১৫ দিনে চিকন হওয়ার ২০টি সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়
১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে আনতে আগ্রহী থাকেন। বাড়তি ওজন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তবে ওজন কমানোর স্বাস্থ্যকর উপায় জানা প্রয়োজন। তাই আমরা আজকে আর্টিকেলে ওজন কমানোর জন্য কিছু টিপস শেয়ার করব।
অতিরিক্ত ওজন শরীরে বিভিন্ন রকম রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বাভাবিক ওজন এবং স্বাস্থ্যকর শরীর তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সঠিক ওজন রক্ষা করার জন্য কম সময়ের মধ্যে কয়েক ধরনের ডায়েট প্ল্যান মানা জরুরী।
পেজ সূচিপত্রঃ ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
- ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
- ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়
- ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকন হওয়ার পদ্ধতি
- এক মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
- ফাস্টিং করে কার্যকর ডায়েট প্লান
- ১৫ দিনে চিকন হওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায় বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
- কম সময়ে বেশি ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান
- দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান
- স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো
- চিকন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা
- ১৫ দিনে চিকন হওয়া বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
- ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
১৫ দিনের চিকন হওয়ার উপায় খুবই অবাস্তব অনেকের কাছেই। শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে সবাই অনেক চিন্তায় থাকেন। ভাল স্বাস্থ্যের জন্য ছাড়াও দেখতে সুন্দর লাগার কারণে নারী-পুরুষ সকলেই ওজন কমানোর জন্য খুবই আগ্রহী। কিন্তু প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা ওজন কমানোর জার্নিকে প্রশমিত করেনা।
তাই আজকে আমরা এমন কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব যেই উপায়গুলো মেনে চললে আপনি স্বাভাবিক কর্মের ভেতর থেকেও খুব সহজেই ওজন কমাতে পারবেন। আর এই উপায়গুলো মেনে চললে ওজন কমতে ১৫ দিনও সময় লাগবে না। নিচে ১৫ দিনে চিকন হওয়ার ২০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
পানির ব্যবহারঃ
খুব পরিমিত পরিমাণে পানি খাওয়া ওজন কমানোর সর্বপ্রথম ধাপ। পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। দিনে প্রতিদিন যদি আপনি আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খান তবে আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হবে। পানি শরীরকে আদ্র করে রাখে। পানি খেলে আপনার পেট ভরা থাকবে এতে আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যাবে।
যা আপনার ডায়েট সম্পূর্ণ করার জন্য খুবই কার্যকর। এমনকি পানি পান করার জন্য আপনার পেটের সমস্যা জনিত বিষয়গুলো ঘটবে না।
আরও পড়ুনঃ দুর্গন্ধযুক্ত পাদ থেকে মুক্তির উপায়
প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদঃ
আমরা সুযোগ পেলেই বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকি। কিছু রান্নার ইচ্ছা না করলে শর্টকাটে আমরা বেশ কিছু খাবার তৈরি করে ফেলি। যেমন নুডুল বা ফাস্টফু ইত্যাদি। যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মোটেই সাহায্য করে না।
এর বদলে আমরা যদি ফল বা সবজি কিনে সেগুলো সরাসরি খাই বা রান্না করে খাওয়া হয় এবং সেগুলো খাওয়ার অভ্যাস করি তাহলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি আমাদের শরীরের পরিবর্তন হবে।
