মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে 100$ - 200$ টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিষয়ে আজকে আমরা যে আলোচনা করব তা বহুল কাঙ্খিত আলোচনা। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কেও অনেকেই জানতে আগ্রহী। মোবাইল থাকলেই যে টাকা ইনকাম করা যায় তা অনেকের কাছেই অজানা।
যেহেতু বাংলাদেশের এখন প্রায় ১০০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি জানতে পারলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষেরই ইনকামের সহজ উপায় তৈরি হয়ে যাবে।
পেজ সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
- মোবাইল দিয়ে প্রতি মাসে ২০০$ ইনকামের উপায়
- ২০২৪ সালে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
- মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম এর আরও কিছু সহজ উপায়
- মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয়ের পদ্ধতি
- ডাটা এন্ট্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
- মোবাইল থেকে টাকা আয় বিষয়ক কিছু জিজ্ঞাসা
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম app দিয়ে
- অ্যাপ থেকে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতিদিন ইনকাম
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টের উপায়
- বিকাশ থেকে মোবাইলে টাকা ইনকাম
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের অসুবিধা
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কিত প্রশ্ন
- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ব্যাপারে লেখক এর মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে প্রতি মাসে ২০০$ ইনকামের উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম ২০২৪ এ ফ্রিল্যান্সিং অনেক পপুলার একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং করে বিভিন্নভাবে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানি। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় মোবাইল ইনকাম মাধ্যম হচ্ছে এয়ার ড্রপ। আমরা এয়ার ড্রপের সাহায্য প্রতিমাসে ২০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারি।
মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি এটি মুদ্রা যার মান সারা বিশ্বে একই রকম। আর এই ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটিংকেই বলা হয় এয়ার ড্রপ। মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া। এয়ার ড্রপ ব্যবহার করে কি করে প্রতি মাসে সহজে ইনকাম করা যায় এর পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করব।
১ম ধাপঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার
এয়ার ড্রপ মূলত এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং। আর আমরা এখানে এয়ার ড্রপ সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ এয়ার ড্রপ এর সাহায্যে খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমেই টাকা ইনকাম করা যায়। আমাদের প্রথম ধাপে আমরা এয়ার ড্রপ সম্পর্কে তথ্যগুলা নিয়ে কথা বলব। এয়ার ড্রপ এর সাহায্যে প্রতি মাসে আপনি 100 থেকে 200 ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০২৪
প্রথমত এয়ার ড্রপ এর কাজ হচ্ছে টেলিগ্রামে জয়েন করা, টুইটারে ফলো করা কমেন্ট করা বা শেয়ার করা করা। মাঝে মাঝে ফেসবুকে ইউটিউবে শেয়ার করার জন্য এসব অ্যাপেও জয়েন করতে হয়। এয়ার্ড্রপ এ কাজ করার জন্য যে জিনিসগুলো লাগবে সেগুলো হলো,
- স্মার্টফোন
- জিমেইল
- টেলিগ্রাম
- টুইটার
- ফেসবুক
- ইনিস্টাগ্রাম
- মিডিয়াম
- ডিসকোড
- রেডিট
- লিংক ইন
এয়ার ড্রপ যেহেতু একটি মার্কেটিং পলিসি। ক্রিপ্টোকারেন্সি এর যে টোকেন মার্কেট এ আসে তা এয়ার ড্রপ এর সাহায্যে মার্কেট এ সেল করা হয়। এই টোকেনটা পরে এয়ার ড্রপ এর মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষ এটাকে কিনে। আর এয়ার ড্রপার যারা সেল করছেন তারা টোকেন পেয়ে থাকেন। এয়ার ড্রপ এর পেমেন্ট পাওয়ার বেশ কয়েক ধরনের মাধ্যম রয়েছে।
ট্রাস্ট ওয়ালেট এর মাধ্যমেই 90 পার্সেন্ট পেমেন্ট পেয়ে থাকেন। এছাড়াও আরো কিছু পেমেন্ট মাধ্যম রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, হুবোট ওয়ালেট, সোলানা ওয়ালেট, টোকেন পকেট, পেম্যাক্স, বিটমার্ট।এয়ার্ড্রবের পেমেন্ট আসতে মোটামুটি ১ থেকে ১.৫ মাস সময় লাগে। বিকাশ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের এয়ার ড্রপ পেমেন্ট দেওয়া হই।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করারঃ ২য় ধাপ
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম পদ্ধতির দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে যে অ্যাপ গুলোর কথা প্রথম ভাবে বলা হয়েছে, যাদের সাহায্যে এয়ার ড্রপ এর কাজ করতে হবে সেই অ্যাপ গুলোই ইনস্টল করার প্রসেস আমরা জানাবো। উক্ত অ্যাপগুলো হচ্ছে
- জিমেইল
- টেলিগ্রাম
- টুইটার
- ফেসবুক
- ইনিস্টাগ্রাম
- মিডিয়াম
- ডিসকোড
- রেডিট
- লিংক ইন
অ্যাপগুলো ইন্সটল করে অবশ্যই নতুন অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। একাউন্ট ক্রিয়েট করার সর্ব প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রত্যেকটা অ্যাপে এর একাউন্ট ইউজার নেম এক হবে। ইউজার নেম পরবর্তীতে কাজের সুবিধা হয়। প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন সব ধরনের ইনফরমেশন এবং গুগল একাউন্ট যেন সব ঠিকঠাক থাকে।
অ্যাকাউন্ট গুলো ক্রিয়েট করে অবশ্যই কিপ নোট অ্যাপে উক্ত একাউন্ট ক্রিয়েটকৃত অ্যাপগুলোর লিংক নোট করে রাখতে হবে। এটা পরবর্তীতে ব্যবহারে সাহায্য করে। অ্যাকাউন্ট গুলো সব ক্রিয়েট করার পর অবশ্যই পরের ধাপটি হচ্ছে পেমেন্ট মাধ্যম গুলো ক্রিয়েট করা। এখানে আমরা প্রথম ধাপে বলেছিলাম যে ট্রাস্ট ওয়ালেট এর মাধ্যমেই মূলত সব ধরনের পেমেন্ট এর কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।
