কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা ও শিমুল মূলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। আর যারা জানেন তাদের কাছে শিমুল গাছ একটি মহাঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। আর কাঁচা শিমুল খাওয়ার উপকারিতা এবং শিমুল মূল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নেই।
শিমুল তুলা যেমন একটি অর্থকরী ফসল। তেমনি এর মূল বাকল শিকড় সবকিছুতেই অনেক উপকারী কাজ রয়েছে। তাই তুলা গাছের মূল খেলে কি হয় আজ এই আর্টিকেল থেকে আমরা সেই বিষয়ে জানতে পারবো। তাই চলুন আমরা এখানে প্রথমে কাঁচা শিমুলের মুলের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
সূচিপত্রঃ কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা ও শিমুল মূলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার কার্যকারিতা
- নারী-পুরুষের কিছু জটিল সমস্যার সমাধান কাঁচা শিমুল মূল
- রূপচর্চার উপাদান হিসেবে শিমুল মূলের ভূমিকা
- হরমোনাল জটিলতা কমাতে শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা
- শিমুল মূলের উপকারী উপাদানের পরিমাণ
- খাবার খাওয়ার আগে শিমুল মূল খাওয়ার সুবিধা
- শিমুল মূল খাওয়ার উপায়
- শিমুল মূলের পাউডার বানানোর নিয়ম
- শিমুল মূলের পাউডার খাওয়ার পদ্ধতি
- শিমুল মূলের পাউডার খাওয়ার উপকারিতা
- প্রতিদিন শিমুল মূল খাওয়ার পরিমাণ
- শিমুল মূল খাওয়ার বিষয়ে সাবধানতা
- শিমুল মূল খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- শিমুল মূল খাবার উপকারিতা বিষয়ে লেখকের শেষ কথা
কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার কার্যকারিতা
কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার কার্যকারিতা হচ্ছে, শিমুল গাছের মূলে রয়েছে ট্যানিন ও গ্লাইকোসাইট যা ঔষধি গুন সম্পন্ন। আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই গাছটি দেখা যায় এবং গাছটি অনেক বড় হয় এবং অনেক সুন্দর ফুল বসন্ত কালে ফোটে।
সেই শিমুল গাছের তুলা অনেক ভালো অর্থ করে ফসল হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এর তোলা ছাড়াও এর মূল ভালো ঔষধি কোন সম্পন্ন হওয়ায় এর চাহিদা ব্যাপক। নিচে এই শিমুল গাছের মূল থেকে কি করে পাওয়া যায় এ ব্যাপারে জানবো।
- যাদের রক্ত আমাশয়ের সমস্যা রয়েছে তারা এই শিমুল মূল খেলে রক্ত আম্বশায়ের সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।
- আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাঝে মাঝে ফোড়া দেখা যায়। ফোড়া খুবই ব্যথা দায়ক হয়ে থাকে। এই ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শিমুলের মূল পেটে ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- অপুষ্টি জড়িত সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য এই শিমুল মূল খুবই কার্যকরী।
- প্রেসারের রোগীদের জন্য এটা খুবই ভালো কাজ করে।
- যাদের খুব পিপাসা জনিত সমস্যা রয়েছে তারা এই শিমুল মূল খেলে পিপাশার নিবারণ হবে।
- ডায়াবেটিসের সমস্যার সমাধানও এই ভুল করে থাকে।
- শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে শিমুল মুলের তুলনা নেই।
- হজম শক্তি উন্নতি করতে এবং কষ্টকাঠিন্য ডায়রিয়া ধানের জন্য শিমুল মূল খাওয়া যেতে পারে।
নারী - পুরুষের কিছু জটিল সমস্যার সমাধান কাঁচা শিমুল মূল
যেহেতু কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতার জন্য মূল খাওয়ার ফলে অনেক রোগের সমাধান পাওয়া যায়। এটি এতটাই উপকারী অংশ যে এটাকে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রাও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার সমাধানে শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতার শেষ নেই।
এখন আমরা শিমুল মূল জন্য নারী বা পুরুষের যে জটিল সমস্যাগুলো সমাধান হয় এ ব্যাপারে আলোচনা করব।
পুরুষের জটিল সমস্যার সমাধান
- শুক্রাণু অনেক গুন বৃদ্ধি পায়।