লিকুইড ব্যভারেজ খাওয়া বন্ধঃ
লিকুইড ব্যভারেজ বলতে বোঝায় চা, কফি অথবা কোল্ডড্রিংস যেগুলো আমরা যেকোনো সময় কোন কারণ ছাড়াই খেয়ে থাকি। এগুলো খেলে আমাদের ক্ষিদা নিবারণ হয় না। তাছাড়া এগুলোতে থাকা ক্যালোরি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত করে। তাই এগুলো খাওয়ার শুধু ওজন বাড়ায় না সাথে আমাদের শরীর অসুস্থ করে তোলে।
লাল চাল খাওয়ার অভ্যাসঃ
আমরা বেশিরভাগ মানুষই সাদা চাল খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা যদি সাদা চাল খাওয়ার অভ্যাস একটু পরিবর্তন করে লাল বা বাদামি রংয়ের চাল খাই তাহলে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। কারণ লাল চালে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণ ফাইবার। যা হজম হতে অনেক সময় লাগে। এবং পেটে অনেকক্ষণ থাকে। এ কারণে খিদাও কম লাগে।
চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়াঃ
আমাদের অনেকের চিনির প্রতি অনেক আগ্রহে বেশি থাকে। চিনি জাতীয় খাবার বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে আমরা বেশি ভালোবাসি। কিন্তু এই চিনিতে রয়েছে অনেক শর্করা যা আমাদের ওজন বাড়াতে খুবই সাহায্য করে। তাই এ জাতীয় খাবার যদি কম খাওয়া হয় তবে আমাদের ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া বাড়ানোঃ
শর্করা জাতীয় খাবারের থেকে প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া বেশি উপযোগী। প্রোটিন শরীরের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। সুস্থ রাখে। প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম মাংস দুধ ডাল। তবে গরু বা ছাগলের মাংস না খাওয়াই ভালো।
সবজি খাওয়ার অভ্যাসঃ
সবজি খাওয়ার অভ্যাস করলে ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে। আপনি যদি বেশি বেশি সবজি খান তবে আপনার পেট ভরা থাকবে এবং আপনার খিদাও লাগবেনা তাই অন্য খাবার খেয়ে আপনার যে পরিমাণ ক্যালোরি বৃদ্ধি পেতো সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আর সবজিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ভালো রাখতে খুবই সাহায্য করে। তাই বেশি বেশি সবজি খাবেন।
ক্যালোরি যুক্ত খাবারঃ
ক্যালোরি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। ক্যালোরি না খেলে আপনি দুর্বল হয়ে পড়বেন। অনেক সমস্যা দেখা দিবে। তাই পরিমিত পরিমাণ ক্যালরি যুক্ত খাবার অবশ্যই খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিতে হবে।
না খেয়ে থাকবেন নাঃ
অনেকের ডায়েট করা মানে না খেয়ে থাকা মনে করেন এটা সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। না খেয়ে কখনো ডায়েট করা যাবে না। ডায়েট করতে হলে সব সময়ই তিন বেলা ভালো ভালো খাবার খেতে হবে। এই খাবারগুলো যেন পুষ্টিকর হয় এবং পরিমিত পরিমাণে হয় সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
খাওয়ার প্লেট এর সাইজ ছোটঃ
খাবার প্লেটটি অবশ্যই ছোট করে ফেলতে হবে। কারণ বড় প্লেটে পরিমিত পরিমাণ খাবার নিলে দেখা যায় অনেক কম লাগে যার কারণে মানুষ আরো একটু খাবার বেশি নিয়ে ফেলেন। যা ওজন কমাতে মোটেও সাহায্য করবে না। এছাড়া হাতের বদলে চামচ দিয়ে খেতে পারেন এতে মনে হবে খাবার অনেক বেশি খাচ্ছেন।
আয়নার সামনে খানঃ
হাস্যকর লাগলেও এটা সত্যি যে আয়নার সামনে খেলে আপনি আপনার নিজেকে জাজ করতে পারবেন। আপনার যে কম খাওয়া উচিত এবং তা না হলে আপনার ওজন আরো বেড়ে যাবে এই চিন্তাটা আপনি খাওয়ার সময় আয়না কে দেখলে আপনার মাথায় বেশি কাজ করবে। এবং খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। এটি গবেষকদের দ্বারা প্রমাণিত।
নিয়মিত হাটার অভ্যাস করাঃ