কিন্তু এর সাথে আরও বাকি পেমেন্ট এর যে অ্যাপ গুলো রয়েছে সেগুলো যদি রাখা যায় তবে প্রয়োজনে অনেক সুবিধা হয়। আর অ্যাপের কাজ করার জন্য অবশ্যই ভিপিএন অন রাখতে হবে। পরবর্তীতে টেলিগ্রামের কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে বেশ কিছু গ্রুপ আছে যারা এ ধরনের কাজ করে থাকেন কানেক্ট থাকতে হবে।
৩য় ধাপঃ ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
তৃতীয় ধাপে আপনাদের জানানো হবে কিভাবে কাজ শুরু করতে হবে। মূলত যতগুলা অ্যাপের একাউন্ট খোলা হয়েছে এর মধ্যে টেলিগ্রাম এই আপনার কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি পাবেন।টেলিগ্রামের বেশ কিছু কমিউনিকেশন গ্রুপের কথা আমরা দুই নম্বর ধাপে বলেছি। এই গ্রুপগুলোতেই মূলত এই আমাদের কাজ পেয়ে যাব।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে 100$ ইনকাম করার ৪র্থ ধাপঃ
চতুর্থ ধাপে আমরা এয়ার ড্রপের জয়েন করার বিভিন্ন রকম পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। মূলত বিভিন্ন অ্যাপে যে এয়ার ড্রপের গ্রুপ রয়েছে সেই গ্রুপে কিভাবে জয়েন করব এবং গ্রুপ এ কাজ করতে পারব আমরা সে ব্যাপারে এখানে কথা বলব।
প্রথমে আসে টেলিগ্রাম বুথ। এ ব্যাপারে আমরা শুরুতে আলোচনা করেছি। টেলিগ্রামের মাধ্যমে যে বুথগুলো রয়েছে এয়ার ড্রপের, সেখানে সরাসরি বিভিন্ন ধরনের লিংকের সাহায্যে কাজ পাওয়া যাবে। গুগোলফ্রম তৈরি করার মাধ্যমে এয়ার ড্রপের বেশি কিছু কাজ রয়েছে।
আবার এমসিকিউ কোয়েশ্চেন দিয়েও বেশ কিছু এয়ার ড্রপ রয়েছে। এমসিকিউ কোয়েশ্চেন এর আনসার দিয়ে ইনকাম করতে হয়। গিভ ওয়ে এমন একটি এয়ার ড্রপ এর পদ্ধতি যেখানে কাজ করার মাধ্যমে বা লটারি মাধ্যমে টাকা ইনকামের সুযোগ পাওয়া যায়।
এবং এছাড়াও আরও যে বিষয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে টোকেন অ্যাড্রেস কোন কোন অ্যাপের মাধ্যমে এবং কোথায় দিতে হবে এবং অ্যাড্রেসগুলো কই থেকে পাবো এ ব্যাপারে আমাদের সম্পূর্ণ ধরনের ধারণা থাকা জরুরী। টোকেন অ্যাড্রেসের মধ্যে এসব জনপ্রিয় অ্যাড্রেসগুলো হচ্ছে,
- বি এস সি
- ইটিএইচ
- মাটিক
- ট্রন
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে 50$ ইন কাম করতে হয় তার ৫ম ধাপঃ
পঞ্চম ধাপ মানে শেষ ধাপে আমরা কি করে টাকা উইথড্রো করব এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এর শেষ ধাপটি হচ্ছে সমস্ত কষ্টের অবসান। টাকা উইথড্র করার আগে আমাদের জানতে হবে যে আমরা যে কাজগুলো করেছি তার পেমেন্ট অবশ্যই আমরা সাথে সাথে পাব না।
এই টাকা আসতে সর্বনিম্ন এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। এবং আপনি ঝড়গুলো কাজ করলেন তার উইনার লিস্টে যে আপনার কাজ গুলো থাকবে থাকবেন তারপরও নিশ্চয়তা নেই। তবে যেগুলোতেই থাকেন না কেন অবশ্যই ভালো একটা এমাউন্টের টোকেন আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য সব ধরনের লিংকে এবং কাজেই পার্টিসিপেট করতে হবে।
পরবর্তীতে যে টোকেনপাচ্ছেন আপনাকে সেগুলো কে ডলারে কনভার্ট করতে হবে। এরপর আদর্শ সাইট গুলোতে ডলার সেল করে সাইড গুলোতে গিয়ে ডলার ট্রান্সফার করে তা বাংলা টাকায় কনভার্ট করে নিতে হবে। এবং আপনি আপনার হাতে কনভার্ট করে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
আশা করি আপনারা যার ড্রপ এর মাধ্যমে কি করে অথেন্টিকভাবে এয়ার ড্রপ যে আসলেই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার আদর্শ মাধ্যম তা আপনারা জানতে পেরেছেন। এক থেকে দেড় মাস দেরি করে হলেও আসলেই আপনি সঠিকভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং আপনি আজীবন এই কাজ করে টাকা ইনকামের সুযোগ পাবেন।
২০২৪ সালে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম ২০২৪ সালের হিসাব করলে আমরা দেখতে পারি যে বর্তমানে বেশ কিছু জনপ্রিয় মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে বেশ ভালো পরিমাণের সহজেই সম্ভব হচ্ছে।
তবে তোমার জন্য অবশ্যই প্রথমে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়াশোনা করা জরুরী। আর মোবাইল দিয়ে ইনকাম হওয়া সত্ত্বেও এই কাজগুলো সবসময়ের জন্যই কার্যকর। নিচে আমরা এই কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আর্টিকেল রাইটিং করে টাকা ইনকাম
আর্টিকেল রাইটিং বর্তমানে টাকা ইনকাম করার খুবই পারফেক্ট একটি মাধ্যম। যেহেতু টাইপিং এর কাজ তাই টাকা ইনকাম করার জন্য খুব একটা পিসি বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয় না। ফোনের সাহায্যেই চাইলে কাম করা যায়। এবং ধরনের রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য এবং আর্টিকেল রাইটিং এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ঘরে বসে আয় করা যায়।
গেম স্ট্রিমিং করে টাকা ইনকাম
গেম খুবই পরিচিত একটি খেলা। বর্তমানে বড় ছোট সকলেই গেম খেলে থাকেন। যেহেতু আমাদের বর্তমান সকলের কাছেই এন্ড্রয়েড ফোন রয়েছে তাই গেম খেলতেও আমাদের কোনো বাধা নেই। কিন্তু এই গেমটা যদি আমরা এখন আমাদের ইনকামের স্বার্থে খেলে থাকি তবে দেখতে পাবো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারব।
তাই মোবাইলের মাধ্যমে বেশ কিছু গেমিং আপ রয়েছে যেখানে ইনকাম করতে পারবেন। ২০২৪ সালে দেখা যাচ্ছে সে প্লাটফর্ম গুলো খুবই উন্নত হয়েছে।
থাম্বনেল তৈরি করে টাকা ইনকাম
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে খুব সহজেই থাম্বেল তৈরি করা যায়। যাদের বিভিন্ন ব্লক লোগো বা ফটোশপের কাজ করার অভ্যাস হয়েছে তারা থাম্বেল তৈরি করে সহজেই বিভিন্ন ইউটিউব ফেসবুক চ্যানেলের জন্য বিক্রি করতে পারেন। থাম্বেল গুলো বানানোর ফলে প্রয়োজনে আরো অভিজ্ঞতা হলে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নেয়া যায়।
ক্যাপচা পূরণ করার মাধ্যমে ইনকাম
বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় রোবট নাকি মানুষ সে কনফার্মেশন এর জন্য বেশ কিছু ছক পূরণ করতে হয় এ সব পূরণ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এটাকেই ক্যাপচা বলা হয়। যদিও এখানে টাকা ইনকামের পরিমাণ খুবই কম। প্রতি এক হাজার ক্যাপচা পূরণ করলে এক ডলার ইনকাম করা যায়।
মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম এর আরও কিছু সহজ উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য আমরা বেশ কয়েক ধরনের পদ্ধতি এখন পর্যন্ত জানলাম। এই পদ্ধতি গুলো জানার জন্য আগে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কিন্তু এমন কিছু মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় রয়েছে যাদের মাধ্যমে সহজেই, কম সময়ে, প্রশিক্ষণ ছাড়াই ইনকাম করা সম্ভব।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম
আমরা এই সময় এসে ইউটিউব কি সেটা সবাই জানি। আর ইউটিউবে ভিডিও আমরা সবাই যেহেতু দেখি তাই আমরা এটাও জানি যে এইসব ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। ইউটিউবিং করে মোবাইলের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়। তাই শুরু থেকে যদি কেউ ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিয়ে ইনকাম করতে চায় তবে সেটাও সম্ভব।
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ও অনেকেই ঢাকা ইনকাম করে থাকেন। মূলত ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন কোন প্লাটফর্মে কোন বিষয়ে নিজের মতো মতামত প্রদান করা। একটা আর্টিকেল লেখার মত কাজ। এই আর এই কাজ বা টাইপিং গুলো মোবাইলের মাধ্যমেও সহজেই করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকিং করে টাকা ইনকাম
ফেসবুকের মাধ্যমে ও বর্তমানে টাকা ইনকাম করার অনেক সুবিধা রয়েছে। ফেসবুক আমরা শুধু কাটানোর একটি মাধ্যমিক হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগই জানিনা যে এখানেও টাকা ইনকাম করার উপায় রয়েছে।
ইউটিউবে যেমন ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায় তেমনি ফেসবুকেও ভিডিও বা ছবি আপলোড দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। নিয়মিত ভিডিও বা ছবি আপলোড করলে একটা সময় রিচ বারে এবং মানুষ বেশি দেখার কারণে সেখান থেকে ইনকাম শুরু হয়।
ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে ভিডিও দেখে এবং সেগুলো শেয়ার করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা আমাদের আগের টপিকে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এরকম আরো ধরনেরই অ্যাপ রয়েছে যেখানে ভিডিও দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়ে থাকে।
অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম
অ্যাড দেখে যে টাকা ইনকাম করা যায় তা অনেকেই জানতেন না। অ্যাড দেখে বা বিভিন্ন ভিডিওতে অ্যাড যুদ্ধ করে দর্শকদের দেখানোতেও টাকা ইনকাম হয়। দর্শক এই অ্যাড গুলো দেখলে আপনার একাউন্টে সরাসরি টাকা চলে আসবে।
মাইক্রো টাস্কিং করে টাকা ইনকাম
বেশ কিছু ছোট ছোট কাজ যেগুলোকে মাইক্রোটাস কিং বলা হয় সেই কাজগুলো বিভিন্ন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব। এ বিষয়ে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে লাইনে ঘাটাঘাটি করলে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে অনেক ইনফরমেশন পাওয়া সম্ভব।
ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম
মোবাইল ফটোগ্রাফি করে অনেকেই অনেক সুন্দর সুন্দর পারেন। এবং সেই ছবিগুলো পরবর্তীতে মোবাইলের মাধ্যমে এডিট করে ও কাজ চালানো যায়। অনেক বিখ্যাত ছবি রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে তোলা। ইন্সট্রুমেন্ট এর থেকে কিভাবে ছবি তুলছেন ছবি তোলা গ্রামার ঠিক আছে কিনা সেইগুলা মাথায় রাখলেও সুন্দর ছবি তোলা যায়। এবং প্রয়োজনে ইনকাম করা সম্ভব হয়।
মাইক্রো জব টাকা ইনকাম
মাইক্রো জব হচ্ছে এমন কিছু সাইট যেখানে খুব কম টাকা ইনকাম করা যায় এবং সেটা ফোন থেকেও কানেক্টেড থাকা সম্ভব। এই কাজ মূলত মাইক্রোটাস্কিং এর মতই হয়ে থাকে। এই সময় বেশ অনেক মাইক্রো জব সাইড রয়েছে। মাইক্রো জবসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সাইট হচ্ছে পিকো ওয়ার্কার্স। এছাড়াও আছে রেপিড ওয়ার্কার্স এক সাহায্য টাকা ইনকাম খুবই কমন।
প্রোডাক্ট সেল এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম
বর্তমানে অনলাইন বিজনেস খুবই জনপ্রিয় একটি টাকা ইনকাম করার মাধ্যম। আর লাইন বিজনেসের বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের যে সেল হয় তা মূলত বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে রিপ্রেজেন্ট করে বিক্রি করা হয়। আর বর্তমানে কারোর দোকান থাকুক বা না থাকুক একটি অনলাইন পেজ রয়েছে।এবং ক্রেতারাও চাষের সাথে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে থাকেন।
ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম
ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার মতোই। ফেসবুকে যেমন ভিডিও বা ছবি শেয়ার করার মাধ্যমে ভিউ বাড়িয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ইনস্টাগ্রামেও একে উপায়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এবং বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন এড করেও আপনি এক্সট্রা টাকা ইনকাম করতে পারেন।
পিটিসি সাইট থেকে টাকা ইনকাম
পিটিসি ফুল ফর্ম হচ্ছে পেট টু ক্লিক। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যারা চুরি করে থাকেন। তারা এইপিসি মাধ্যমে মূলত আপনি বা আমি কাউন্ট তৈরি করব তারা এডগুলো দেখবেন এবং সে কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার কারণে বেশকিছু টাকা প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।
তাই আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করে ওই ওয়েবসাইট গুলোর বিজ্ঞাপন গুলো যদি করে দেখেও থাকেন তাহলেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। বেশ কিছু পিটিসি এর ওয়েবসাইট এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নিয়োবাক্স, ক্লিকসেন্স, ফ্যামিলি ক্লিকস।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে এর ভিতরেই বেশ ছোট ছোট কিছু কাজ রয়েছে যেখানে খুব সহজেই খুব তাড়াতাড়ি কাজগুলো শিখে ইনকাম করা সম্ভব। আমরা পূর্বে বেশ কিছু নেট ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণা আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আরো কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছেনিচে এর লিস্ট বলা হচ্ছে,
