OrdinaryITPostAd

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ও অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি ২০২৪

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইনে আবেদন ২০২৪ সালের জন্য কি কি প্রয়োজনীয় নিয়ম এবং ডকুমেন্ট দরকার সে ব্যাপারে জানার জন্য আজ আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।

প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-নিয়ম

আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা প্রবাস থেকে রেমিটেন্স আনেন। তাদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন। লোন বিষয়ক আবেদনের নিয়ম ছাড়াও আরো কিছু ইনফরমেশন আমরা এই আলোচনায় পাব।

আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা যা যা জানতে পারবেনঃ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ এ যেসব নিয়মগুলো আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো। 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসা

আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক লোনের জন্য যত ধরনের প্রয়োজনীয়ত কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রত্যেকটাই জমা দিতে হবে।সে ক্ষেত্রে আপনি কিভাবে জমা দিবেন ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। এবং প্রয়োজনের আপনার ডকুমেন্ট এবং আপনার জামিনদারের ডকুমেন্টও প্রদান করতে হবে। 

একাউন্ট খুলতে হবে 

ঋণ নেওয়ার জন্য প্রথম বিষয় হচ্ছে অ্যাকাউন্ট খোলা। আপনার এলাকায় নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা পাবেন, সেখানে গিয়ে প্রথম একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আসবে। কারণ টাকা সরাসরি আপনার হাতে দেওয়া হবে না বরং ব্যাংকের একাউন্টে জমা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই আপনি টাকা উঠাতে পারবেন।  

আবেদন ফরম পূরণ

এই মুহূর্তে আপনাকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফর্মে যা যা ইনফরমেশন চাইবে সবকিছুই আপনাদের উল্লেখ করতে হবে। এবং দরকার হলে অনলাইন থেকেও কপি নামিয়ে আপনারা পূরণ করতে পারেন। 

আবেদনপত্র জমা

আবেদনপত্র পূরণ করার পর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং সাথে প্রয়োজনীয় অবশ্যই সব কাগজপত্র বা ডকুমেন্টগুলো থাকতে হবে। আর এ আবেদনপত্র আপনার নিকটস্থ ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেখানে জমা দিয়ে আসবেন। 

ঋণ মঞ্জুর

আপনার ব্যাংকের ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আপনার আবেদন পত্র এবং তথ্যের ভিত্তিতে আপনাকে ঋণ দিবে কি দিবে না সে ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করবেন। এবং যদি কোন সমস্যা থাকে বা ভুল ত্রুটি থাকে আপনার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন বিষয়ক অনলাইনে আবেদন তথ্য 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ এর জন্য অনলাইনে যে আবেদন ফরম পূরণ করতে হয় সে ব্যাপারেই আমরা এখন আলোচনা করব। ২০২৪ সালের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। 

আর সঠিকভাবে অনলাইনে আবেদন করতে পারলে বারবার ব্যাংকে যাওয়ার সমস্যা থেকেও সমাধান পাওয়া যায়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এর বিশেষ কোনো পদ্ধতি নেই। তবে খুব সহজেই এই কাজটা সম্পন্ন করা যায়। 

ব্যাংকে সরাসরি গেলেই পাওয়া যায় অথবা ওয়েবসাইট থেকেও এই ফর্ম এ জন্য সব ধরনের ইনফরমেশন দিয়ে পূরণ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একটি কম্পিউটারের দোকান যেখানে এরকম ফরম ফিলাপ করতে সাহায্য করে, সেইরকম একটি দোকানে গিয়ে আপনার ফর্মটা পূরণ করতে হবে এবং সাথে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপনাকে জমা দিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

আপনার বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি বৈধ ভিসার ফটোকপি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে। এই উপরের ডকুমেন্টগুলা ছাড়াও ব্যাংক আপনার কাছে আরো কিছু ডকুমেন্ট চাবে। 

সেগুলো হচ্ছে আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, আয়ের প্রমাণপত্র, আগে কোন ব্যাংকের লোন পরিষদ হয়েছে কিনা, ট্যাক্সের সার্টিফিকেট। এগুলো ছাড়াও ব্যাংক যদি আপনার কাছে আরো কোন কপি চায় তবে সেগুলো প্রদান করতে হবে। 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার আবেদন ফরম ২০২৪