ডায়েট করলেই হবে না অবশ্যই এর সাথে ব্যায়ামও করতে হবে। আর কিভাবে ব্যায়াম করব সেই ব্যাপারে ধারণা না থাকলে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিয়মিত হাটার অভ্যাস করা। যদি আপনি নিয়মিত হাঁটাচলের অভ্যাস করেন তবে অবশ্যই দেখবেন আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে যাচ্ছে।
কম খাওয়ার অভ্যাস করাঃ
অনেকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও দেখা যায় তার ওজন ঠিকভাবে কমছে না। আসলে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে না এর সাথে ওই স্বাস্থ্যকর খাবারেরও একটি পরিমাপ রয়েছে এবং সে পরিমাণ মতোই খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আপনার ওজন সঠিকভাবে কমবে।
দুশ্চিন্তা বাদ দেওয়াঃ
গবেষণায় দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষই মোটা হয়ে যান অতিরিক্ত চিন্তায়। কারণ অতিরিক্ত চিন্তায় থাকলে মানুষের খাওয়া দাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। টেনশন দূর করতে খাবার খুবই কার্যকর। এজন্য অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বাদ দিতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাসঃ
অনেকের ঘুমের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সময়মতো ঘুমাতে পারেন না। এবং ঘুমোলেও ঘুম বেশিক্ষণ হয় না। সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই জরুরী।
রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাসঃ
রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করা খুবই জরুরী। এটা যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আপনি চেষ্টা করবেন ঘুমানোর অন্তত দুই তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করে ফেলা। রাতের খাবার শেষ করার পরপরই শুয়ে পড়া যাবে না।
খাওয়ার আগে পানি খাওয়াঃ
খাওয়ার আগে পানি খেলে আপনি পেট ভরা অনুভব করবেন এতে আপনার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাবে। পেট ভরা থাকবে। তাই পরিমিত পরিমাণ খাবার খাওয়ার জন্য খাবারের আগে পানি খাওয়ার অভ্যাস করা খুবই স্বাস্থ্যকর একটি উপায়।
খাবার তালিকায় রঙিন খাবার রাখাঃ
যখন আপনি তিন বেলা খাবেন এবং যখন সবজি খাবেন অবশ্যই চেষ্টা করবেন বিভিন্ন রং এর খাবার দিয়ে আপনার ডায়েট প্লান টি সাজানো। কারণ একেক রকম রংয়ের খাবারের এক এক ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
ভালোমতো চিবিয়ে খাবার খাওয়াঃ
খাবার যখনই খাবেন অবশ্যই চিবিয়ে চিবিয়ে ভালো করে শেষ করে গিলবেন। এতে আপনার হজমে খুবই সাহায্য করবে। পেট ভালো থাকবে।
গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাসঃ
গ্রিন টি খেতে সাধারণত মজাদার লাগেনা। কারণ গ্রিনটি সাধারণ চায়ের মতো সুস্বাদু হয় না। তবে যদি আপনি সাধারণ চা না খেয়ে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে সেটা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
সাধারণত আমরা রং চা খেলে শরীরের জন্য তেমন কোন ক্ষতি হয় না। তবুও এর ক্ষতিকারক কিছু বিষয় রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে গ্রিন টি তে সে ধরনের ক্ষতিকারক কোন কেমিক্যাল থাকে না। তাই যদি আপনি গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে চিকন হতে খুবই সাহায্য করবে।
ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়
১৫ দিনের চিকন হওয়ার উপায় সকলেই জানতে আগ্রহী। কারণ সকলেই কম সময়ে ওজন কমানোর ইচ্ছা পোষন করেন বেশি। তবে অবশ্যই ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় বের করা সবচেয়ে বেশি জরুরী। কারণ সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমালে শরীর ভালো থাকে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য অনেক রকম ক্রাস ডায়েট করে থাকেন। যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমলেও এক্ষেত্রে অনেক রকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই কম খেয়ে বা না খেয়ে ওজন কমানোর থেকে পরিমত পরিমানে খাবার খেয়ে ওজন কমানো বেশি কার্যকর।
