OrdinaryITPostAd

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা, বাবহারবিধি ও দাম ২০২৪

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ত্বকের উপকারের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকি। রূপচর্চারটার জন্য শুধু মেয়েদের নয় ছেলেদের নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার সম্পর্ক আমরা জানবো।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা

নিমের ব্যবহার সম্পর্কে সকলেই কমবেশি অবগত। এখন নিম থেকে তৈরিকৃত নিম ফেসওয়াশ এর উপকার সম্পর্কে আমরা ভালো মতোই অনুভব করতে পারছি। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে সেই হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ নিয়েই আলোচনা করব।

আজকের পোস্ট পড়ে আপনি যা যা জানতে পারবেনঃ

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ভেষজ ও অর্গানিক উপাদান সমৃদ্ধ একটি ফেসওয়াশ। এ ফেসওয়াস টি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের কোন ধরনের ক্ষতিকর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা অপরিসীম। এই নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহার খুবই সহজ আর এই সহজ ভাবে ব্যবহার করেই আকাশ থেকে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া হয়।

এই ফেসওয়াশ ত্বক কে মসৃণ রাখতে সব ধরনের গুণাবলী সমৃদ্ধ উপাদান দিয়ে তৈরি। কুসুম গরম পানি দিয়ে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ টা ব্যবহার করতে হবে। নিউ ফেসওয়াশটি অভিরে ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । এই ফেসওয়াশে রয়েছে প্রাকৃতিক নিয়ম ও হলুদ যা শরীরের এবং ত্বক এর জন্য খুবই দরকারি।

অতিরিক্ত তেল, ময়লা, মৃত কোষ পরিষ্কার করতে এবং মুখে উজ্জ্বলতা বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটা ব্যবহার সমানভাবে উপকার পাওয়া যায়। তাই কোন ত্বক এর জন্য আমার এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করা  দরকার সেটা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না।

এই ফেসওয়াশ টি সাবান ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে নিম এর নির্যাস  দিয়ে তৈরি হওয়ায় ক্ষতিকর কেমিক্যাল এর সমস্যার থেকে ত্বককে রক্ষা করা সম্ভব হয়।  এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর সংমিশ্রনে এদের এন্টি মাইক্রোভিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটার ব্যবহারের পরে কোন ব্রণেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে না।

আরো পড়ুনঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতার ঔষধি গুণাবলি

সাধারণত ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ রয়েছে। আবার কিছু ফেসওয়াশ যেই ত্বকের জন্য উপকারী সেই ত্বকেই ব্যবহার করতে হয় তা না হলে অন্য ত্বকে ব্যবহার করলে ক্ষতি হওয়ার সমস্যা থাকে। কিন্তু এই হিমালয়ার নিউ ফেসওয়াশ সব ধরনের ত্বকেই সমান ভাবে কাজ করে।

যারা সময়ের অভাবে ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারেন না তারা খুব সহজেই এবং কম সময়ে ফেসপ্যাক বা ফেস এর জন্য উপকারী যেই প্রোডাক্টটি খুঁজছেন সেটাই কিন্তু এই হিমালয়া নিউ ফেস ওয়াশ। কারণ এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করে আপনার ত্বকের জন্য অতিরিক্ত কোন ধরনেরই ফেসওয়াশ বা ক্লিনজিং উপাদান ব্যবহার করা লাগছে না।

ছেলেদের নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার 

ছেলেরা মূলত ব্যাপারে মেয়েদের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকেন।  রূপচর্চার জন্য ছেলে মেয়ের কোন ভেদাভেদ নাই। কিন্তু এক্ষেত্রে ছেলেদের আগ্রহ মূলত কম থাকে। তাই খুব বেশি হলে ছেলেরা একটা ফেসওয়াশই ব্যবহার করে।

