OrdinaryITPostAd

বর্তমানে মাস্টার কার্ড করার নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিন

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম জানতে চান! বর্তমান যুগে সবকিছুই ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে চালনা করা হচ্ছে। মাস্টার কার্ড তার মধ্যে অন্যতম একটি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা। 

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

মাস্টার কার্ড করার উপায় হচ্ছে যে কোন মাস্টার কার্ডের সাথে অংশীদারি আছে এমন ব্যাংকের কাছে গেলে জানা যায়। তবে আজকে আমরা আপনাদেরকে আর্টিকেলে জানাবো একটি মাস্টার কার্ড করার জন্য আপনাকে প্রথম থেকে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে। 

সূচিপত্রঃ মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

মাস্টার কার্ড কি জেনে নিন

মাস্টার কার্ড পড়ার নিয়ম জানার আগে মাস্টার কার্ড কি তা জানা বেশি জরুরী। মাস্টার কার্ড হচ্ছে একটি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক প্রসেসর যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার,যারা মাস্টার কার্ড পেমেন্ট কার্ড ইস্যু করে যা মাস্টার কার্ড নেটওয়ার্ক কে এককভাবে প্রক্রিয়া করা হয়।মাস্টার কার্ড আয়ের প্রাথমিক উৎস ফি থেকে আসে।

যা এটির প্রতিটি কার্ডের গ্রস ডলার ভলিউমের ওপর ভিত্তি করে ইস্যুকারীদের থেকে চার্জ করে। মাস্টার কার্ড নিজেই একটি আর্থিক পরিষেবার ব্যবসা যা প্রাথমিকভাবে মোট ডলার ভলিউম ফি থেকে রাজস্ব উৎপন্ন করে। 

মাস্টার কার্ড গুলো মাস্টার কার্ড লোগো সহ সদস্য ব্যাংক গুলো জারি করে এবং ওপেন লুপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে যে কার্ডটি মাস্টার কার্ড ব্র্যান্ড গৃহীত যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে। পেমেন্ট শিল্প জুড়ে প্রধানত চারটি পেমেন্ট কার্ড প্রসেসর রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে মাস্টার কার্ড।

প্রতিটি কোম্পানি একটি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে এবং কার্ড অফার করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার হয়। সমস্ত ইলেকট্রনিক প্রেমেন্ট কার্ডে কার্ডধারক নাম্বার থাকে যা একটি ইস্যুয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার দিয়ে শুরু হয় যা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট এর জন্য নেটওয়ার্ক প্রসেসরকে আলাদা করে। 

মাস্টার কার্ডের প্রকার

সাধারণত মাস্টার কার্ড চার প্রকারের হয়ে থাকে, তবে এই চার প্রকার কার্ডের প্রতিটিরও ভিন্ন ভিন্ন প্রকার রয়েছে। কাস্টমাররা তাদের চাহিদা এবং আয় অনুযায়ী এ কার্ডগুলো বাছাই করে থাকে- 

  • ক্রেডিট কার্ড 
  • ডেবিট কার্ড 
  • প্রিপেইড কার্ড 
  • এবং গিফট কার্ড

ক্রেডিট কার্ড গুলোর মধ্যে রয়েছে

  • স্ট্যান্ডার মাস্টার কার্ড
  • প্ল্যাটিনাম মাস্টার কার্ড
  • ওয়ার্ল্ড মাস্টার কার্ড 
  • ওয়ার্ল্ড ইলাইট মাস্টার কার্ড

ডেবিট কার্ড গুলোর মধ্যে রয়েছে

  • স্ট্যান্ডার ডেভিড মাস্টার কার্ড
  • প্ল্যাটিনাম ডেভিড মাস্টার কার্ড
  • ইনহান্স ডেবিড মাস্টার কার্ড
  • ওয়ার্ল্ড ডেবিড মাস্টার কার্ড