সাধারণত বিশেষজ্ঞরা বলেন এক মাসে মিনিমাম ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন খুব সহজেই কমানো যায়। এক্ষেত্রে খুব বেশি পরিশ্রম করা লাগে না। তাই আপনি যদি নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ খাবার খান এবং হাঁটাচলা করেন তবে অবশ্যই আপনার ওজন কমে যাবে ও আপনি সুস্থ থাকবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আপনি যদি প্রতিদিন দই এবং কালিজিরা একসাথে মিশিয়ে খান তবে আপনার এক মাসে ১৫ কেজির মত ওজন বা কমবে। খুব ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এক চামচ কালিজিরা আর এক গ্লাস টক দই মিশিয়ে আপনি মিশ্রণটি ঘুমানোর আগে খেয়ে ফেলতে পারেন।
ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকন হওয়ার পদ্ধতি
১৫ দিনের চিকন হওয়ার উপায় যা জানলাম তা কার্যকর হওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যায়াম করা জরুরী। ব্যায়াম এর কোন বিকল্প নেই।
চিকিৎসকদের মতে আপনি ডায়েট প্লান করে খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমবে ৭০% এবং ব্যায়াম করলে ওজন কমার হার ৩০%। তাই আপনি যদি ডায়েট এবং ব্যায়াম দুটি একসাথে করেন তবে আপনার ওজন অবশ্যই ১০০% সঠিক উপায়ে কমবে। আর এটাই ওজন কমানোর স্বাস্থ্যকর উপায়।
ব্রিটিশ এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আপনি যদি নিয়মিত এক ঘন্টায় কিছু করেন যেমন দৌড়, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি তবে আপনার ওজন এক ঘন্টায় প্রায় ১.৫৮ কেজি কমবে।
ব্যায়াম এমন ভাবে করা জরুরী যেন হার্ট এর উপর প্রেসার পড়ে। কারণ আপনি যত এক্সারসাইজ করবেন এবং আপনার হার্ট যত বার পাম্পিং করা হবে তার ওপর নির্ভর করবে আপনার শরীরের কতটা ওজন কমবে। আপনার হার্ট এর পাম্পিং এর হিসাব অনুযায়ী শরীরের চর্বি গলে।
এক মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
আপনি যদি ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় জানতে চান এবং এক মাসের মধ্যে দশ কেজি ওজন কমাতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে। কারণ সঠিকভাবে খাবার খাওয়া এবং সব ধরনের পুষ্টি আহরণ করা আর ফাইবার এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার সঠিকভাবে খাওয়া ডায়েট এর ক্ষেত্রে খুবই জরুরী।
এবং অবশ্যই এর সাথে ব্যায়াম করতে হবে। আর এ কারণে আমরা এখন আপনাকে এমন এক ধরনের ডায়েট চার্ট এর বিষয়ে ধারণা দিব যা আপনাকে এক মাসেই ১০ কেজি ওজন কমানোর সঠিক গাইডলাইন দিবে।
ভোর বেলার খাবারঃ প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং উঠেই আপনাকে মৌরি অথবা আদা এর পানি পান করতে হবে। এই পানিগুলো খেলে শরীরের চর্বি গলে যায়। এই মিশ্রণটি খাওয়ার জন্য অবশ্যই গরম পানি নিতে হবে। আর এই খাবারগুলো পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
সকাল সকাল সকালের খাবার শেষ করাঃ আটটার মধ্যে সকালের নাস্তা খেয়ে ফেললে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে। এক্ষেত্রে আপনি ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে পারেন। তাই খুবই ভালো সকালের নাস্তা হতে পারে চিড়া। চিড়ার সাথে যদি আপনি এক গ্লাস দুধ হলুদ মিশিয়ে খান তবে আপনি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবেন।
মধ্য সকালের খাবারঃ সকালের খাবারের পর ১১ টার দিকে আপনি অবশ্যই ক্ষুধা অনুভব করবেন। এ সময় যদি আপনি ফাইবার যুক্ত সূর্যমুখীর বীজ খান তবে আপনার পেট ভরা থাকবে।