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ এখানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের যে ফর্মটা রয়েছে সেই ফর্মটা আপনারা আপনাদের নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা থেকেই যোগাযোগ করে এই ফর্মটা নিয়ে আসতে পারেন। আর সঠিকভাবে ফর্মটা পূরণ করে এবং সাথে যদি প্রয়োজনীয় সব তথ্য ঠিকমতো দিতে পারেন তবেই আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় লোন পাবেন।  

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নেওয়ার জন্য ফর্ম ডাউনলোড করেও আপনারা পূরণ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে সরাসরি ভিজিট করলেই আপনারা ফর্মটি পেয়ে যাবেন। ফর্মটি দেখতে নিম্নরূপ এরকম হয়।

প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-নেওয়ার-আবেদন-ফরম
প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-নেওয়ার-আবেদন-ফরম
প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-নেওয়ার-আবেদন-ফরম
প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-নেওয়ার-আবেদন-ফরম

চার ধরনের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য বেশ কিছু ধরনের ঋণের সুবিধা দিয়ে থাকেন। প্রবাসীরা তাদের প্রয়োজনে ওই ধরনের ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। নিচে যে ধরণের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
  • অভিবাসন ঋণ
  • পুনর্বাসন ঋণ
  • বঙ্গবন্ধু অধিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
  • বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

অভিবাসন ঋণ 

যারা সঠিক নিয়মে, বৈধ পন্থায় বিদেশে যেতে চাচ্ছেন ও তাদের কাজের জন্য পাসপোর্ট ও ভিসার অনুমোদন পেয়ে গিয়েছেন তাদেরকে অর্থ দিয়ে সুবিধার প্রদান করার জন্য অভিবাসন ঋণ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই ঋণের ধরনটি সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে তিন লক্ষ টাকার হয়ে থাকে।   

পুনর্বাসন ঋণ 

যারা কোন কারনে বিদেশ থেকে ফিরে দেশের মধ্যেই নিজের জন্য কর্মসংস্থান করতে চান।  এবং বিদেশ থেকে আর কোন লাভ আনতে পারেন নাই তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকান। এজন্য সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ পারবেন। যদি জামানত থাকেন তাহলে এর পরিবর্তে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর।  

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ 

বাংলাদেশের কোন প্রবাসী দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করার সময় যদি তার পর্যাপ্ত পরিমাণ সচ্ছলতা না আসে তবে তার পরিবারের কেউ তার নামে ঋণ করতে পারবেন। অথবা সে দেশে ফিরেই এই ঋণ নিতে পারবেন। এই নিয়মের অধীনে একজন গ্রহীতা সর্বোচ্চ জামানত ছাড়া ৩ লাখ এবং জামানত সহ সর্বোচ্চ 50 লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।  আর এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর। 

বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ 

এই ঋণের সিস্টেমটা নতুন চালু করা হয়েছে।  করোনার মহামারির জন্য ২০২০ সালে এই চালু করা হয়। কারণ এই সময় অনেক প্রবাসী দেশে চলে আসেন তাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। অথবা যদি তাদের করোনার আক্রান্ত হওয়ার জন্য বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন হলে তাদের পরিবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সুবিধার্থে এই দিনটা পেয়ে থাকেন। 

এই ঋণের জন্য গ্রহীতা সর্বোচ্চ জামানত ছাড়া তিন বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। আর জামানত সহ ঋণ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। তবে এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকে ৫ লক্ষ টাকা করে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম ২০২৪ এ আমরা এখন জানব প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিতে আমাদের প্রয়োজনীয় কি কি ডকুমেন্ট লাগবে। প্রথমতই সব ডকুমেন্ট গুলা সহ আবেদন কপি জমা না দিলে কখনোই ব্যাংকগুলো আপনাকে ঋণ প্রদান করবে না। তাই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুছিয়ে নিয়ে যাওয়াটা খুবই জরুরী।  