আর এই ফেসওয়াশটির ব্যাপারে একটু আগ্রহ প্রকাশ করে দোকানে গিয়ে কিনতে চায়।  আর এজন্য বাজারে ও ছেলেদের ফেসওয়াস বা যেকোনো ধরনের রূপচর্চার প্রোডাক্ট এর পরিমাণ অনেক কম। সে যাই হোক ছেলেদের জন্য হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না৷ ছেলেরা মূলত বাহির থেকে এসে স্কিন ফ্রেশ করতে আগ্রহী থাকে। 

এর থেকে বেশি কিছু না করলেও এই ফেসওয়াস টা ব্যাপারে তাদের জরুরী। আর ছেলেদের ত্বক যেহেতু মেয়েদের থেকে আলাদা তাই তাদের কোন ধরনের কেয়ার করা উচিত সে ব্যাপারেও তাদের ধারণা থাকা জরুরী।ছেলেদের স্কিন মেয়েদের থেকে বেশি রুক্ষ হয়ে থাকে। তাছাড়াও স্কিনে আবার অনেক ব্রণেরও সমস্যা দেখা দেয়। 

আবার এদিকে থাকার কারণে দাড়ি সেভ করতে হয় এ কারণে ওর ত্বকের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। শুষ্ক ও খসখসে ত্বক নিয়ে ছেলেরা নাজেহাল হয়ে যায়।  ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণে বেশি দেখা দেয়।  তাই এসব কারণে ছেলেদের জন্য খুবই একটি ভালো ফেসওয়াশ হচ্ছে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ।

এই হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যেহেতু ছেলেদের একটি স্ট্রং ফেসওয়াশ এর প্রয়োজন কারণ তারা খুব একটা স্কিন কেয়ার না করার জন্য তাদের স্কিনে অনেক গভীর পর্যন্ত ময়লা প্রবেশ করে এইজন্যই তাদের একটি ডিপ ক্লিন জরুরী। 

আর এই সমস্যা সমাধান একমাত্র হিমালয়া নিউ ফেসওয়াশই দিতে পারে। রেগুলার যদি একজন দিনেও রাতে দুইবার করে ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করে তাহলে তার স্কিন সুস্থ থাকবে।  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। যেহেতু চাইলেই মুখে সাবান ব্যবহার করা যায় না কারণ সাভারে প্রচুর ক্ষার থাকে। আর এই ঘাড় মুখে ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।  

তাই মুখের ত্বকের উপযোগী ক্ষার সমৃদ্ধ হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ। খুবই রেগুলারলি এই ব্যবহার যাবে।  এর ব্যবহার বেশী খুবই সাধারণ।  প্রতিদিন শুধুমাত্র তাহলে ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমানোর আগে এবং বাইরে থেকে এসে যদি মুখে নিউ ফেসওয়াস টি ব্যবহার করা যায় তবে এর পুরোপুরি উপকার পাওয়া যাবে।  

নিমের নির্যাস থেকে যে তুই ফেসওয়াসটি তৈরি তাই এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই। তাই এটি নিশ্চিন্তে নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য যুক্তিযুক্ত।

ত্বকের যত্নে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ

ত্বকের যত্নের জন্য হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ত্বকের যত্নের জন্য প্রথমত নিম কি পরিমান উপকারী তা তো আমরা সবাই জানি। আমরা সবাই আমাদের খুবই যত্নশীল, আর সেটা যদি মুখের ত্বক হয় তাহলে তো যত্ন আরো দেখুন বেড়ে যায়। 

ত্বকের যত্নে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ

আর এজন্য এই ত্বকের ব্যাপারে সাবধান থাকা জরুরী। এ কারণে নিম ফেসওয়াশ টি ব্যবহারে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট থাকে না। আমরা সবাই জানি নিমের উপকারিতা কোন পর্যায়ে রয়েছে। নিম এত স্বাস্থ্যকর এবং এন্টিবায়োটি  ধরনের উপকারী উপাদান হওয়ার জন্য এটা সব ধরনের সমস্যার সমাধান।