- যৌন ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- বীর্য পাতলা হওয়ার সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
- শারীরিক দুর্বলতা জাতীয় সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
- ইরেক্ট টাইল ডিসফাংশন জাতীয় চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়।
- শিমুল মূল অশ্বগন্ধা শত মূল তেতুল বীজের গুড়া একসাথে মিশিয়ে খেলে যৌন মিলনের সময় বৃদ্ধি পায়।
নারীদের জটিল সমস্যার সমাধান
- মহিলাদের মাসিক জনিত সমস্যার সমাধান করে।
- শ্বেত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
- অতিরিক্ত ঋতুস্রাব থেকে মুক্তি দেয়।
- গর্ভবতী নারীদের বুকে দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।
- ঋতুস্রাবের সময় পেটের ব্যথার উপশম করে।
রূপচর্চার উপাদান হিসেবে শিমুল মূলের ভূমিকা
চুলকানির সমস্যা
চুলকানি এটি অস্বস্তিকর অনুভূতি। চুলকানি হইলে হলে মনে হয় যেন এটাতে খুবই আচরাতে হয় তাই ত্বকের ওই জায়গাটি ফেটে যায় বা ছেলে যায়। সাধারণত খসখসে ও শুষ্ক ত্বকে চুলকানি বেশি হয়। সাধারণত দেখা যায় যাদের শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগ জাতীয় সমস্যা বেশি থাকে তাদের চুলকানি বেশি হয়। আবার অনেক সময় ওষুধের প্রভাবেও চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়।
চুলকানির সমস্যার এই সমাধানের জন্য বিভিন্ন রকম মলম বা ক্রিম বাজারে বিক্রি হয়।এই ক্রিমগুলো মোটেও জ্বালা দায়ক নয়।তবে এই ক্রিম বাদেও বিভিন্ন ভেষজ উপাদান দিয়ে চুলকানির সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে খুবই উপকারী ভেষজ উপাদান হচ্ছে শিমুল মূল, নিম পাতা, কাঁচা হলুদ।
শরীরের বিভিন্ন কারণে চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে শিমুল মূলের কিছু অংশ বেটে যদি লাগিয়ে দেওয়া হয় অথবা যদি কোনভাবে মূলের ভিজিয়ে রাখা পানি খাওয়া যায় তাহলে এই চুলকানির সমস্যা চলে যাবে।
চুলের সমস্যা
চুল পড়ার সমস্যার সমাধান চুল বৃদ্ধি করার উপায় জানতে বাজারের ওষুধ খাওয়ার থেকে ভেষজ গুণ সম্পন্ন উপাদান ব্যবহার করা এবং খাওয়া খুবই কার্যকর। চুলের সমস্যা সাধারণত ঋতু পরিবর্তন হরমোনাল শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তাই এই সকল ধরনের সমস্যা আসলে অবশ্যই নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে।
আরও পরুনঃ মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়
এরপর বিভিন্ন রকম ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ যে যেগুলোতে চুলের গঠন মজবুত করার জন্য উপকারী পদার্থ রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। শিমুল মূল এই উপকারী পদার্থ সম্পন্ন একটি ভেষজ উপাদান। যাদের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে চুল কম মাথায় তাদের জন্য শিমুল মূল খুবই উপকারী।
মেছতার সমস্যা
ত্বকের মেছতার সমস্যার সমাধানের জন্য শিমুল মূল খুবই কার্যকরী। তবে মেছতা এমন একটা সমস্যা যার সমাধান খুব সময় সাপেক্ষ হয়ে থাকে। সাধারণত মেছতা যখন পড়া শুরু হয় তখন একটি ধূসর বর্ণের ছাপ প্রথমে পরে। এরপর পরবর্তীতে সেটা বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত মেছতা পূর্ণ রুপ ধারণ করে।
মেছতা অনেকটা বংশগত সমস্যা অথবা অতিরিক্ত সূর্যের আলো মুখের উপর পড়ার জন্য হয়ে থাকে। তাই মেছতার সমস্যা সমাধানের জন্য ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে শিমুলের মূল যদি গুঁড়ো করে নিয়মিত মুখে লাগানো যায় তবে সেটা আস্তে আস্তে হালকা হতে থাকবে।
ত্বকের দাগ
হরমোনাল জটিলতা কমাতে শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা
- সর্দি কাশি সমাধান হয়।
- শরীরে দুর্বলতা কেটে যায়।
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঘা হলে সারাতে সাহায্য করে।
- পেটের কোন সমস্যা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করে।
- ডায়াবেটিক সারাতে সাহায্য করে।
- গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে।