প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংকের-লোন

  • ঋণ আবেদনকারীর চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সহ পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেট এর ফটোকপি। 
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট ম্যানপাওয়ার স্মার্ট কার্ডেরকপি, ভিসার কপি, লেবার কনট্রাক্ট পেপার যদি থাকে তবে দিতে হবে কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। 
  • জামিদারের এক কপি করে পাসওয়ার্ড সাইটের ছবি, দুইজন জামিনদার হতে হবে, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি,  এবং সাইটি কেন বর্তমান ঠিকানা সহ ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেট ও কপি। 
  • জামিনদার এর  একজনের স্বাক্ষরিত ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা।
  • ঋণ নেওয়ার আগে ওই যেই ব্যাংকে আপনি এপ্লাই করছেন সেই ব্যাংকের শাখায় হিসাব খুলতে হবে।
এখন আমাদের জানতে হবে ঋণের মেয়াদ কতদিন থাকে। নতুন ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছরের মেয়াদ থাকে। আর রি এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদ থাকে।

এছাড়াও কোন লোক যদি বিদেশে যেতে চায় তার জন্য কি কি ধরনের ইনফরমেশন লাগবে বা এই পুরো জার্নিটা কেমন হবে সেই সব বিষয়ে বোঝানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছে। 

এতে কোন প্রবাসী ভাই যদি দালালের খপ্পরে পড়েন বা খপ্পরে পড়ার আগেই তাদের কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যেন কোন ভুল না করেন সেই বিষয়েও ক্লাসে নেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ ক্লাসটা সর্বোচ্চ তিন মাস থেকে তিন দিনের রয়েছে। এই প্রশিক্ষণের ফলে যারা বিদেশে যেতে আগ্রহী তারা তাদের লক্ষ্য সেট করে ফেলতে পারবেন। 

নিচে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিতে যে ডকুমেন্ট গুলা দরকার সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।  

অভিবাসন লোন নেওয়ার জন্য ডকুমেন্ট

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি 
  • নাগরিক সনদপত্র 
  • পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি 
  • দুইজন জামিনদারের যাবতীয় তথ্য 
  • পাসপোর্ট বিএমইটি ও ভিসা কার্ডের কপি 
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে 
  • জামিনদার এর স্বাক্ষর করা ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা 

পুনর্বাসন লোন নেওয়ার জন্য ডকুমেন্ট 

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের তিনটি  ছবি
  • জামিনদারের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের কপি 
  • জামিনদার ও আবেদনকারীর পৌরসভা সনদপত্র 
  • ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি 
  • জামানতকৃত সম্পত্তির ডকুমেন্টের ফটোকপি 
  • ঋণগ্রহীতার বিনিয়োগের ঘোষণাপত্র 
  • ঋণ গ্রহিতার স্বাক্ষর সহ তার ব্যাংক একাউন্টে তিনটি চেকের পাতা 
  • বিদেশ থেকে ফিরে আসার ডকুমেন্ট 
  • সব ধরনের তথ্য সহ দুই বছরের ইনকাম এবং ব্যয়ের বিবরণ 

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন গ্রহণের ডকুমেন্ট 

  • আবেদনকারীর তিনটা ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি 
  • ট্রেড লাইসেন্সের কপি 
  • জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজএর দুটি ছবি ও  ভোটার আইডি কার্ডের কপি 
  • ব্যবসার স্থান ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট 
  • আবেদনকারী ও জামিনদারের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সনদপত্র 
  • প্রকল্পের এক বছরের আয় ব্যয়ের হিসাব 
  • চেকের পাতা তিনটি স্বাক্ষরিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে 
  • যদি কোন প্রশিক্ষণ নেয়া হয়, তবে ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জায়গা সার্টিফিকেট। 

বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ গ্রহণের জন্য ডকুমেন্ট 

  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট বা বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরনের ডকুমেন্ট অথবা বিদেশে চাকরির চুক্তিপত্র  ফটোকপি দিতে হবে 
  • তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি দিতে হবে 
  • জামিনদারের দুই কবি সাইটের ছবি এবং পরিচয় পত্র ফটোকপি দিতে হবে। 
  • ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি 
  • প্রকল্পের ঠিকানার বিস্তারিত তথ্য 
  • দোকান এর ক্ষেত্রে ভাড়ার চুক্তিপত্র এবং নিজের হলে প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। 
  • প্রকল্পের নাম ব্যাংক থেকে আর্থিক সাহায্য নেয়া হচ্ছে সেই সব ধরনের ডকুমেন্ট দিতে হবে 
  • গ্রহীতার কাছ থেকে নিজের নামে তিনটি স্বাক্ষরিত চেকের পাতা দিতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের সুবিধা