নিমের উপকারিতা বলে যেমন শেষ করা যাবেনা তেমনি নিম থেকে তৈরি কৃত উপাদানের উপকারিতার ও শেষ নেই। বিভিন্ন ডাক্তার কিংবা ত্বকের যত্নের জন্য বিউটি এক্সপার্ট সকলেই নিম ফেসওয়াশ কে রিপ্রেজেন্ট করে থাকেন, এমনকি হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের জন্যও সাজেস্ট করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় ও কিছু ঘরোয়া টোটকা 

সাধারণত নিম বেটে মুখের ত্বকে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আমাদের সকলের কাছে তো সরাসরি নিমের পাতা ব্যবহার করার সুবিধা থাকে না। তাই নিম থেকে উৎপাদিত কোন প্রোডাক্ট যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য খুবই সময় বান্ধব এবং ত্বকের জন্য উপকারী একটি প্রোডাক্ট পেয়ে যায় আমরা।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপাদান 

আমরা হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা পাই এর জন্য তৈরি কৃত উপাদান গুলার সাহায্যে। কারণ উপাদান গুলো সবই প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত।  এই ফেসওয়াশের কাজ ই হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া রিমুভ করা। ব্রণের মত ব্যাকটেরিয়া সমাধান করে। উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের ত্বকেও বেশ কার্যকরী।  

নিম

নিম হিমালয়া নিউ ফেসওয়াস তৈরির প্রধান উপাদান।  প্রাকৃতিক নিয়মের নির্যাস দিয়ে এই প্রোডাক্ট টি তৈরি হয়েছে। নিম ফেসওয়াশ বা শুধু নিম ও যুগ যুগ ধরে মানুষ রূপচর্চায় প্রচুর ব্যবহার করছে। এর প্রধান কারণ এর মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়া জাতীয় উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য খুবই উপকারী। 

হলুদ

যুগ যুগ ধরে হলুদ ও আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী উপাদান হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিকভাবে খুবই শক্তিশালী একটি চিকিৎসক হিসেবে হলুদের পরিচয় রয়েছে। শরীরের ভেতর থেকে বাইরে সব ধরনের সমস্যার জন্যই হলুদের ব্যবহার খুবই সাধারণ। হলুদ ভেসোর উপাদান সমৃদ্ধ স্কিনের জন্য খুবই উপকারী।  

শরীরের কালার কে উজ্জ্বল করার জন্য এবং উজ্জ্বল রং বের করে আনার জন্য হলুদের জুরি মেলা ভার। এরমধ্যে এন্টি ইনফ্রমেটরি উপাদান রয়েছে। এই উপাদান টি ত্বককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।  

মুলতানি মাটি 

মুলতানি মাটি ও হিমালয়া নিউ ফেসওয়াস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মাটি খুবই উপকারী। এই মাটি ব্যবহারেও তপ উজ্জ্বল হয়।

ব্রণের জন্য উপকারী নিম ফেসওয়াশ 

হিমালয় নিউ ফেসওয়াশ এর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ব্রণের সমস্যার সমাধানের জন্য। ড্রাই স্কিনের সমস্যা হলে খুব বেশি ড্রোনের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও তৈলাক্ত  এবং মাঝারি ধরনের স্কিনের জন্য ও ব্রণের সমস্যা থাকেই। 

মুখের ব্রণ অনেক সুন্দর্য নষ্ট করে দেয়। ব্রণের সমস্যা জেনেটিক কারণে ও হতে পারে আবার ত্বকের ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে ও হতে পারে। ব্রণের সমস্যার সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের বাজারে পাওয়া যায়। 

ত্বকে ধরন এবং সমস্যা অনুযায়ী কোন ফেসওয়াশ টা সবচেয়ে সেটা প্রথমে আমাদের জানতে হবে। ব্রণের জন্য এমন ফেসওয়াস ব্যবহার করতে হবে যা খুব সহজেই ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ব্রণের জন্য সাধারনত ধুলাবালি ও ডেড সেল দেয়।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা ও শিমুল মূলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এসব কারণ ছাড়াও ত্বক এ গর্ত বা ব্ল্যাক হোল অথবা হোয়াইট হোল হলেও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে ময়লা হওয়ার আগের প্রস্তুতিমূলক পোশাকগুলা সমাধান করা জরুরী। 