- কপিরাইটিং
- ব্লক কমেন্টিং
- ফোরাম পোস্টিং
- প্রুফ রিডিং
- ট্রান্সক্রিপশন
অনলাইন টিউশন করে টাকা ইনকাম
করোনা মহামারীর পর অনলাইন টিউশন জনপ্রিয় একটি ব্যবস্থা হিসেবে গৃহীত হয়েছে। যেহেতু মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছিল না আবার পড়াশোনারও প্রয়োজন রয়েছে তাই শোনো সুবিধাজনক এই অনলাইন টিউশন৷ আর সেটা বর্তমানেও করোনার পরেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য টিউশন খুবই জনপ্রিয় বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ওয়েবটক থেকে টাকা ইনকাম
ওয়েব টক এক ধরনের ফেসবুক এর মত সোশ্যাল মিডিয়া। এই প্লাটফর্মেও বা ইনিস্টাগ্রাম এর মত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু এখানে কিছু বাধা ধরা নিয়ম রয়েছে। ওয়েব টক এর বিষয়টা হচ্ছে আপনি যা ইনকাম করবেন তার ফিফটি পার্সেন্ট আপনাকে দেয়া হবে। আপনি যত বেশি লাইক কমেন্ট করতে পারবেন আপনার তত বেশি ইনকাম হবে। আর আপনি এখানে ইনকাম করে সহজেই পাইওনিয়ারের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
রিসেলিং করে টাকা ইনকাম
রিসেলিং খুব সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ একটি ইনকাম মাধ্যম। এখানে আপনি কিছু টাকার জিনিস কিনে ওই জিনিসটাকে যে টাকা দিয়ে কিনেছেন তার থেকে লাভ নিয়ে বিক্রি করবেন। এবং খুব একটা ইনকাম না হলেও আপনার বেশ কিছু লাভ আসবে।
এভাবে আস্তে আস্তে আপনি যদি প্রোডাক্টের হারাতে পারেন তবে আপনার লাভ আরো বৃদ্ধি পাবে। আর ফেসবুক বা কোন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি ব্যবসায় গ্রাহক খুঁজে পাবেন। এটা মোবাইল ভিত্তিক আপনি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
পুরাতন পণ্য বিক্রি করে ইনকাম
এরকম পুরাতন পণ্য বিক্রি করে বেশ অনেক ধরনের পেট রয়েছে। আবার অনেক দোকানও দেখতে পাওয়া যায়। ফেসবুকের মাধ্যমে এই ধরনের ইনকাম করা খুবই সহজ। কারণ ফেসবুক বা গ্রাম যেহেতু একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তাই এইসব জায়গায় মানুষের আনাগোনা বেশি হওয়ার কারণে মানুষ তার কাঙ্খিত বস্তুটি যদি কম টাকায় ভালো অবস্থায় পেয়ে থাকে তবে সে প্রোডাক্ট টি নিতে আগ্রহী থাকে।
ডেলিভারি সার্ভিসে কাজ করে টাকা ইনকাম
ডেলিভারি সার্ভিস বর্তমানে কার্যকর একটি সাইট বিজনেস। অনলাইন ইনকাম বা অনলাইন বিজনেস চালু হওয়ার জন্য ডেলিভারি বিজনেসটাও খুবই ফুলে ফেপে উঠেছে। সার্ভিস এর বিজনেস এর জন্য ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করে সার্ভিস এর কাজ করা যায়। এরকম বেশ কিছু ধরনের ডেলিভারি সার্ভিস অ্যাপ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফুড ডেলিভারি, ফুড পান্ডা।
ড্রাইভিং করে টাকা ইনকাম
বর্তমানে যত অনেক রাইট শেয়ারিং অ্যাপ রয়েছে। এই রাইট গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে অনেক বেকার ছেলে মেয়ে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। এবং এই কাজগুলোর জন্য মোবাইল দিয়ে কানেক্টেড থাকা যায়।
দারাজ অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম
দারাজ যেহেতু একটি অনলাইন বিজনেস এর মধ্যে পড়ে আর দারাজ তাদের অ্যাপ যেহেতু অনেক আপডেট করেছে তাই দারাজ অ্যাপ কে ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্য প্রেজেন্ট করতে পারেন। এবং যারা দারাজের নিয়মিত ক্রেতা তারা এই পণ্যগুলো দেখে অর্ডার দিতে পারবেন। আপনি একটা বড় প্লাটফর্ম পাবেন ইনকাম করার জন্য।
শৃঙ্ক মি থেকে টাকা ইনকাম
সিঙ্ক মি শেয়ার করা জাতীয় ওয়েবসাইট। মূলত এই ওয়েবসাইট বিভিন্ন লিংক কপি পেস্ট করে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে। এর ভিতর যদি এড দেওয়া যায়
মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয়ের পদ্ধতি
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সম্পর্কে আমরা খুব একটা অবগত না। প্রতিদিন খুব সহজেই ৫০০ টাকাথেকে ৭০০ টাকা ইনকাম করা যায়।এরকম অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলো দিয়ে মোবাইল থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আর আমরা আজকে একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম যাকে বিজ্ঞাপন বলা হয় সেই বিষয়ে খুব সহজে কি করে ইনকাম করা যায় তাই নিয়ে আলোচনা করব।
বিজ্ঞাপন সম্পর্কে আমাদের সকলের কম বেশি ধারণা রয়েছে। বিজ্ঞাপন মূলত সেগুলোই যেগুলো বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখার সময় ভিন্ন প্রোডাক্টের প্রচারণা চলে আসে। এবং আমরা এগুলো দেখতে বাধ্য হই। এই জোর করে দেখানোর ফলেই মূলত ইনকাম হয়।
এবং খুব সহজেই অতিরিক্ত প্রেসার না নিয়ে এক্সট্রা কোন কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিজ্ঞাপন দেখে সহজেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আমরা সবাই কমবেশি ঘন্টা দেরেক আমাদের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করি অযথাই। কিন্তু এই সময়টা নষ্ট না করে যদি আমরা বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে পারি তবে আমাদের সময় নষ্ট হলো না।
যেহেতু বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করার জন্য কোন দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না তাই এটার জন্য আলাদা সময় নষ্ট হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকাম করার বেশ কিছু টুল রয়েছে। নিচে গুলগুলা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
নিওবক্স ডট কম