এতক্ষণ আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪এর বিভিন্ন ধরনের লোনের সম্পর্কে জানলাম এখন আমরা জানবো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে।প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসী ভাইদের জন্য ২০১১ সাল থেকে লোনের সুবিধা প্রদান করে আসছেন। 

এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রবাসী ভাইয়েরা যেন খুব সহজেই কোন সমস্যা ছাড়াই দালালের খপ্পরে না পড়েই বিদেশে বসে বা বিদেশে যাওয়ার আগে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। তাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন এর সুবিধা গুলো নিয়ে  আমরা নিচে  আলোচনা করব।  

  • প্রবাসে থাকা অবস্থায় যদি কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে তবে এই ব্যাংক লোন নিয়ে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারবে।
  • কাজের জন্য বা ঘুরতে যাওয়ার জন্য এই লোনটা নেওয়া যেতে পারে।
  • প্রবাসী ভাইরা যদি দেশে ফিরে কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চান তবে তারা সেক্ষেত্রেও এই লোন এর সুবিধা দিবে।
  • জামানত ছাড়াই সহজেই এই লোন নেওয়া সম্ভব।
  • এই ঋণ সুবিধা খুব সহজ শর্তে খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।
  • সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের থেকে অনেক কম।
  • জামানত ছাড়াও জামানত সহ বড় ধরনের ঋণের সুবিধা রয়েছে।
  • ঋণের টাকার পরিশোধ করার জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। যার কারনে ঋণ নিয়ে বিপদে পড়তে হয় না।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন কারা পাবেন

সকল ধরনের প্রবাসী বা প্রবাসে যারা যেতে চাচ্ছেন তারা সবাই এই লোন পাওয়ার অধিকারী। এই লোন পাওয়ার জন্য যারা যোগ্য তারাই কেবল ঋনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার যোগ্যতা নিচে আলোচনা করা হল। 

  • আবেদনকারীর অবশ্যই ১৮ বছর বয়স এবং বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। 
  • যেই শাখায় আবেদনকারী আবেদন করছেন সেই শাখার বাসিন্দা হতে হবে। 
  • অন্য কোন এনজিও বা ব্যাংকের সাথে লোন পরিশোধ না করার রিপোর্ট থাকলে লোন দেওয়া হবে না। 
  • আবেদনকারীর সর্বোচ্চ দুইজন জামিনদার থাকা লাগবে এবং তারা যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হন। 
  • পুনর্বাসন ঋণের জন্য দেশে এসে কি ধরনের কাজ করছেন সে ব্যাপারে ঠিকানা এবং উদ্দেশ্য সহ জমা দিতে হবে। 
  • অভিবাসন ঋণের জন্য আবেদনকারী কে অবশ্যই বিদেশে যে ধরনের কাজে বৈধ ভিসা পাওয়া যায় সেই ধরনের ভিসা পেতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়। 

প্রবাসী কল্যাণ লোন নিয়ম ২০২৪ এ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় সে ব্যাপারে আমাদের ধারণা থাকা জরুরী। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় লোনটা নিয়ে প্রবাসীরা উপকৃত হবেন। 

  • প্রথমেই আপনি দুই বছরের জন্য অভিবাসন লোন নিলে এক থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন।
  • দুই বছরের জন্য পুনর্বাসন লোন আপনি পেতে চান তবে সর্বোচ্চ 50 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 
  • তাছাড়াও বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন এর মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ দশ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারছেন। 

এভাবেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের প্রবাসীদের জন্য দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের সুদের হার 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের নিয়ম ২০২৪ এ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের লোনের জন্য বিভিন্ন রকম সুদের হার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের প্রবাসীদের সুবিধার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সুদের দের হার প্রেরণ করছেন। আমরা নিজের সে বিষয়ে আলোচনা করব। 

  • এই ব্যাংক তাদের অভিবাসন লোনের জন্য সুদের হার সর্বোচ্চ ৯% এবং লোনের সময়সীমা ২ বছর করেছেন। 
  • পুনর্বাসন লোনের জন্য সুদের হার সর্বোচ্চ নয় পারসেন্ট এবং সময়সীমা ১০ বছর করেছেন। 
  • এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন এর জন্য সুদের হার ৯% এবং লোনের সময়সীমা এটাতেও ১০ বছর।
  • এবং বিশেষ পুনর্বাসন ঋণের জন্য সুদের হার ৪% এবং লোনের সময়সীমা ৫ বছর।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের হাউজ লোন সুবিধা 