দুপুরের খাবারঃ দুপুরের খাবার অবশ্যই একটার মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে। দুপুরের খাবারে বাদামী চাল এবং সাথে ডাল জাতীয় তরকারি রাখতে পারেন। এবং প্রচুর পরিমাণে সালাদ খাবেন। সবজির সাথে অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত ডিম অথবা মাছ বা মাংস যুক্ত করতে পারেন।
বিকেলের নাস্তাঃ বিকেল চারটার সময় আপনি ঘোল খেতে পারেন। কারণ ঘোলে আছে ভিটামিন, প্রোটিন ও বেশ কয়েক ধরনের উপকারী খনিজ পদার্থ। যার শরীরে এনার্জি তৈরি করে এবং ওদের কমাতে সাহায্য করে।
রাতের খাবারঃ সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে অবশ্যই রাতের খাবার শেষ করে ফেলবেন। এবং এরপর আর কিছু খাওয়া যাবেনা। খুব হালকা হিসেবে স্যুপ রাতের খাবার এর জন্য উপযোগী। এটা খুব তাড়াতাড়ি পেট ভরায় ও স্বাস্থ্য কর বটে।
ফাস্টিং করে কার্যকর ডায়েট প্লান
যারা সবসময়ই এক মাসে চিকন হওয়ার উপায় খুঁজেন কিন্তু ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় পান না তারা ফাস্টিং করে খুব সহজেই ওজন কমাতে পারেন। তবে ফাস্টিং করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে হবে। মূলত ফাস্টিং হচ্ছে এমন ভাবে ডায়েট প্লান করা যেন আপনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ থেকে ১৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকবেন। এবং বাকি সময় খেতে পারবেন।
ফাস্টিং করলে নিয়মিত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যেন ওই সময়ের মধ্যেই আপনার প্রতিদিনের যতটুকু পুষ্টি আপনার শরীরে আহরণ করা জরুরী তা চলে আসে। ফাস্টিং এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে রোজা রাখা।
আমরা অনেকেই রোজার মাসে ফাস্টিং করা লাগলেও খুব বেশি খাবার খেয়ে ফেলি। তাই যদি আমরা সঠিক নিয়মে রোজার মাসে ওজন কমাতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের রোজার সময় সঠিক ডায়েট প্ল্যান মেনে চলতে হবে। তাই চলুন আমরা ফাস্টিং বা রোজা রাখলে কেমন ডায়েট প্লান করতে পারি সেই বিষয়ে আলোচনা করি।
সেহরিঃ
রোজাতে সেহরি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খাওয়ার সময়। কারণ এই সেহেরী খেয়েই আপনি ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা না খেয়ে থাকবেন। তাই শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি দরকার।
এ কারণে আপনি যদি সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন আয়োডিন এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খান তবে অবশ্যই আপনার শরীর সব ধরনের পুষ্টি পাবে এবং সাথে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে যা শরীরে অনেকক্ষণ খাবারটি রাখতে এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করবে।
ইফতারঃ
আমরা বাঙালিরা ইফতারের সময় অনেক ভাজাপোড়া খেয়ে থাকি। কিন্তু অবশ্যই ওজন কমানোর জন্য এই ভাজাপোড়ার আইটেমগুলো খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আর এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খেতে হবে। আর যেহেতু অনেকক্ষণ পর আমরা প্রথম খাবার খাচ্ছি তাই এমন পরিমাণও খাবার খাওয়া যাবেনা যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
এ কারণে অবশ্যই আপনি রোজা ভাঙার সময় পেট ভরে খাবেন না। খেজুর, টক দই, সালাদ, ফলমূল এগুলো ইফতারির জন্য আদর্শ খাবার।
রাতের খাবারঃ
অনেকেই রোজার সময় রাতের খাবার খেতে চান না। ডায়টের ক্ষেত্রে রাতের খাবার খাওয়া জরুরী। তবে এক্ষেত্রে রাতের খাবার অনেক হালকা খেতে পারে। একটি রুটি, এক পিস মাংস, দুধ, সবজি এসব খাবার খেয়ে আপনি রাতের খাবার শেষ করতে পারেন।
১৫ দিনে চিকন হওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায় বিষয়ে কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ শুধু ব্যায়াম করলে কি ওজন সঠিকভাবে কমতে পারে?