এই ওয়েবসাইটটি মোটামুটি বেশ পুরনো এবং এটি বাংলাদেশের জন্য বহুল ব্যবহৃত। এই ওয়েবসাইটে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। এর মাধ্যমে তোর টাকা ইনকাম করা যায়ই এছাড়াও খেলেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এখানে যে টাকা ইনকাম করা যাবে তা পরবর্তীতে পেপাল এর মাধ্যমে তোলা যায়।
ইরাজু ডট কম
এখানে আপনি কিছুই করবেন না শুধু বিজ্ঞাপন টা দেখবেন আপনি ঘন্টায় ঘন্টায় মিনিটে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি টাকা ইনকাম করার একটি সহজ মাধ্যম। এখানে প্রথমে রেজিস্টার করতে হয়। এবং এখানেও পেপালের মাধ্যমে তুলতে হয়।
স্লাইড জয়
এই অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। এটা একটি মাধ্যম কোন ওয়েবসাইট নয়। খুবই হালকা একটি অ্যাপ এবং ফোনেও ব্যবহার করা যায়। মূলত প্রথমে google play store থেকে আপনার অ্যাপ টাকে ইন্সটল করতে হবে। এবং ওপেন করলে আপনার স্ক্রিনে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন আসবে এবং বিজ্ঞাপন গুলো দেখলেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় সেক্টর টাকা ইনকাম করার জন্য। এবং অনেক মানুষ এই প্লাটফর্মে কাজ করে থাকেন। ডাটা এন্ট্রি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি ইনকাম প্ল্যাটফর্ম। ডাটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পথে পা বাড়ানো যায়।
বর্তমানে আমরা সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। এই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা ল্যাপটপ বা পিসির মতই অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। তাই অনেক কাজই মোবাইল এ করা সম্ভব। এমনকি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজও আমরা মোবাইল দিয়ে করে ফেলতে পারি। নিচে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে কি করে টাকা ইনকাম করা যায় মোবাইলের মাধ্যমে সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
মূলত ফ্রিল্যান্সিং এ ডাটা এন্ট্রিকাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কারণ ফ্রিল্যান্সিংকরে ডাটা এন্ট্রি সবচেয়ে সহজ একটি ইনকাম মাধ্যম। এজন্য প্রথমে ফোনের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ইন্সটল করতে হবে এবং সেখানে অ্যাকাউন্ট খুললে কাজের লিস্ট পাওয়া যাবে।
অনলাইন সার্ভে করে টাকা ইনকাম
অনলাইনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি ডাটা সংগ্রহ করার মাধ্যমে অনলাইন সার্ভেতে অংশ নিতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য সার্ভে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে রয়েছে গুগল ওপিনিয়ন, সার্ভে যাংকি। এসব জায়গায় অনলাইন সার্ভে করার জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন হয়। আর এই শেয়ার করার জন্য প্রত্যেক কাজের জন্য মিনিমাম 1 থেকে 2 ডলার ইনকাম করা যায়।
মাইক্রো ট্রাস্টিং করে ডাটা এন্ট্রি তে টাকা ইনকাম
মাইক্রো টাস্কিং এর জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইটে গিয়ে মাইক্রোটাস্কিং প্লাটফর্ম গুলোতে কিছু ডাটার এন্ট্রি করার পাশাপাশি এর অতিরিক্ত কাজগুলো করেও ডাটা এন্ট্রি ছাড়াও আরো বেশ কিছু এক্সট্রা কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মাইক্রো টাস্টিং এর বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে amazon, ক্লিক workers ইত্যাদি।
ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম
আপনি যদি ভাল ডাটা এন্ট্রি এবং টাইপ রাইটিং এর কাজ করতে পারেন তবে মোবাইলের সাহায্য খুব সহজেই আজকের প্রশ্নের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। ট্রান্সক্রিপশন মূলত কোন অডিও কে টাইপ করে ডাটা তে রূপান্তর করাকে বোঝায়। ডাটা এন্ট্রির এই কাজগুলো অনেক সহজ হওয়ার কারণে মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়।
কবে পেস্ট করে টাকা ইনকাম
ডাটা এন্টির সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে কপি পেস্ট করা। অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যাদের তথ্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে করতে হবে। বিভিন্ন রকম সংখ্যা অক্ষর লেখায় ইত্যাদি কবে পেস্ট করা লাগে। এ কাজল অনেক ছোট হওয়ার কারণে খুব কম টাকা থেকে ইনকাম করা যায়।
ডাটা কালেকশন করে টাকা ইনকাম
বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ হচ্ছে ডাটা কালেকশন। ডাটা কালেকশন বলতে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি জায়গায় জড় করাকেই বুঝায়। আর এই কাজগুলো ফোন ব্যবহার করে খুব সহজে করা যায়। ছবি তোলা থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহ করা, রেকর্ড করা, সার্ভে করা, সার্ভের উত্তর নেওয়া, প্রশ্ন তৈরি করা ইত্যাদি সবই ডাটা কালেকশনের অন্তর্ভুক্ত।
মোবাইলের ডাটা এন্ট্রি করে কম সময় ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে এবং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সব সময় একটিভ থাকতে হবে। কারণ একটিভ না থাকলে কাজ খুঁজে পাবেন না। এক্ষেত্রে ভাগ্য এবং পরিশ্রম দুটি প্রয়োজন হয়। আর পরিশ্রম করলে অবশ্যই ছোট ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করেই ১০০ থেকে ৫০০ ডলার আয় করা যায়।
মোবাইল থেকে টাকা আয় বিষয়ক কিছু জিজ্ঞাসা
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি টাকা ইনকাম করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আমাদের এই আর্টিকেল পড়লে আপনি মোবাইল থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এ বিষয়ে সব ধরনের সমাধানই আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন ১০০ ডলার ইনকাম করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ প্রতিদিন ১০০ ডলার ইনকাম করা মোবাইল মাধ্যমে সম্ভব। আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিদিন ১০০ ডলার বা তারও বেশি ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো আপনাকে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাতে।
প্রশ্নঃ টাকা ছাড়াই দিয়ে টাকা আয় করা যায়?