আরে এ কারণেই সবচেয়ে উপযোগী সমাধান হচ্ছে হিমালয়া নিউ ফেসওয়াশ। এই ফেসওয়াশ ব্রণের আইলা পরিষ্কার করতে আপনাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী সমাধান হবে। আর সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটা খুবই স্বাস্থ্যকর। 

প্রতিদিন সকাল বিকালে বাহির থেকে এসে এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। তাই যারা সৌন্দর্যের ব্যাপারে সাবধানী তারা অবশ্যই সেটা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহার 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহার ব্যবহার কিভাবে হবে এ ব্যাপারে জানার আগে আমাদের জানতে হবে কেন আমরা নিম ফেসওয়াশ নির্ধারণ করব। বাজারে বিভিন্ন রকম ফেসওয়াশই পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য উপকারী ফেসওয়াস টা আপনার নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে। 

আপনার ত্বকের সূক্ষ্ম ব্রণ রুক্ষতা বা এলার্জি র‍্যাস জনিত সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে বুঝেশুনে ফেসওয়াশটাই ব্যবহার করতে হবে। আর এই সমাধানের জন্য অবশ্যই হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ খুবই উপকারী। 

তাই যদি আপনি নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী হিমালয়া নিম ফেসওয়াস ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনার ত্বকের সমস্যার সমাধান হতে বাধ্য। হিমালয়া নিম ফেস ওয়াশ এর সাথে যদি ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা হয় তবে সুবিধা বা সমাধান আরো বেশি পাওয়া যায়। 

সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ফেসওয়াশ এর ব্যবহারটা কেমন ভাবে করতে হবে। অবশ্যই প্রতিদিন দুই থেকে  তিনবার এই ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করতে হবে। এবং ফেসওয়াস টি ব্যবহার করার আগে ভাবে মুখ করে নিতে হবে পানি দিয়ে। 

এবং এটি ব্যবহার করার পর যদি আপনি একটি স্ক্রাব ব্যবহার করেন তবে আপনি অবশ্যই আরো ত্বক পাবেন। এবং পরবর্তীতে যদি একটি টোনার লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ পর ব্যবহার করলে মুখ আরো পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে।

অবশ্যই মুখে মেকআপ করলে এই ক্লিনজিং প্রক্রিয়াটা ডাবল ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।  কারণ ক্লিনজিং করার জন্য মেকআপ একবারে ওঠেনা। এটাকে দুইবার অন্তত ভালো করে পরিষ্কার করতে হয়। তাই মেকআপ তোলার সময় সাবধান থাকা জরুরী।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহার

প্রথমেই টিউব থেকে এটা সরাসরি একটু হাতে স্ক্রেপ করে  ত্বকে লাগাতে হবে। এবং মৌ ত্বকে লাগেও কিছুক্ষণ স্ক্র্যাপ করতে হবে। এবং সেটা পরবর্তীতে শুকিয়ে গিয়ে পানি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অবশ্যই প্রতিদিন দুইবার করে লাগাতে হবে। 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশের যে স্ক্রাব ভার্সন আছে সেটা সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর দাম কত

বাজারে হিমালয়া ব্রান্ডের হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। এই ফেসওয়াশ টি অনেক সাইটের আর অনেক ধরনের ফ্রেগনেন্সের উপাদান সমৃদ্ধ প্রোডাক্টটি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকেই এই ফেসওয়াশটি কিনতে পারি। অনলাইন অফলাইন সব ধরনের দোকানেই এই ফেসওয়াশ খুবই অ্যাভেলেবেল।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর দাম কত

মূলত এটি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে। আর এ কারণে দোকান-ভেদে দামের তারতম্য হতে পারে। সাধারণত এই ফেসওয়াশটির সাইজ ৫০ থেকে ২৫০ গ্রামের হয়ে থাকে। এ কারণে দাম অনুযায়ী তারতম্য দেখা দেয়।

