  • হোটেল
  • ড্রাইভিং
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ফুড প্যাকেজিং
  • অফিস ক্লিনার
  • গ্লাস ক্লিনার
  • বাসার ক্লিনার
  • হসপিটাল ক্লিনার

অনেকেই রয়েছেন যারা পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী বলতে কি বুঝায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে পারেন না। মূলত পর্তুগালে যাওয়ার সমস্ত প্রসেস, ভিসার দাম, আবেদন করার নিয়ম, ওয়ার্ক ভিসাইট কি কি ধরনের কাজ করা যায় এবং যেতে কত টাকা লাগে সব ধাণনা এখানে জানানো হয়।

বাংলাদেশের জন্য পর্তুগালে ভিসা এজেন্সি

বাংলাদেশের জন্য পর্তুগালের ভিসা এজেন্সি নেই। সাধারণত অনলাইন এর মাধ্যমে অথবা ভারতীয় এম্বেসির সাহায্যে এই ভিসা প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ করতে হয়। কারন বাংলাদেশে এখনো পর্তুগালের এম্বেসি তৈরি হয়নি। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য প্রথমেই দিল্লিতে যেতে হবে। দিল্লির ভিপিএস গ্লোবাল এ আপনি পর্তুগালে যাওয়ার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।  

তবে এর জন্য আপনাকে প্রথমেই ভারতের টুরিস্ট ভিসা ব্যবহার করতে হবে। এরপর ভারতে গিয়ে আপনার প্রথমে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করা লাগবে এবং সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিতে হবে। আর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে জমা রাখা হবে। তাছাড়া এই সময় আপনার ছবি এবং সাক্ষাৎকার এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে রাখা হবে। 

এভাবে আপনার ভিসা প্রসেসিং শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ফেরত আসার জন্য আপনার পাসপোর্টটি দিয়ে দেওয়া হবে। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য এক থেকে দেড় মাস টাইম লাগবে। এজন্য আপনি ভারত থেকে ফিরে আসবেন। আর আপনার যে মেইল এড্রেসটি অ্যাপ্লিকেশনে দেওয়া রয়েছে সেখানে আপনার ভিসা হয়ে গেলে মেইল করা হবে।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করুন মাত্র ৫ মিনিটে

আপনাকে তখন আবার ভারতে যেতে হবে এবং এম্বাসির মাধ্যমে আপনার ভিসাটি সংগ্রহ করতে হবে।
যেহেতু বাংলাদেশের সাথে পর্তুগালের সরকারের কোন অফিসিয়াল চুক্তি নেই তাই আপনাকে এতটা কষ্ট করে ভারতে গিয়ে ভিসা জোগাড় হবে। তবে আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্যে আপনি ইন্ডিয়া না গিয়ে দেশে থেকেই ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। 

সেটি হচ্ছে দালালের মাধ্যমে। অনেক সময় দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ অনেক ফেক হয়ে থাকে। কিন্তু আবার কিছু দালালের মাধ্যমে সঠিক ভিসা পাবেন। দালালের এই পদ্ধতিকে এজেন্ট অথবা মেডিয়েটর ও বলা হয়। অনেক ধরনের মেডিয়েটর রয়েছে। কিন্তু আপনার বুঝেশুনে একটি সঠিক মেডিয়েটর বের করে তাদের সাথে আর যোগাযোগ করতে হবে।

পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন

পর্তুগালে কাজের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করুন খুব সহজেই এবং এই প্রক্রিয়া গুলো আপনি ঘরে বসেই করে ফেলতে পারবেন। এর ফরম ফিলাপ গুলো খুবই সহজ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যায় এবং এর পদ্ধতি গুলো নিচে দেওয়া হল।

পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন
  • প্রথমে আপনাকে ভিসার আবেদনের জন্য লিংক এ যেতে হবে। এই লিঙ্কে গেলেই আপনি একটি ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
  • এরপর আপনি যে কাজ পর্তুগালে যাওয়ার জন্য করতে ইচ্ছুক সেই কাজের নাম লিখে আপনি সার্চ করবেন।
  • যদি আপনি রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য যেতে চান তবে আপনি রেস্টুরেন্ট জব লিখে সার্চ করবেন। 
  • আপনার পছন্দের জবটি যদি আপনি পেয়ে যান তবে আপনি সিভি ড্রপ করবেন আপনার পছন্দের কাজের লক্ষ্যে।
  • আপনার সাথে সাথে ভিসার আবেদনটি করে ফেলতে হবে।
  • ভিসার আবেদনটা যদি গৃহীত হয় তাহলে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে ম্যানপাওয়ারের জন্য সব ধরনের তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
  • এবং শেষে ইমেইল যদি চলে আসে তাহলে আপনার ভারতে গিয়ে সেখানে এম্বাসির সাহায্যে ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ শেষ করে আসতে হবে।

এভাবে আপনি পর্তুগালে যাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই উক্ত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলতে পারবেন।

পর্তুগিজ কোম্পানির ভিসা প্রদান

পর্তুগিজ কোম্পানিগুলো অনেক সময় কর্মী সংকটে ভুগে থাকেন। তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তারা কর্মী হায়ার করেন। কর্মী সংকট মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন লেবার মিনিস্ট্রিতে আবেদন করে থাকেন এবং সেখানে তাদের কতজন কর্মী লাগবে তার একটি তালিকা দিয়ে দেন। মেডিয়েটররা এভাবেই ভিসার ব্যবস্থা করে থাকেন। 

কোম্পানিগুলো পর্তুগালে সরকার কর্তৃক অনুমোদনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেডিয়েটরের সাহায্যে কর্মী হায়ার করে থাকে। আমরা আগেই বলেছি মেডিয়েটরের সাহায্যে পর্তুগালে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। মূলত মেডিয়েটরা নির্দিষ্ট কোম্পানির কর্মীর জন্যই লোক খুঁজে থাকেন। তাই যারা মেডিয়েটরের সাহায্যে ভিসা পেতে চান তারা খুব সহজেই কোম্পানির ভিসার সাহায্যেই ভিসা পেয়ে থাকেন। 

ভিসা প্ক্রার্থীরা কি ধরণের চাকরি করতে পারবেন সেটা আগেই জেনে যান। বাংলাদেশ থেকে মূলত এজেন্সির মাধ্যমে এভাবেই একমাত্র সহজ উপায়ে চুক্তি সাপেক্ষে লোক নেওয়া হয়। এবং এই চুক্তিগুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। সরকারের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। তাই মাঝে মাঝে ফ্রড এজেন্সির পাল্লায় অনেকে পড়ে যান। 

ভিসা তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

পর্তুগালের ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য আবেদনের জন্য দিতে হয়। ওয়ার্ক ভিসা তৈরি করতে বাংলাদেশীদের জন্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়ে তা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করাই থাকে। তবুও সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলোর লিস্ট নিচে দেওয়া হল।  

  • এটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়বে।
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাস থাকতে হবে। এছাড়াও ৩টির মত ফাঁকা পেজ থাকা লাগবে।
  • এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট দিতে হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট চাইবে।
  • নতুন তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • দক্ষতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়বে।

যারা পর্তুগালে ওয়ার্ক ভিসা পেতে চান তাদেরকে এই তথ্যগুলো বা ডকমেন্টগুলো নিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও যদি আরো কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনাদেরকে আগেই জানিয়ে দেয়া হবে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী ও অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া বিষয়ে কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ ওয়ার্ক ভিসার জন্য পর্তুগালের কোনো এম্বেসি কি বাংলাদেশে রয়েছে?

উত্তরঃ অতি দুঃখজনক বিষয় যে বাংলাদেশে কোনো পর্তুগালের এম্বেসি নেই। এর সব ধরনের ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ভারতে যেতে হয়। তবে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো আপনাকে খুব সহজেই ভিসার সুবিধা দিয়ে থাকবে।

প্রশ্নঃ পর্তুগালের কোন ধরনের চাকরির জন্য ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া যায়?

উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের চাকরির করতেই আপনি ওয়ার্ক ভিসা পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে কাজের ব্যবস্থা।

প্রশ্নঃ পর্তুগালে গেলে কি ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া যায়?

উত্তরঃ আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে অথবা নামিদামি রেস্টুরেন্টে চাকরি করার মাধ্যমে আপনি খুব ভালো বেতন পেতে পারেন। এছাড়াও আপনি অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে মাসে এক লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কি পর্তুগালের এম্বাসি আসবে?