- বার্ধক্যে যে শক্তির অভাব দেখা দেয় তা নিমূল করে।
- পুষ্টির অভাব দেখা দিলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
- রক্তচাপ জনিত সমস্যা সমাধান করে।
- হরমোনের দুর্বলতা থাকলে তা দূর করে।
শিমুল মূলের উপকারী উপাদানের পরিমাণ
বিভিন্ন ঔষধি গুন সম্পন্ন শিমুল গাছের উচ্চতা ২০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা যেমন দক্ষিণ চীন, তাইওয়ান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশে এই গাছের চাষ হয়। শিমুল গাছের মূলত বাকল ও মূল সবচেয়ে কার্যকর।
কাঁচা শিমুল মূলের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। কিন্তু বাংলাদেশের এই শিমুল গাছ সহজে পাওয়া যায় না। আগে শিমুল গাছের অনেক প্রচলন থাকলেও বর্তমানে মানুষ শিমুল গাছ বেশি একটা লাগায় না। তুলার উৎপাদনে লাভবান না হওয়ার জন্য এই গাছের ফলনও কমে আসছে। আগে বাংলাদেশে অনেক শিমুল গাছ চোখে পড়তো। কিন্তু বর্তমানে খুঁজে পাওয়া দায়।
আবার শিমুল মূলের যে উপকারিতা তা শুধু ছোট শিমুল গাছ থেকেই পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে শিমুল গাছের ভেষজ গুণের জন্য যে পরিমাণ চাষের দরকার সে পরিমাণ গাছ বর্তমানে পাওয়া সম্ভব নয়। তবুও গ্রামাঞ্চলে এর অনেক চোখে পড়লেও শহর অঞ্চলে দেখা মেলায় ভার।
স্টার্চ | ৭১.২% |
চিনি | ৮.২% |
চর্বি | ০.৯% |
ট্যানিন | ০.৯% |
ক্যালসিয়াম | ৯৩ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম |
সেলুলোজ | ২% |
খনিজ পদার্থ | ২.১% |
প্রোটিন | ১.২% |
আর্দ্রতা | ৭.৫% |
খাবার খাওয়ার আগে শিমুল মূল খাওয়ার সুবিধা
- মুলের যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তার শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- শিমুল মূল সমস্যার সমাধানে উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
- শিমুল মূলে আছে উক্ত পরিষ্কার করার কার্যকরী উপাদান।
- শিমুল মূলে জ্বর নাশক উপাদান রয়েছে।
- ঠান্ডা, কফ, বিভিন্ন হাঁপানি, সর্দি, কাশি বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এই মূল খেলে হয়।
- শিমুলের মন খাওয়ার জন্য যৌন শক্তি বৃদ্ধিকারী উপাদান বেড়ে যায়।
- শিমুলের মূল খেলে এ বিভিন্ন রকম ব্যথার সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। যেমন দাঁত ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা ইত্যাদি।
- বিশেষ সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। যেমন আমাশয়, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
শিমুল মূল খাওয়ার উপায়
- বিভিন্ন রকম ফোড়ার সমস্যার সমাধানের জন্য সাধারণত শিমুল গাছের মূল উঠিয়ে এনে সেটাকে থেতলিয়ে ফোড়া হওয়ার জায়গায় লাগিয়ে দিলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
- যাদের ভিন্ন রকম হরমোনের সমস্যা আছে তাদেরকে ছোট শিমুল গাছের মূলের চূর্ণ ছাদ থেকে ১০ গ্রাম মিশিয়ে চিনির সাথে খেতে হয়।
- আমাশয় এর সমস্যা সমাধানের শিমুল মূল খুবই কার্যকরী। শিমুল গাছের মূল নিয়ে এটা যদি দুবেলা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে আমাশয় থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
- যাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত মনের মূল সেবন করেন তবে অবশ্যই তাদের শুক্রাণু বৃদ্ধি পাবে এবং বন্ধ্যাত্ব কেটে যাবে।
শিমুল মূলের পাউডার বানানোর নিয়ম
- প্রথমে একটি শিমুল মূল পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখতে হবে।
- এরপর একটি ব্লেন্ডারে শিমুল মুলটি রাখতে হবে।
- শিমুল মুলটিকে গুড়া করা পর্যন্ত ব্লেন্ডার টি চালাতে হবে।
- গুড়া করা শিমুল মূল কাচের বাটিতে রেখে দিতে হবে।
শিমুল মূলের যে পাউডার বানানোর পদ্ধতি দেখানো হলো তা নিয়মিত ছোট শিমুল গাছ থেকে মূল সংগ্রহ করে বানিয়ে রাখলে খুব সহজেই যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। বাইরে থেকে কিনে খেলে ব্যবসায়িক কারণে খুব সম্ভবতই সঠিক মূল ব্যবহার না করার জন্য শারীরিক যে সমস্যা কারণে আমরা পাউডার সেবন করছি সেটার সমাধান পাওয়া সম্ভব হয় না।