উত্তরঃ টাকা দেওয়া ছাড়াই খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
প্রশ্নঃ কিভাবে মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম হয়?
উত্তরঃ মোবাইল থেকে টাকা ইনকামের অনেক ধরনের মাধ্যম রয়েছে৷ আজকের আমরা এই আর্টিকেলেই এই বেশ কিছু ধরনের মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম app দিয়ে
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে সঠিক অ্যাপ ইনস্টল করা। আমাদের ফোনে ভিন্ন ধরনের অ্যাপ সার্ভিস রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না যে আমাদের ইনকাম করার সুবিধার্থে কোন অ্যাপ গুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সঠিক অ্যাপ সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে গুগল থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে টাকা ইনকাম করি।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম অ্যাপ সম্পর্কে আমাদের সকলেরই আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু সঠিক অ্যাপ সম্পর্কে ধারণা থাকলে অনেক সময় ফলস অ্যাপ এর ইনফরমেশন আমাদের ফোনের ক্ষতি করতে পারে না। তাই সঠিক এবং প্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো সম্পর্কে আমরা নিচে ধারণা দিতে পারি।
- Earn Karo
- Coins
- Google Opinion Rewards
- Swag Bucks
- Make Money
- Earn Easy
- Roz Dhan
অ্যাপ থেকে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতিদিন ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এর মধ্যে অ্যাপ থেকে ইনকাম চাহিদা সম্পন্ন। আজকে আমরা সঠিক উপায়ে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। অনেকেই সঠিক নিয়মে টাকা ইনকাম করতে পারেন না বলে মনে করেন যে অ্যাপ থেকে আসলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। তাই আজকে আটটি সেরা অনলাইন অ্যাপ আলোচনা করব।
Earnkaro
এই অ্যাপটি ইন্সটল করার মাধ্যমে পরে একটি রেফারেন্স লিংক শেয়ার করতে হয় আর লিংকটা যেই ইন্সটল করবে সেই ৫০ টাকা বোনাস পাবে সাথে আপনিও ৫০ টাকা পাবেন। কিন্তু এই বোনাস টি তোলা যাবে না যদি না যে এই থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করেছেন তিনি ইনকাম করছেন। এ ছাড়া আর কিছু সুবিধা অসুবিধা এই অ্যাপ থেকে রয়েছে।
একাউন্ট তৈরি করা যায় সহজেই। ১০ টাকায় হল টাকা তুলে ফেলা যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে লগইন করতে সমস্যা হয়। পেমেন্টটাও একটু ঝামেলা করে। কোন সমস্যা হলে সরাসরি ইনফরমেশন পাওয়া যায় না।
রোজ ধান
এই অ্যাপটি আপনি প্লে স্টোর থেকে সরাসরি পেয়ে যাবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন। এই আপনি মূলত রাশিফল এবং ধাঁধা জাতীয় অ্যাপ। এবং এই অ্যাপের রেফারেন্সিং আপনি অন্য কাউকে শেয়ার করলে সে যদি সাইন আপ করে তাহলে আপনি ৫০ টাকা পাবেন। এবং 300 টাকার মতো ইনকাম করলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন।
যে কেউ টাকা ইনকাম করতে পারেন এই অ্যাপ থেকে। মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই কাজ করা যায়। একটি খুবই সুরক্ষিত। কিন্তু অনেক সময় ও কোন সাইট থেকে ইন্সটল করতে গেলে এই অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। ইন্টারনেট ছাড়া ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ২০০ টাকার উপরে ইনকাম না করলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন না।
টাক্স বক্স
একটি কুইজ অ্যাপ এর মাধ্যমে সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।স্টুডেন্টদের জন্য এই অ্যাপটি খুবই কার্যকর এবং সময় সাপেক্ষ। মূলত অ্যাপের মাধ্যমে ভিতরে ঢুকলে আপনি কুইজের দেখা পাবেন এবং উত্তর দিতে পারলেই সঠিক পেয়ে যাবেন। এবং কয়েন গুলো পরবর্তীতে টাকায় কনভার্ট করে একাউন্টে তুলতে পারবেন।
এই অ্যাপটির মধ্যে কাজ করলে সহজেই রিচার্জ এবং ক্যাশ পাওয়া যায়। শুধু করিস না সাথে আরো গেম খেলার অপশন রয়েছে। অ্যাপের কোন সমস্যা হলে কাস্টমার কেয়ার পাওয়া যায়। আইডি তো টাকা মোবাইলে চার্জের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। কিন্তু এর কোন কম্পিউটার অ্যাপ নেই। কোন কারণ ছাড়াই অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ওয়াই সেন্স
এটি একটি গিফট কার্ড জাতীয় অ্যাপ। বিভিন্ন কোম্পানির সার্ভেগুলো আপনি সম্পূর্ণ ঢাকাই ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এই সার্ভেগুলোতে সম্পূর্ণ সঠিক ইনফরমেশন দিলেই আপনি তাদের পণ্য সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে পারলে আপনাকে এই অ্যাপটি সার্ভে করতে পারমিশন দিবে।
এই সার্ভে করলে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়। পার্ট টাইম কাজ করে এই অ্যাপের মাধ্যমে বেশি আয় করার সুযোগ রয়েছে। এটি অনেক পুরনো এবং খুব বেশি সংরক্ষিত। কিন্তু তাদের নীতিগুলো মেনে না চললে যেকোনো সময় তারা ব্লক করে দিতে পারে। আর সার্ভের জন্য আপনাকে অবশ্যই কোন দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কয়েন টিপলি
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি এর মধ্যে এটি খুবই সহজ একটি উপার্জন করার জন্য অ্যাপ। যার মাধ্যমে আপনি সহজে যে কোন ধরনের গেম বিজ্ঞাপন বা বিভিন্ন ধরনের সার্ভ করে ইনকাম করতে পারেন।