উত্তরঃ ব্যায়াম করলে এবং পরিমিত পরিমাণে খাবার ও দৈনন্দিন জীবনের রুটিনের কিছু পরিবর্তন করলে অবশ্যই কমানো সম্ভব।
প্রশ্নঃ সাদা ভাত নাকি বাদামি ভাত ওজন কমাতে কোনটি খাব?
উত্তরঃ লাল চালে বেশি ফাইবার থাকে যা পেটে হজম হতে বেশি সময় লাগে। এবং খুব তাড়াতাড়ি পেট ভরে যায়। আর এ কারণে লাল চাল ডায়েট করার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ খাওয়ার মাঝে কি পানি খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ খাওয়ার মধ্যে পানি খাওয়া খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। ডায়েট এর ক্ষেত্রে এটি বেশি কার্যকর। কারণ খাওয়ার মাঝে পানি খেলে আপনার পেট তাড়াতাড়ি ভরে যাবে এবং কম খাবার খেতে আগ্রহী হবেন।
প্রশ্নঃ চা খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ ডায়েট করার ক্ষেত্রে চা না খাওয়াই ভালো। তবে যারা রেগুলার চা খান তারা দিনে দুই বারের বেশি চা খাবেন না। তবে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটি আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন।
কম সময়ে বেশি ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান
আমরা ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কিন্তু একদিনেও যে ওজন কমে এবং তা ১.৫ কেজি পরিমাণ কমানো সম্ভব এ বিষয়ে আমরা এখন জানতে পারব। আমরা আগে আলোচনা করেছি যে আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ব্যায়াম করেন তবে আপনার ওজন ব্যায়ামের কারণেই দেড় কেজি কমে যেতে পারে।
তবে আরো কিছু কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো আপনার মেনে চলতে হবে তাহলে আপনি আরো বেশি ওজন কমাতে পারবেন। খুব সহজেই আপনি চাইলেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে আপনার ওজন কমছে কিনা। এজন্য বেশ কিছু নিয়ম পালন করা জরুরী। নিচে সেই নিয়ম গুলো বর্ণনা করা হচ্ছে।
পানি পানঃ আপনি প্রতিদিন ২ থেকে ৪ লিটার পানি পান করবেন। মেদ ঝরানোর জন্য পানি পান খুবই জরুরী। আর পানি পান করলে খিদা কমে যায়। এমনকি শরীর সুস্থ থাকে।
গ্রিন টি পানঃ এরপর যে কাজটি করবেন প্রচুর পরিমাণে গ্রিন টি খাবেন। গ্রিন টি শরীরের পাক যন্ত্রের ক্ষতিকর খাদ্যগুলো শরীর থেকে সরিয়ে দেয়। চর্বি গলাতে সাহায্য করে। তাই চা ও কফি না খেয়ে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
শসাঃ শরীরের ক্ষতিকার পদার্থ অ্যালকাইন সরাতে শসার বিকল্প নেই। আবার শসা তে কোন ফ্যাট বা ক্যালোরি না থাকার কারণে অনেক বেশি খাওয়া যায় এমনকি শসা খাওয়ার কারণে খিদা ও কমে যায়।
শাকসবজি খাবার অভ্যাসঃ বেশি পরিমাণ শাকসবজি খাবেন। কারণ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল থাকে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীর সুস্থ রাখে।
ব্যায়াম করবেনঃ ডায়েটের সাথে ব্যায়ামের কোন তুলনা নেই কারন এই দুইটি ছাড়া আপনার ওজন কখনোই কমবে না। তাই অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করবেন।
দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট প্ল্যান
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই অনেক রকম অস্বাস্থ্যকর ডায়েট প্লান করে থাকি। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট আমাদের শরীরের অসুস্থতায় খুব বেশি ভূমিকা পালন করে। তবে ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় এর মাধ্যমে খুব সহজেই তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই ১০ কেজি কমানো সম্ভব। এ ব্যাপারে আমরা কম সময়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি মেনে চলতে পারি।
তবে এর সাথে আরও কিছু বিষয় অবশ্যই আমাদের মাথায় থাকতে হবে এবং মেনে চলতে হবে।