প্রিপেইড কার্ড গুলোর মধ্যে রয়েছে

  • এভরিডে প্রিপেইড কার্ড
  • ট্রাভেল প্রিপেইড কার্ড

গিফট কার্ড

  • প্রিপেইড গিফট কার্ড
  • ওয়াইল্ড লাইফ ইম্পেক্ট গিফট কার্ড

মাস্টার কার্ড ব্যবসা

মাস্টারকার্ড ২০২০ সালে $৬.৩ ট্রিলিয়ন মূল্যের গ্রস ডলার ভলিউম রিপোর্ট করেছে, যা তার সমস্ত কার্ড অফারে ব্যাপকভাবে লেনদেন করা অর্থের পরিমাণ দেখায়। ব্যাপকভাবে, এর কার্ড অফারগুলোর মধ্যে ক্রেডিট, ডেবিট এবং প্রিপেইড কার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

ওপেন-লুপ ক্রেডিট কার্ড বিকল্পগুলো অফার করার জন্য মাস্টারকার্ডের বেশিরভাগ ব্যবসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সাংগঠনিক কো-ব্র্যান্ড অংশীদারদের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে। মাস্টার কার্ড সদস্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করে যেগুলো ভোক্তা, ছাত্র এবং ছোট ব্যবসার জন্য মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড কার্ড ইস্যু করে। 

সদস্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় তাদের গ্রাহকদের জন্য মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড পুরস্কার কার্ড ইস্যু করার জন্য কো-ব্র্যান্ডেড সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারি করে।  এই সংস্থাগুলো এয়ারলাইনস, হোটেল এবং খুচরা বিক্রেতাদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

যখন মাস্টার কার্ড একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার হয়, তখন প্রতিষ্ঠানটি ইস্যুকারী হিসাবে কাজ করে। সেই প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারণ করে যে শর্তাবলী এবং সুবিধাগুলো একজন কার্ডধারক তাদের কার্ডে পেতে পারে৷ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা প্রিপেইড কার্ড ইস্যু করার জন্য অংশীদার হতে পারে।

মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো তার উপায়

মাথার কার্ড কিভাবে বানাবো তার উপায় জানার আগে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে আপনি কি কারনে একটি মাস্টার কার্ড বানাতে চাচ্ছেন। আপনি যখন একটি ক্রেডিট কার্ড নিতে চাইবেন বা বানাতে চাইবেন তখন আপনাকে পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে-

মাস্টার কার্ড কিভাবে বানাবো

  • আপনি কেন ক্রেডিট কার্ড চান তা নির্ধারণ করুন।
  • আপনার ক্রেডিট স্কোর পরীক্ষা করুন।
  • সেরা ক্রেডিট কার্ড অফারের জন্য কাছাকাছি কেনাকাটা কোথায় করা যায় তা নির্ধারণ করুন।
  • সূক্ষ্ম মুদ্রণ পরুন।
  • আপনার প্রয়োজনের জন্য সেরা মাস্টার ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করুন।

একটি অপরিহার্য আর্থ থেকে হাতিয়ার হতে পারে আপনার জন্য। আপনি এটিকে দৈনন্দিন খরচের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন এবং বড় একসময়ের কেনাকাটা সাহায্য করবে। আপনি যদি একটি ক্রেডিট মাস্টার কার্ড বানাতে চান তবে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। 

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম বিস্তারিত

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম বিস্তারিত আমরা অবশ্যই জানাবো তার আগে আপনাকে ওপরের দেওয়া কোন প্রকার মাস্টার কার্ড আপনি নিতে চান তা বাছাই করতে হবে। একবার আপনি আপনার প্রয়োজনের জন্য সেরা মাস্টার ক্রেডিট কার্ড বাছাই করা হলে, আপনি একটি আবেদন জমা দিতে পারেন।  

এটি করার দ্রুততম উপায় হল অনলাইন,সেটি ল্যাপটপে হোক বা মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে। তবে আপনার কাছে কল করার মাধ্যমে, ব্যক্তিগতভাবে একটি ব্যাংকে যাওয়ার বা একটি কাগজের আবেদন পাঠানোর বিকল্প রয়েছে।

মাস্টার কার্ড করার নিয়ম এর আবেদন প্রক্রিয়া ইস্যুকারীদের মধ্যে একই রকম, এবং আপনাকে সাধারণত যা করতে হবে তা হচ্ছে-