সে অনুযায়ী আপনাকে কয়েন দিয়ে সেটা পরবর্তীতে টাকায় কনভার্ট করে নিতে হবে। এই কয়েন গুলো আপনি চাইলে লটারি বোনাস হিসেবেও নিতে পারেন। এই কয়েন থেকে আপনার ইন্টারেস্টের সুবিধার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন।
এই অ্যাপসে আপনি বেশি কম কাজ করে। গেম খেলে এবং ভিডিও দেখো হায় করা যাবে। ডলার ইনকাম করা সহজ হবে। কিন্তু অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব হয় না। টাকা তুলতে সমস্যা হয়। এছাড়া আপনার একাউন্টটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
স্বগবাকস ইনকাম
এই অ্যাপটি বিভিন্ন ধরনের মাল্টিপল ভাবে ইউজ করা সম্ভব। অ্যাপ এর মাধ্যমে কেনাকাটা বা গেম যেকোনো কিছু করেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যারা এখানেও সার্ভে করে বেশ কিছু ডলার ইনকাম করা যায়। এখানে কার্ড প্রদান করা হয় ব্যবহারকারীদের জন্য। আবার যদি রেফার করেন তবে সেখানেও ১০ ডলার ইনকাম করবেন।
মোবাইল বা কম্পিউটারের জন্য আলাদা ব্যবহার সুবিধা রয়েছে। ফ্রী বোনাস রয়েছে ব্যবহারকারীদের জন্য। এখানে শপিং এ গিফট কার্ড জেতা সম্ভব। এবং ডলার ইনকাম করা যায়। কিন্তু এখানে অ্যাপের সমস্যা দেখা দেয়। সার্ভে রিওয়ার্ড পাওয়া যায় না। লিং সব সময় সঠিকভাবে কাজ করে না
আর্নইজি
এটি ব্যবহার করেও সহজে ইনকাম করা যায়। তাদের কাজগুলো সম্পূর্ণভাবে করলে ইনকাম করা সম্ভব হয়। মূলত তাদের কাজগুলো হচ্ছে ভিডিও দেখে ইনকাম করা। আর আপনি এখানে ইনকাম করতে পারবেন সাথে সাথে একাউন্ট খুললে। এবং আপনি এই আপনার একাউন্ট থেকে যদি রেফার লিংক দিয়ে থাকেন তবে লিংকটি ব্যবহৃত হলে আপনি সেখানেও পঞ্চাশ টাকা বোনাস পাবেন।
কোন সমস্যা হলেই তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। এবং টাকা আপনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু নতুনদের জন্য একটু কঠিন ব্যবহার করতে। এবং ৫০ টাকার উপরে ইনকাম না করলে টাকা তোলা সম্ভব হয় না।
মেক মানি
এই অ্যাপটি খুবই বিখ্যাত টাকা ইনকাম করার জন্য। সহজেই উপার্জন করার জন্য এই অ্যাপটি প্রথমে টেস্টিংয়ের জন্য ইন্সটল করা যায়। টেস্টিং করে যে ইনকামটা হবে সেটাও আপনি উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও রেফার করার জন্য আপনাকে লিংক দেয়া হবে যার মাধ্যমে আপনি প্রতি রেফারেন্সের জন্য এক ডলার করে বোনাস পাবেন।
সহজে টাকা আয় করার একটি সহজ মাধ্যম। সুরক্ষিত এবং খুবই ব্যবহৃত। পাঁচ ডলার হওয়ার পর আপনি টাকাও তুলতে পারবেন। পার্ট টাইম কাজ হিসেবে খুবই উপযোগী। কিন্তু এটা বেশ কিছু খারাপ সাইড্রেসে যেমন খারাপ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায়। পেপাল ছাড়া এ টাকা উঠানো যায় না।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্টের উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করার মাধ্যম খুবই আগ্রহ প্রদানকারী এটি অ্যাপ। বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম সরাসরি সম্ভব নয়। কিন্তু যদি বিকাশে টাকা তোলা যাবে এমন অ্যাপ দিয়ে টাকায় করা আয় করা যায় তবে এটা আমাদের জন্য খুবই সুবিধা জনক। আর এমন একটি সহজ অ্যাপ হচ্ছে ওয়েব পে।
আরও পড়ুনঃ সহজ পদ্ধতিতে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ ২০২৪
ওয়েব পে এর মাধ্যমে বেশ কিছু কাজ করে খুব সহজেই বিকাশ থেকে টাকা আয় করা যায়। ওয়েব পে ইনস্টল করে নাম, মোবাইল নাম্বার ও অন্যান্য ইনফরমেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা যায়। পরবর্তীতে বেশ কিছু ক্যাটাগরির কাজ সামনে আসে এবং এই ক্যাটাগরি কাজগুলো করলে যে কয়েন গুলো পাওয়া যায় পরবর্তীতে টাকায় কনভার্ট করা সম্ভব।
বিকাশ থেকে মোবাইলে টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে বিকাশের ব্যবহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিকাশ আমাদের প্রত্যেকেরই ঘরে ঘরে টাকা লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম। যেহেতু এর মাধ্যমে ইনকাম করার বিষয়ে সকলেই আগ্রহী তাই অনেকেই আগ্রহী এটাও জানতে যে বিকাশের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় কিনা। তাই আজকে আমরা জানব কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে সহজেই মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।
যেহেতু আমরা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি জানব তাই আমাদের প্রথমেই যেনে রাখা জ্রুরি যে বিকাশ দিয়ে কিন্তু ইনকাম সরাসরি সম্ভব নয়। মূলত বিকাশকে ব্যবহার করে অন্য মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। আবার খুবই কম ধরনের পদ্ধতি রয়েছে যেখানে বিকাশ থেকে সরাসরি টাকা ইনকাম করা যায় এবং আমরা আজকে নিচের আলোচনায় সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব।
রেফার করে টাকা আয়
বিকাশের রেফার শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মূলত এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক বা youtube একাউন্ট চালাতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি এই রেফারেন্স সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন। এবং আপনি আপনারি রেফারেন্স নাম্বারটি অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করার মাধ্যমে একটিভ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
রেফারেন্স নাম্বারটি আপনি আপনার পরিচিত দের সাথে শেয়ার করলে তারা যদি নাম্বারটি দিয়ে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করেন তবে তারাও ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন এবং আপনিও রিওয়ার্ডস্বরূপ ১০০ টাকা পাবেন। প্রতি একজন রেফারেন্স করলে আপনি ১০০ টাকা করে লাভবান হবেন। এভাবে আপনি প্রতি রেফার এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