৫০ গ্রাম একটি হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর দাম ১৪০ টাকা এবং ১০০ গ্রাম ফেসওয়াশ এর দাম ২৮০ টাকা ও ২৫০ গ্রাম এর  দাম পরে ৬০০ টাকা বাড়ি থেকে একটু বেশি। 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াস আবার পার্থক্য দেখা দেয়। দেখা যায় ১০০ গ্রাম ছেলেদের জন্য হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর দাম ৫০০ টাকা হয়ে থাকে। হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের জন্য যেহেতু অনেক ব্যবহারকৃত আরে রূপাদানও ছেলেদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী তাই এর দামটাও ছেলেদের একটু বেশি হয়।

গার্নিয়ার ফেসওয়াস এর উপকারিতা

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এর সাথে গার্নিয়ারও খুব জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড।  খুবই রেগুলার ব্যবহার করা হয় এই ব্র্যান্ড টি। খুব ভালো ফেস এর জন্য উপকারী এর ফেসওয়াশ টি। এটা ডাবল ক্লিনজিং এর কাজ করে। 

সবচেয়ে বড় বিষয়ে এর দাম কম। এর মধ্যে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং এসিড ত্বকের জন্য ভালো সেগুলা বিদ্যমান। গার্নিয়ার এর ফেসওয়াশ ব্যবহার কল করলে বিভিন্ন রকম সুবিধা  রয়েছে। 

  • গার্নিয়ার ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রাইটনেস বাড়ায় দেয়। 
  • ত্বকের উপরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ,  ডেড সেল খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে। 
  • ব্যবহার করার ফলে রিফ্রেশিং অনুভূতি আসে। 
  • অতিরিক্ত ওয়েল কন্ট্রোল করার জন্য স্যালিসাইলিক এসিড রয়েছে। যা ব্রণের প্রভাব কমায়। 
  • ভিটামিন সি থাকার কারণে স্কিনে কালো ছোপ কমিয়ে দেয়। 
  • স্কিনের কোন ড্যামেজ থাকলে সেগুলো রিপেয়ার করে।

পাপায়া ফেসওয়াশ এর উপকারিতা 

পাপায়া ফেসওয়াশ ক্ষতিগ্রস্ত, বার্ধক্য জনিত বা শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। পাপায়া ফেসওয়াশ নাম শুনলেই বোঝা যায় এখানে পেঁপে গোলাপ মধু এই তিনটি উপাদানই রয়েছে।  যা কিনা আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

  • পাপায়া ফেসওয়াশ  একটি ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ একটি আয়ুর্বেদিক পণ্য। এই ফেসওয়াশটির ব্যবহারের ফলে ত্বকের লাগতো ভাব কমে যায়,  তক উজ্জ্বল হয়,  ত্বকের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। 
  • হাতের উপর খুব কম পরিমাণ ফেসওয়াশ নিয়ে প্রথমে মুখে তারপর ত্বকে এবং ঘাড়ে ভালোভাবে ঘষে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু যদি ক্ষত,  এলার্জি বা ত্বকের কোন সংক্রামক ব্যাধি হলে এই ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করা যাবে না। 
  • প্রতিদিন প্রয়োজনে এক থেকে তিনবার এই ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করা যায়। 
  • ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে বন্ধ করে রাখতে হবে। এবং আদ্র স্থানে রাখতে হবে। সরাসরি সূর্যের স্পর্শে রাখা যাবে না। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা হচ্ছে এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তৈলাক্ত ত্বক আমাদের এশিয়ান স্কিনের জন্য খুবই সমস্যা। এই ত্বকের জন্য অনেক ধরনের কিনে সমস্যা হয়ে থাকে। স্কিনের বাহ্যিক সমস্যা ব্রণ মূলত এই তৈলাক্ত ত্বকের কারণেও হয়ে থাকে। 