  • আপনার পিন একাউন্ট থাকা লাগবে 
  • আপনার নাম
  • আপনার  ঠিকানা 
  • আপনার জন্ম তারিখ
  • আপনার সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, 
  • আপনার বার্ষিক আয় 
  • এবং আপনার কর্মসংস্থানের অবস্থা প্রদান করতে হবে।

আপনি একটি আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনি ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত পেতে পারেন, তবে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে। আপনি যদি তাৎক্ষণিকভাবে অনুমোদিত হন, তাহলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার মাস্টার কার্ড পাওয়ার আশা রয়েছে। 

কিছু কার্ড ইস্যুকারী একটি তাত্ক্ষণিক কার্ড নম্বর প্রদান করতে পারে যা আপনি এখনই অনলাইন লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন,তবে মাস্টর কার্ড তাত্ক্ষণিক কার্ড নম্বর প্রদান করে না।  

মাস্টার কার্ড চার্জ কেমন নিবে

মাস্টার কার্ড চার্জ কেমন নিবে অবশ্যই তা নির্ভর করে আপনি কোন ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্ব করেছেন। মাস্টার কার্ড চার্জ বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আমরা এখন আপনাদেরকে বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংক মাস্টার কার্ডের অংশীদারিত্ব নাই তাদের একটি তালিকা চার্জ সহ লিপিবদ্ধ করা হলোঃ

ব্যাংক বাৎসরিক মাস্টার কার্ড চার্জ
ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৳ ৯২০ (ভ্যাট সহ)
সিটি ব্যাংক ৳ ৬০০ (১৫% ভ্যাট)
ইস্টার্ন ব্যাংক ৳ ০ ফ্রি (বছরে ১৮ বার ট্রানজিশনে)
ব্র্যাক ব্যাংক ৳ ১৫০০ [ক্লাসিক] ৳ ৩০০০ [গোল্ড] (১৫% ভ্যাট)

মাস্টার কার্ড আবেদন করতে যা করবেন 

মাস্টার কার্ড আবেদন করতে যা করবেন তা হচ্ছে, ধরুন আপনি আপনার পছন্দের ব্যাংকের থেকে থেকে একটি মাস্টার কার্ড নিতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে সেই ব্যাংকের ওয়েবসাইটের যেয়ে মাস্টার কার্ডের অপশনে পছন্দ মত মাস্টার কার্ড বাছাই করতে হবে।

আপনার পছন্দ মত মাছ থাকার বাধা হয়ে গেলে আপনাকে সেই ওয়েবসাইটে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। যেমন নিচে আমরা ইস্টার্ন ব্যাংকের একটি অনলাইন ফর্মের চিত্র দিয়েছি-

মাস্টার কার্ড আবেদন

মাস্টার কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা

স্ট্যান্ডার্ড মাস্টার কার্ড এর সুবিধাঃ

মাস্টার কার্ড স্ট্যান্ডার্ড স্তরের ক্রেডিট কার্ডটি সর্বনিম্ন স্তরের উপলব্ধ, তবে এটির এখনও ক্রয় সুরক্ষা এবং পরিচয় চুরি সুরক্ষা সহ প্রচুর সুবিধা রয়েছে৷

শূন্য দায় সুরক্ষা

কেউ তাদের কার্ড ব্যবহার করে অননুমোদিত ক্রয় করলে শূন্য দায় সুরক্ষা কার্ডধারকদের রক্ষা করে। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে, ব্যক্তিগতভাবে, ফোনে বা এটিএম-এ কেনাকাটা করা।  শূন্য দায় সুরক্ষার জন্য যোগ্য হওয়ার জন্য, আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতারণামূলক অভিযোগের প্রতিবেদন করতে হবে।

মাস্টারকার্ড গ্লোবাল সার্ভিস

মাস্টারকার্ড গ্লোবাল সার্ভিস কার্ডধারীদের জন্য একটি চমৎকার সুবিধা, বিশেষ করে যারা ঘন ঘন ভ্রমণ করেন। এই পরিষেবাটি আপনাকে হারানো বা চুরি হওয়া কার্ডের রিপোর্ট করতে, জরুরি কার্ড প্রতিস্থাপন বা নগদ অগ্রিম অ্যাক্সেস করতে, এটিএম খুঁজে পেতে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন বা উদ্বেগের বিষয়ে সহায়তা পেতে দেয়।