উত্তরঃ বাংলাদেশ সরকারের সাথে পর্তুগালের এ বিষয়ে কথা হচ্ছে এবং খুব তাড়াতাড়ি তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে।

পর্তুগালের জন্য ভিসা খরচ

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশীদের জন্য অনেক বিষয় সম্পর্কে আপনারা জানতে পারলেন। কিন্তু আসল যে বিষয় মানে কত খরচ হবে সে বিষয়ে আমরা এখনো আলোচনা করিনি। মূলত অন্যান্য যে সকল ভিসা পর্তুগালে যাওয়ার জন্য করা হয় তার থেকে ওয়ার্ড ভিসা এর খরচ সবচেয়ে বেশি।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত

ভিসার দাম কত এ বিষয়ে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে যদি আপনি সরকারিভাবে সার্কুলারের মাধ্যমে অপেক্ষা করে পর্তুগালে যেতে চান তবে আপনার খরচ সাধারণ সময়ের থেকে অর্ধেক পরিমাণে কমে যাবে। তবে সরকারিভাবে এই আবেদন বা সুযোগ সব সময় আসে না। 

সেক্ষেত্রে এজেন্সির সাহায্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার আবেদন করায় সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও খরচ সে ক্ষেত্রে বেশি পড়বে। তাই আবেদন করার জন্য বর্তমান সময়ে ভিসার দাম প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মতো। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি পর্তুগাল যাওয়া পর্যন্ত হিসাব করেন তবে আপনার সব মিলিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

ওয়ার্ক ভিসা চেক করুন ঘরে বসেই

পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করে থাকেন। সাধারণত সরকারি ভাবে খুব কম উপায়ে এই ভিসা পাওয়া যায়। যা কিনা ইন্ডিয়া থেকে সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু এজেন্সির মাধ্যমে অনেকে ভিসা প্রসেসিং করে থাকেন। কিন্তু এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য দেখা যায় অনেক ফ্রড এজেন্সি রয়েছে যারা কিনা ভুয়া ভিসা দিয়ে থাকে। 

তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সহজে আপনি বুঝতে পারবেন না যে ভিসার নকল নাকি আসল। এজন্য ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ক ভিসাটি চেক করে দেখতে পারবেন। এজন্য উল্লেখিত এই লিংকে প্রবেশ করলে আপনি একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেখানে খুব সহজেই আপনার পর্তুগালের ভিসাটি চেক করে দেখতে পারবেন।

সিজনাল ভিসা আবেদন পর্তুগালে

পর্তুগালের সিজনাল ভিসায় আবেদন করার জন্য একটা ওয়েবসাইট রয়েছে যা কিনা অথেনটিক। এই ওয়েবসাইটের লিংকটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো। এখানে গিয়ে ভিসা টাইপ সিলেক্ট করবেন যে আপনি সিজনাল ওয়ার্ক ভিসায় যেতে চান। আপনাকে এই ফর্মটি ডাউনলোড করে তথ্য দিয়ে ফিলাপ করে দিতে হবে। 

এই ফরমটি হাতে পূরণ করে জমা দেওয়া যায় না। ফরম ফিলাপ করা খুবই সহজ যা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।

পর্তুগালের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সময়

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশীদের জন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সময়। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কত দিন সময় লাগবে এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এক্ষেত্রে কাজ পেতে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি কতদিন আগে থেকে ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা নির্ভর করে কতদিনে ভিসা পাবেন সেটার উপর। 

আবার ভিসার আবেদনের সময় যদি কাগজপত্রের কোন সমস্যা থাকে বা সঠিকভাবে কাগজ জমা দিতে না পারেন তবে কাঙ্খিত সময়ের থেকে অনেক বেশি সময় নষ্ট হয়। তবে আপনার ডকুমেন্ট যদি সঠিক থাকে এবং কাগজপত্রে যদি ভুল না থাকে তবে ভিসা প্রসেসিং এর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই আপনার ইমেইলটি চলে আসবে।  