শিমুল মূলের পাউডার খাওয়ার পদ্ধতি
- প্রথমে পাউডার সংগ্রহ করে ইয়োগ মাফিক দুধ মধুর সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলা যেতে পারে।
- পাউডার এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরবর্তীতে দুধের সাথে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
- শিমুল মূলের পাউডার গুড়া দুধের সাথে মিশে খাওয়ার সম্ভব।
শিমুল মূলের পাউডার খাওয়ার উপকারিতা
শিমুল মূলের পাউডার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানতে পারবো। আমাদের সমাজে অনেক রকম সমস্যা রয়েছে যেগুলোর সমাধান অনেক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।
তাই যারা উচ্চমানের চিকিৎসা ছাড়া খুব কম খরচে সমস্যার সমাধান চান তাদের জন্য শিমুল মূল খুবই উপকারী। প্রাপ্তবয়স্ক যে কোন মানুষই মূল খেলে তাদের বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার সমাধান পাবেন।
- শরীরের পেশির শক্তি বাড়ায়।
- ডিস ফাংশন জনিত রোগের সমাধান দেয়।
- বিপুল পরিমাণ বীর্যের সমস্যা দূর করে।
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন শিমুল মূল খাওয়ার পরিমাণ
শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা যেমন আছে তেমনি কতটুকু খাওয়া উচিত সেটার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণও রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষের দেহের ওজনের উপর ভিত্তি করে প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম শিমুল মূল খাওয়া হতে পারে। মানে যার ওজন ৬০ কেজি প্রতিদিন ২৪ গ্রাম করে শিমুল মূল খেতে পারবে।
কোনরকম সমস্যা যা শিমুল মূল খেলে সমাধান হয়, এর জন্য যদি মাসে ২১ থেকে ২৮ দিন নিয়ম করে খেতে পারে তাহলে ভালো ফল পাবেন।
শিমুল মূল বাড়িতে যদি পাউডার বানানো যায় তবে সেটাই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায়। কিন্তু কোন কারণে যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে বাজার থেকেও সংগ্রহ করা যাবে। সেক্ষেত্রে বাজার অনুযায়ী প্রতি 100 গ্রাম শিমুল মূলের গুড়ার দাম ১৬৫ টাকা।
শিমুল মূল খাওয়ার বিষয়ে সাবধানতা
- শিমুল মূল গর্ভবতী মায়েদেরমায়ের খাওয়া ঠিক না।
- খুব বেশি পরিমাণ শিমুল মূল খেলে মাথা ঘোরা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, ডায়রিয়া, চুলকানি ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
- কোন ওষুধ খাওয়া অবস্থায় শিমুল মূল খাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেকোনো সমস্যার জন্য শিমুল মূল খেতে হবে।
শিমুল মূল খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- জ্বর
- পেট ব্যথা
- ডায়রিয়া
- র্যাস
- মাথা ঘোরা
- গর্ভপাত
- শিশুর জন্মগত সমস্যা
- শিশুর ওজন কমে যাওয়া
- রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
- মাথা ঘোরা
- বমি
- পরিমাণ মতো শিমুল মূল সেবন করতে হবে।
- অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত খেতে হবে।
- শিমুল মনের সাথে অন্য কোন ভেষজ ওষুধ খাওয়া যাবেনা।
শিমুল মূল খাবার উপকারিতা বিষয়ে লেখকের শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা ও শিমুল মূলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যা জানলাম তা অবশ্যই আপনাদের জন্য খুবই উপকারী তথ্য। আপনাদের কোন ধরনের সমস্যা যা শিমুল মূল খেলে সমাধান হবে তা আমরা সবাই এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছি।
আশা করি আজকের এই পোস্টটা থেকে শিমুল গাছের বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এবং ভবিষ্যতে কোন সমস্যার সমাধান আমাদের এই তথ্য থেকে আপনারা জানতে পারবেন। এরকম আরো কিছু উপকারী গাছপালা এবং তথ্যের জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইট টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। 2024112
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url