মাস্টারকার্ড আইডি চুরি সুরক্ষা

মাস্টারকার্ড আইডি চুরি সুরক্ষা আপনাকে কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই পরিচয় চুরি থেকে রক্ষা করে। পরিষেবাটি সম্ভাব্য প্রতারণামূলক কার্যকলাপের জন্য আপনার ক্রেডিট রিপোর্ট নিরীক্ষণ করে, যেমন আপনার নামে নতুন কার্ড বা অ্যাকাউন্ট খোলা। 

আপনি যদি পরিচয় চুরির শিকার হন, তবে প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে আপনাকে গাইড করতে সহায়তা করার জন্য আপনাকে একজন রেজোলিউশন বিশেষজ্ঞও নিয়োগ করা হবে।

মাস্টার কার্ড এর অসুবিধা

মাস্টার কার্ড ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার অসুবিধা
  • ঋণের সম্ভাবনা।
  • ব্যয়বহুল ফি।
  • উচ্চ সুদের চার্জ।
  • ভিসার তুলনায় কম সুবিধা।

পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড সম্পর্কে জানুন

পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল ব্যবসার ক্রেডিট কার্ড যা আপনি আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টে USD, EUR, GBP বা CAD ব্যালেন্সের সাথে যুক্ত করতে পারেন। ভার্চুয়াল কার্ডটি অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং ফিজিক্যাল কার্ডটি স্টোর এবং এটিএম-এ যেখানে মাস্টার কার্ড  গৃহীত হয় সেখানেও ব্যবহার করা যেতে পারে। 

অতিরিক্ত প্রশ্ন-উত্তর 

বাংলাদেশে প্রথম মাস্টার কার্ড চালু করে কোন ব্যাংক? 

বাংলাদেশের প্রথম মাস্টার কার্ড চালু হওয়ার ইতিহাস ঘাটতে গেলে দেখা যায় যে, ANZ Grindlays Bank (এখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) একটি সীমিত মার্চেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ডের মতো আন্তর্জাতিক কার্ড ব্র্যান্ডগুলো চালু করা শুরু করে।

মাস্টার কার্ড কিভাবে করব? 

মাস্টার কার্ড করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশের সে ব্যাংকগুলোর আশ্রয় নিতে হবে যেগুলোতে মাস্টার কার্ডের সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি সেই ব্যাংকগুলোর সাথে যোগাযোগ করলেই মাস্টার কার্ড কিভাবে করবেন তার পুরো বর্ণনা পেয়ে যাবেন।

মাস্টার কার্ড কোথায় পাওয়া যায়? 

আপনি মাস্টার কার্ড অনলাইনেও পেতে পারেন আবার বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমেও পেতে পারেন। অনলাইনে মাস্টার কার্ড এবং ব্যাংকের মাধ্যমে যে কার্ড পাওয়া যায় তা হচ্ছে শারীরিক কার্ড ডিপেন্ড করে আপনি কোন ধরনের কাজ নিতে চান। 

আপনি যদি অনলাইনে নিতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং আপনি শারীরিক কার্ড নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে মাস্টার কার্ডের জন্য লিখিত আবেদন দিতে হবে।

মাস্টার কার্ড পাওয়ার উপায়?

মাস্টার কার্ড আপনি অনলাইনেও পেতে পারেন অথবা এমন সে সকল ব্যাংকে যে আবেদন করতে পারেন যেখানে মাস্টার কার্ডের সার্ভিস দেয়া হয়। 

ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড সম্পর্কে জানুন

ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড খাওয়ার ইচ্ছা প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সারের। অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে তুই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সব মাধ্যমেই সুরক্ষিত নয়, অনেক সময় প্রতারনার শিকার হতে হয়। 

ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পেতে হলে আপনাকে করতে হবে যেগুলো এই ধরনের মাস্টার কার্ড প্রদান করে থাকে, যদি ওটা খুব একটা বৈধ নয়। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক মাস্টার কার্ড সম্পর্কে জানুন