পর্তুগালের কাজের বেতন

সাধারণত পর্তুগালে কি ধরনের কাজ করতে চান এবং কোথায় রয়েছে তার ওপর নির্ভর করেই আপনি ওয়ার্ক ভিসা করে পর্তুগালে যেতে পারবেন। এবং বাংলাদেশীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের চাকরির সুবিধা পর্তুগালে রয়েছে। বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি ছাড়াও বিনা অভিজ্ঞতায় রেস্টুরেন্ট বা ক্লিনিংয়ের কাজও আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। 

যেহেতু পর্তুগাল একটি উন্নত দেশ এবং এখানে কাজের জন্য চাহিদা অনেক। তাই এখানকার কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতন বাংলাদেশী টাকায় ৮০০০০ টাকা। তবে যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তবে সেই বেতন এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মতো। তবে নতুন অবস্থাতেও আপনি খুব ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ঘুরতে যাওয়ার জন্য পর্তুগালে ভিসা প্রসেস

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলেও অনেকে আছেন ঘুরতে যাওয়ার জন্য পর্তুগালের ভিসা প্রসেস কেমন হয়ে থাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। আপনি যদি ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভিসা চান বা অফিশিয়াল ভিসা চান তবে আপনাকে অবশ্যই অফিসিয়াল ভিজিট ভিসা এই অপশনে আবেদন করতে হবে। এ বিষয়টি স্বল্পকালীন ভিসা।

শেনজেন ভিত্তিক ভিসা ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়া এ ভিসা অফিসিয়াল ভিজিট এর জন্য পর্তুগাল বা অন্যান্য শেনজেন দেশে প্রবেশ করতে বাধা দেয় না। ঘুরতে যাওয়ার জন্য বা অন্য কাজের জন্য আপনি সহজেই পর্তুগালে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা নেওয়ার এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে জানাতে হবে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী বিষয়ক আরো কিছু প্রশ্ন

প্রশ্নঃ পর্তুগালের ভিসা পেতে সাধারণত কতদিন লাগে?

উত্তরঃ পর্তুগালের ভিসা পেতে আপনার এক মাস থেকে দেড় মাসের মত সময় লাগবে।

প্রশ্নঃ স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা করে কি মেয়াদ বাড়ানো যায়? 

উত্তরঃ ভিসা তৈরি করে পর্তুগালের যাওয়ার পর আপনি দরকার মতো ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমরা উপরে আলোচনা করেছি।

প্রশ্নঃ পর্তুগালের কোম্পানি গুলার সাহায্যে কি ভিসা পাওয়া যায়?

উত্তরঃ বিভিন্ন মিডিয়ামের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো কর্মী সংকট মোকাবেলার জন্য হায়ার করে থাকেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এজেন্সি এর সাথে যুক্ত থাকে। এবং ওই এজেন্সি গুলোর সাহায্যে আপনি সহজেই কোম্পানির ভিসায় পর্তুগালে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

প্রশ্নঃ পর্তুগিজ টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তরঃ টুরিস্ট ভিসা পেতে খুব একটা সময় প্রয়োজন পড়ে না। আপনি দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন।

প্রশ্নঃ সরকারিভাবে পর্তুগালে ওয়ার্ক ভিসায় যেতে কত টাকা খরচ হয়? 

উত্তরঃ সরকারিভাবে পর্তুগালের ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়ার জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে।

পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফর বাংলাদেশী বিষয়ক লেখক এর মন্তব্য

বর্তমানে পর্তুগালে কাজের জন্য বা ওয়ার্ক ভিসা পেতে বাংলাদেশীরা অনেক ভুগে থাকেন। কারণ বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এজেন্সি নেই। তাই অনেকে ভুয়া দালালের খপ্পরে পড়ে তাদের মূল্যবান টাকা-পয়সা এবং পর্তুগালে যাওয়ার স্বপ্ন দুটোই মাটি হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই আমাদের আজকের এই পোস্ট।

এবং আজকের পোস্টে আপনাদের সুবিধার্থে আরো অনেক ধরনের তথ্য যেমন অনলাইনের মাধ্যমে কি করে আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার ওয়ার্ক ভিসা এসেছে কিনা বা দালালের খপ্পরে পড়ে জাল ভিসা পেয়েছেন কিনা এ বিষয় থেকে পরিত্রাণের জন্য উপায়ও বলেছি। আর আশা করি আপনারা আর্টিকেল পড়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন। 2024112

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