কারণ এই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্ক্রিনে ময়লা খুব সহজেই বসে যায়। যার কারণে ত্বকের ড্যামেজ দেখা দেয়। 

  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশে কন্ট্রোল উপাদান থাকার কারণে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি খুবই উপকারী। 
  • এটিতে লেবুর নির্যাস রয়েছে। 
  • এটি স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত তেল সরিয়ে দেয়। 
  • কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই। 
  • এটা আমাদের পাশের দেশ ভারতে তৈরি হওয়ার কারণে আমাদের স্কিনের সাথে রিলেটেবল। 
  • এ কারণে আমাদের দেশের প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারে ক্ষতি

হিমালয়া নিউ ফেসওয়াশে মূলত যতটা উপকার রয়েছে ক্ষতির পরিমাণ খুব একটা নেই। কারণ এতে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল দেওয়া থাকেনা। কিন্তু ব্যবহারের ভুলের জন্য আমরা অনেকে এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকি। মূলত এগুলো হচ্ছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আর শুষ্ক ত্বক হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ফাটল ধরে এবং অন্যরকম সমস্যা দেখা দেয়। 

স্কিনের পিএইচ লেভেল কমে যায়। আর পি এইচ লেভেল কমে গেলে ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকারক বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই ফেসওয়াশ ব্যবহারে প্রথমত আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ যে কোন ধরনের ফেসওয়াশই সব সময় প্রতিদিন দুই থেকে তিনবারের বেশি ব্যবহার করা ঠিক না। 

কিন্তু এর থেকে বেশি ব্যবহার করলে ত্বকের যে তৈলাক্ত বিষয়গুলা রয়েছে বা উপাদানগুলো রয়েছে তা নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান যুগে বেশিরভাগই দেখা যায় আমরা নারীরা ত্বকের ব্যবহারের জন্য অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। এ কারণে ত্বকের স্তর  অনেক পাতলা হয়ে যায়। এ কারণেও ত্বকের ক্ষতি সাধন হওয়ার জন্য দায়ী। 

এছাড়া বেশিরভাগই বাহির থেকে এসে ঠিকমত মুখ ধুয়ে ফেলেন না। দুবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন না। ভালো কোম্পানির ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন না। মুখ পরিষ্কার দীর্ঘক্ষণ করার কারণে মুখের নমনীয়তা নষ্ট হয়।এজন্য ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহারকারীদের মন্তব্য 

এই প্রোডাক্টটি বেশি উপাদান সমৃদ্ধ, অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। সাশ্রয়ী এবং কোন ট্রাভেল এ নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী। গারো সবুজ রঙের ও এতে নিমের পার্টিকেল রয়েছে। এগুলো স্ক্রাবিং এর মত জোরে জোরে ত্বকের উপর ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হয় না ও ত্বক  ভালো পরিষ্কার হয়। 

এই মাক্সটির অনেক ভালো। অতিরিক্ত শুকনো হয় না আবার অনেক তেলতেলে ভাব নেই। ব্যবহারবিধি খুবই সহজ। সরাসরি মুখে ব্যবহার করা যায়।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা বিষয়ে লেখকের মন্তব্য

হিম রসের উপকারিতা বিষয়ে আমরা সকলেই জানলাম। এবং এই ফেসওয়াশটি ব্যবহারের কারণে কত ধরনের সুবিধার যে পাওয়া যায় সে ব্যাপারে আমরা সকলেই জানতে পেয়েছি। এবং হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের  হ্মেত্রে ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। 

অনেক ছেলেদের জন্য রূপচর্চা সঠিক উপাদান ব্যবহার করা খুবই চিন্তার বিষয়। এবং স্কিনের জন্য ব্যবহার করব সে ব্যাপারে আমরা অবগত নই। আশা করি এই আর্টিকেলটা পড়ে আমরা সকলেই এর উত্তর পেয়ে গিয়েছি। এবং আমরা বুঝতে পেরেছি যে হিমালয়ের নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা কতটা বিস্তৃত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