ডাচ বাংলা ব্যাংক মাস্টার কার্ড ওয়াল্ড কার্ডধারি তাদের জীবনধারার চাহিদা মেটানোর জন্য সবচেয়ে একচেটিয়া সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। এই কার্ডটি সারা বিশ্বে ৪০ মিলিয়নেরও বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট এবং ২ মিলিয়নেরও বেশি এটিএম-এ দেশের ভিতরে এবং বাইরে গৃহীত হয়৷

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড সম্পর্কে জানুন

ভার্চুয়াল কার্ড হচ্ছে সম্পূর্ণ বৈধ কার্ড (সাধারণত মাস্টারকার্ড বা VISA দ্বারা জারি করা) আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত একটি ১৬-সংখ্যার কার্ড নম্বর, একটি মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং একটি তিন-সংখ্যার CVV নম্বর। 

ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড

আপনার শারীরিক কার্ডের মতোই আপনার ভার্চুয়াল কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, তবে এর একমাত্র পার্থক্য হল আপনি পয়েন্ট-অফ-সেলস মেশিনে এটি সোয়াইপ বা ঢোকাতে সক্ষম হবেন না, তাই আপনাকে পরিবর্তে আপনার ডিভাইসে ট্যাপ করতে হবে বা অনলাইনে অর্থপ্রদান করতে হবে। 

বর্তমান সময়ে মাস্টার কার্ড করার নিয়ম মেনে একটি শারীরিক কার্ড করার চেয়ে একটি ভার্চুয়াল কার্ড ব্যবহার করার বাস্তব সুবিধা রয়েছে৷ এর জন্য এটি প্রায় আরও সুবিধাজনক, মাল্টি-চ্যানেল কার্যকারিতা আপনাকে আপনার মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট বা পিসিতে অর্থপ্রদান করতে দেয় এবং আপনার ওয়ালেটের চারপাশে বহন করার প্রয়োজনীয়তা এড়াতে দেয়।  

ভার্চুয়াল কার্ডগুলো শারীরিক কার্ডগুলোর তুলনায় হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়ার ঝুঁকি কম এবং যদি সেগুলো হয় (উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি আপনার মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন), আপনি সহজেই সেগুলোকে অনলাইনে ব্লক করতে পারেন৷ মাস্টার কার্ড করার নিয়ম মেনেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়। 

কোন ব্যাংকের মাস্টার কার্ড ভালো

কোন ব্যাংকের মাস্টারকার সবচেয়ে ভালো একটি নির্ভর করে প্রতিবছর ব্যাংক কত টাকা চার্জ করছে মাস্টার কার্ডের ওপর। আমরা উপরে উল্লেখ করেছি বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক তাদের প্রদানকৃত মাস্টার কার্ডের চার্জ কেমন নিয়ে থাকে।

মাস্টার কার্ডের বাৎসরিক চার্জের উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, সিটি ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক পুরো বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ক্রেডিট চার্জ কম নেয়। সে ভিত্তিতে এই দুটি ব্যাংক থেকে মাস্টার কার্ড নেওয়া লাভজনক হবে। 

লেখকের মন্তব্যঃ বর্তমানে মাস্টার কার্ড করার নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিন 

বর্তমানে মাস্টার কার্ড করার নিয়ম যারা না থাকলে আপনি অনলাইন ভিত্তিক কাজের পেমেন্ট গুলো খুব সহজে পাবেন না। যেমন ধরুন আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার অথবা ফ্রিল্যান্সার নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে সবার আগে মাস্টার কার্ড তৈরি করতে হবে যাতে করে আপনি আপনার কাজের পারিশ্রমিকটি পান।

মাস্টার কার্ড করার জন্য আপনাকে খুব একটা পরিশ্রম করা লাগবে না যদি আপনি তা কোন ব্যাংকের মাধ্যমে করেন। অনলাইনেও অনেক সুযোগ-সুবিধা হয়েছে মাস্টার কার্ড তৈরি করার জন্য। তবে শারীরিক কার্ড পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি আশ্রয় নিতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