বিকাশ অ্যাপ ট্রেডিং এ ব্যবহার
ট্রেডিং একটি প্ল্যাটফর্ম এখানে বিকাশ থেকে সহজে ইনকাম করা যায়। তবে ট্রেডিং প্লাটফর্ম সম্পর্কে অবশ্যই আগে ভালোভাবে ধারণ থাকতে হবে। কারণ ট্রেডিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সহজেই সবাই বুঝতে পারেন না যে কখন ট্রেডিং এর লাভ বা লোকসান অথবা আয় বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত এ বিষয়ে এইজন্য আগে থেকেই ধারণা থাকা জরুরী।
না বুঝে বিনিয়োগ করলে আপনার অবশ্যই লস হবে এবং আপনি বিকাশ দিয়ে আয় করতে সক্ষম হবেন না। তবে আয় করার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে ওই প্লাটফর্মটি বিকাশে টাকা গ্রহন করে কিনা। মূলত টাকার বিনিয়োগটা বিকাশের মাধ্যমে হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে ওই প্লাটফর্মটিতে বিকাশে টাকা আদান-প্রদান করা যায় না।
পয়েন্ট রিওয়ার্ড এর মাধ্যমে আয়
বিকাশের মধ্যে অনেক সময় দেখা যায় যে পয়েন্ট দিয়ে থাকে টাকা লেনদেন করার জন্য। মূলত এই পয়েন্টগুলো পরবর্তীতে জমা হয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট হলে তারপর রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।আর তাই বিকাশে বেশি বেশি করে পেমেন্ট করে পয়েন্টের সুবিধা গ্রহণ করে সহজেই আয় করতে পারেন। রিওয়ার্ড পয়েন্টে বিভিন্ন ধরনের নাম রয়েছে।
ব্রোঞ্জ থেকে প্লাটিনাম ডায়মন্ড সব ধরনের স্তর রয়েছে। আপনি একটি পদক্ষেপ অতিক্রম করলে আরো একটি স্তরে এন্ট্রি করতে পারবেন। এবং এভাবে আপনি এই রিওয়ার্ড পদ্ধতিটার সর্বোচ্চ স্থল অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন। অনেকে এই রিওয়ার্ড সিস্টেম অফ করে রাখলেও রিওয়ার্ড সিস্টেম টা একবার চালু করার জন্য অটোমেটিক চলতেই থাকে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের অসুবিধা
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অসুবিধা ও দেখতে পাওয়া যায়। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা জেনেছি।মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যেহেতু খুবই একটি জনপ্রিয় মাধ্যম তাই এর সুবিধা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু অসুবিধা সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই কম। নিজের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- বিভিন্ন অ্যাপসে কাজ করলে দেখা যায় মাঝে মাঝে ওটিপি বন্ধ হয়ে আছে।
- একই মেইল থেকে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হয় না।
- একই ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- কোন সমস্যায় পড়লে সরাসরি সমাধান পাওয়া সম্ভব হয় না।
- ভুল করলে সম্পূর্ণ একাউন্ট ডিএক্টিভেট হয়ে যায়।
- ৫০০ টাকার উপরে ইনকাম না করলে টাকা তোলার সম্ভব হয় না।
- কোন কারন ছাড়াই অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভেট হয়ে যেতে পারে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কিত প্রশ্ন
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং একটি কম্পিউটার বেজ কাজ বলে আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মোবাইল দিয়ে যে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় তা অনেকেই জানেন না। কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রশ্নঃ বিকাশ দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়?
উত্তরঃ বিকাশ বাংলাদেশের জন্য একটি জনপ্রিয় টাকা উত্তোলনের ও টাকা পাঠানোর মাধ্যম। বিকাশের ব্যবহার যেমন আমাদের প্রত্যেকেরই ঘরে ঘরে রয়েছে। তেমনি বিকাশ দিয়েও খুব সহজেই কাম করার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে। বিভিন্ন রকম পয়েন্ট, ট্রেডিং প্লাটফর্ম বা রেফার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
প্রশ্নঃ অনলাইন প্লাটফর্মের পেমেন্টের জন্য বাংলাদেশের কোন মাধ্যমটি সবচেয়ে সেরা?
উত্তরঃ অনলাইন মাধ্যমের পেমেন্ট এর সুবিধার্থে সবচেয়ে সেরা মাধ্যমটি হচ্ছে বিকাশ।
প্রশ্নঃ মোবাইল থেকে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?
উত্তরঃ মোবাইল থেকে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ব্যাপারে লেখক এর মন্তব্য
আজ আপনারা এতক্ষণ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় ও অ্যাপ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা পড়লেন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে যে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে এ বিষয়ে আপনারা এই আর্টিকেল থেকে ইনকামের পদ্ধতি, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ এবং উইথড্র করার সিস্টেম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পেয়েছেন।
আমরা যথাযথ চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে টাকা ইনকাম করার আদর্শ পদ্ধতিগুলো জানাতে। আমাদের একটাই লক্ষ্য যেন আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। মোবাইল যেহেতু আমাদের প্রত্যেকেরই হাতে হাতে রয়েছে তাই যদি ইনকাম করা সম্ভব হয় তবে অবশ্যই যারা আমরা বেকার আছি তারা এই প্লাটফর্মে ইনকাম করতে পারবেন। 2024112
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url