প্রবাসী মানুষেরা যদি তাদের বা ঘর বা ব্যবসায়ী কোনো কারণে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে লোন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। সাধারণত যেসব প্রবাসীরা বিদেশে গিয়ে রাজনীতি শিকার হয়ে বা কোন সমস্যার কারণে চাকরি চ্যুতো হলে বা হয়রানির শিকার হলে যদি দেশে ফিরে আসেন তবে নিজের এবং পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এই লোনটা নিতে পারবেন। 

এই লোনে তারা ঘর তৈরির ছাড়াও ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধরনের লোনের সুদের হার শতকরা ৯% এবং লোনটি সর্বোচ্চ ১০ বছরের হবে।

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়োগ ২০২৪ এর জন্য আমাদের আরও জানা উচিত যে প্রবাসী কল্যাণের জন্য কোন কোন ব্যাংক তাদের লোন দিয়ে থাকেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করার জন্য আমাদের প্রথমে সঠিক ব্যাংক টা নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে মোট সাতটি ব্যাংক এই সুবিধা প্রদান করে থাকেন। নিচে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। 

কোন-কোন-ব্যাংক-প্রবাসী-লোন-দেয়

বাংলাদেশের বর্তমানে মোট সাতটি ব্যাংক রয়েছে যারা প্রবাসী ভাইদের জন্য সুবিধা প্রদান করে থাকেন। তারা সব ধরনের সুবিধা অনুযায়ী প্রবাসীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করেছেন। এই ধরনের লোনগুলা নেওয়ার জন্য কোন জমি বন্ধক বা কোন কিছু আটকে থাকবে না। প্রবাসী কল্যাণ লোন আপনি বিনা জামানতেই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

যে সাতটি ব্যাংক প্রবাসী ভাইদের লোন দিয়ে থাকেনঃ 

  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক 
  • পূবালী ব্যাংক 
  • অগ্রণী ব্যাংক 
  • সোনালী ব্যাংক 
  • এনআরবি ব্যাংক 
  • এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক 
  • এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক 

বর্তমানে এই সাতটি ব্যাংকগুলোয় প্রবাসীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের একটাই উদ্দেশ্য যেন প্রবাসীদের কে তারা যথাযথ সাহায্য করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সংগঠিত হয় ২০১১ সালে। আর এই ব্যাংকটি প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ এর তথ্য জানতে অবশ্যই ব্যাংকের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে। তাই চলুন আমরা এখন জেনে আসি যে আমাদের এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় কোথায় আছে। মূলত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মোট শাখা হচ্ছে ১২১ টি।  

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখা

ব্যবস্থাপক

৭১-৭২, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকা-১০০০

ফোনঃ +৮৮-০২-৮৩২১৮৭৮

মোবাইলঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০০ 

ঢাকায় আরেকটি শাখা

কাকরাইল শাখা 

ব্যবস্থাপক

৮৯/২, বিএমইটি ভবন, কাকরাইল, ঢাকা ।

ফোনঃ +৮৮-০২৮৩০০৩১০

মোবাইলঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০১ 

এছাড়াও আরও জানার জন্য নিচের এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লিংক এ ক্লিক করুন। এই সমস্ত শাখা গুলোতে আপনি গেলে আপনার প্রবাসী কল্যাণের জন্য যেই ধরনের লোন দরকার হবে সেই ধরনের লোনে আবেদন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন পাবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ নিয়ে লেখকের শেষ কথা

সুতরাং পাঠক গন আপনারা অবশ্যই ভালোভাবে জানতে পেরেছেন যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ এ কিভাবে সম্পূর্ণ নিয়ম পালন করতে হবে। এবং এখান থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এবং কোন ধরনের লোন আপনার জন্য উপযোগী সে বিষয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি ধারণা পেয়ে গেলেন। 

যে সকল ভাই-বোনেরা আর্থিক সমস্যার প্রবাসে যেতে পারছেন না এবংসমস্যা সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একটি সহজ এবং উপকারী একটি সমাধান। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের ঋণগ্রহীতা এবং প্রবাসীদের জন্য আরো নতুন নতুন বিভিন্ন রকম সুবিধা দিয়ে নিয়ে আসবেন। এতে করে প্রবাসী ভাইবোনদের বিদেশে যাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। 2024112

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