- আমরা দিনে অনেকবার ফোনে কথা বলি বা বসে বসে এমন কিছু কাজ করি যা দাড়িও করা যায় বা হেঁটে হেঁটে করা সম্ভব। তাই অবসর সময়ে যদি আমরা হাঁটাচলা বেশি করি তবে মেদ কমতে সাহায্য করে।
- আমরা যখন টিভি দেখি বা মুভি দেখতে বসি তখন আমরা অতিরিক্ত অনেক কিছু খেয়ে ফেলি এই অতিরিক্ত খাবার গুলো খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
- আমরা মনে করি সব সময় যে সালাদ খেলে ওজন কমে। তবে সালা্দে আমরা অনেক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যা মেদ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই বাদাম, মেয়োনিজ বা বেশ কিছু মসলা অথবা মাংস এই খাবারগুলো অবশ্যই সালাদের সাথে আলাদা করে খাবেন না।
- দাওয়াতে গেলে অনেক সময় আমাদের অতিরিক্ত খাবার বেড়ে দেয়, চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া।
- খাবার রান্নার সময় বেক করা খাবার অথবা সিদ্ধ করা খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করেন। তেল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন।
- চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। চিনি জাতীয় খাবারে চিনি বাদ দিয়ে খাবার চেষ্টা করুন।
- না খেয়ে থেকে এমন কিছু খাবার খান যা কম ক্যালরিযুক্ত এবং খুব বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো
অনেকেই চিকন হতে চান বা চিকন হওয়ার উপায় খুঁজছেন তারা ছাড়াও এমন কিছু মানুষ আছে যারা অনেক শুকিয়ে গেছেন ক্ষুধা মন্দায় ভুগেন এবং দুর্বল হয়ে পড়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ওজন বাড়ানো প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন কেন কমে যাচ্ছে এ ব্যাপারে আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। অনেক সময় রোগের কারণেও ওজন কমে যেতে পারে।
এবং আরেকটি সমস্যা হচ্ছে যাদের ওজন কমে যায় তারা বাড়ানোর জন্য বেশি খাবার খেতে পারেন না। এতে করে হজমে সমস্যা হয়। বিএমআই কমার কারণে সাধারণত মানুষের ওজন স্বাভাবিক ওজনের থেকে ৪০% কম হয়। তাই যাদের কোন সমস্যা ছাড়াই ওজন কম তাদের ওজন বাড়ানোর জন্য অবশ্যই স্বাভাবিক খাবারের থেকে তিন থেকে চার গুণ ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা জরুরী।
তাই অবশ্যই সুস্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করা শরীরের জন্য আরো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- ওজন বাড়ানোর জন্য দুধ জাতীয় খাবার এর পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। এটি ছাড়াও দুধের সাথে মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাদাম বাকলা অথবা বাটার ইত্যাদি মিশিয়ে মিল শেক বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- এছাড়া দুধের সাথে প্রোটিন পাউডার মিশেও খেতে পারেন। আবার ভাতের মারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকার কারণে ভাতের মারও খাওয়া যেতে পারে। অথবা এক কাপ চিড়া ভিজিয়ে তার সাথে দুধ কলা বা গুর মিশিয়ে খেতে পারে।
- আপনি যে পরিমাণে প্রোটিন সাধারণত খেতে হয় তার থেকে বেশি প্রোটিন খেতে পারেন। এক পিস মাছ বা মাংসের পরিবর্তে দুই তিন পিস খেতে পারবেন। প্রতিদিন দুটি করে ডিম খাবেন।
- ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিমাণ খাওয়া বাড়িয়ে দিবেন। তবে অবশ্যই রেডমিট খাবেন না। কাজুবাদাম বা অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল এমনকি ঘি খাবারের সাথে যুক্ত করে খেতে পারেন।
- ফল বা শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। ফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে এক্ষেত্রে ফল খেলে পুষ্টি শর্করা দুইটিই পাবেন।
- হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস রাখতে পারেন। ব্যায়াম শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন।
চিকন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা
অনেকেই ওজন কেন কমানো দরকার বা চিকন কেন হওয়া লাগবে সে ব্যাপারে তর্ক করেন। কিন্তু তারা এটা হয়তো জানেন না যে অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন সমস্যার কারণ। শরীরে বিভিন্ন সমস্যার কারণে আপনি অনেক কষ্ট ভোগ করবেন কিন্তু যদি আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তবে আপনার এই সমস্যাগুলো থাকবে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তা অনেক।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- হৃদরোগের সমস্যা ওজন বেশি থাকলে ঘটে। ওজন বেশি হওয়ার কারণে আপনার হৃদপিন্ডে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হৃদপিন্ডের বিভিন্ন রকম ব্লক বা অন্য ধরনের সমস্যা অথবা হার্ট অ্যাটাক করার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই চিকন হওয়া প্রয়োজন।
- যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাদের বাজে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করলে বাজে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যাবে।
- ওজন বেশি হলে ভয়ঙ্কর রোগ ক্যান্সার এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আমরা সকলেই জানি ক্যান্সারের কোন ওষুধ নেই। তাই অতিরিক্ত ওজন হলে কোলন, স্তন, ইউটেরাস, গলব্লাডার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এক্ষেত্রেও ওজন কমানো জরুরী।
১৫ দিনে চিকন হওয়া বিষয়ে আরো কিছু প্রশ্ন
প্রশ্নঃ ডায়েট করলে এক মাসের সর্বোচ্চ কত কেজি ওজন কমানো যায়?
উত্তরঃ ডায়েট করলেও এক মাসের সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৮ কেজি ওজন কমানো সম্ভব।
প্রশ্নঃ তিন দিনে কি ওজন কমানো যায়?
উত্তরঃ শুধু তিন দিনের নয়, একদিনও ওজন কমানো সম্ভব। তবে এত তাড়াতাড়ি ওজন না কমিয়ে আপনি যদি আস্তে আস্তে সময় নিয়ে ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় বের করতে পারেন তবে সেটি বেশি কার্যকর হবে।
প্রশ্নঃ চিকন হওয়া প্রয়োজন কেন?
উত্তরঃ চিকন হওয়া জরুরী কারণ আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ এর বিকাশে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সৌন্দর্য নষ্ট করে।
প্রশ্নঃ ওজন কমানোর থেকে কি ওজন বাড়ানো সহজ?
উত্তরঃ অবশ্যই ওজন কমানোর থেকে ওজন বাড়ানো খুবই সহজ। যারা বেশি রোগা এবং অপুষ্টিতে ভুগছেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো জরুরী।
১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আমরা পরিশেষে ১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেক আলোচনা করলাম। এবং ওজন কমানোর বেশ কয়েক ধরনের ডায়েট প্লান আমরা জানতে পারলাম। এই ডায়েট প্ল্যানগুলো মেনে চললে এবং ওজন কমানোর উপায় গুলো আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে যুক্ত করতে পারলে অবশ্যই আমাদের ওজন খুব তাড়াতাড়ি এবং সময়মতো কমে যাবে।
ওজন কমানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় সম্পর্কে আমরা অনেক আলোচনা করেছি ওজন শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই কমানো উচিত নয় সাথে সাথে ওজন কমালে আপনি শারীরিক বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন। যেহেতু আমাদের সুস্থ থাকা জরুরী তাই অবশ্যই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দমন করাও জরুরী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url