হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও শিকড়ের উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানি না হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম কি। হাতিশুর গাছ একটি মহাপ্রয়োজনীয় ঔষধি গাছ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর উপকার অনেক। হাতিশুর গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
আজকে আমরা হাতিশুর গাছের কাজ সম্পর্কে পরিচিত হব। হাতিশুর গাছের উপকারিতা ও হাতিশুর গাছের এর গুনাগুন গুলো আজ আমরা জানতে পারবো। চলুন নিচে আমরা হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি।
পেজ সূচিপত্রঃ হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের ভেষজ উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
- হাতিশুর গাছের উপকারী অংশ
- হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের শিকড় কখন খাবেন
- হাতিশুর গাছের শিকড় থেকে যৌন সমস্যার সমাধান
- যৌন সমস্যার সমাধানে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
- হাতিশুর ছাড়াও যৌন সমস্যার সমাধানে কিছু উপকারী গাছ
- হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের ফুল খাওয়ার কারণ
- হাতিশুর গাছের অপকারিতা
- হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে লেখকের শেষ কথা
হাতিশুর গাছের ভেষজ উপকারিতা
হাতিশুর গাছে শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানবো। তার আগে আমাদের জানতে হবে হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকার কি। হাতিশুর গাছটি একটি ছোট ধরনের উদ্ভিদ। হাতিশুর গাছ রাস্তার আশেপাশে আগাছা হিসেবে অনেক দেখতে পাওয়া যায়। ফুলগুলো সাদা রংয়ের এবং পাতা সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে।
হাতিশুর গাছটি এতটা যে ভেষজ গুণ সম্পন্ন তা আমরা অনেকেই জানি না। হাতিশুর গাছের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। হাতিশুর গাছের সম্পর্কে আমরা এখন যে উপকারিতা গুলো বলবো তা আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যায় খুবই কার্যকর। নিচে সেই সব উপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হলো।
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা ভাব দেখা গেলে হাতিশুর গাছের ব্যবহারে সমস্যা সমাধান হয়।
- বিষাক্ত কোন পোকামাকড় কামড় দিলে রস ব্যবহার করলে ব্যথা ভাল হয়ে যায়।
- ঠান্ডার সময় সর্দি কাশি লেগে গেলে গাছের রস সর্দি কাশির ওষুধ পাওয়া যায়।
- একজিমার সমস্যা হলে রক্ষা পেতে একজিমা হওয়া জায়গায় দিলে এজিমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- দাঁতের কোন সমস্যা হলে যদি মারি ফুলে যায় তবে এই গাছের অংশবিশেষ চাবালে বিশেষ উপকার পাবে।
- ঘুরিয়ে কোন জায়গায় ব্রণের সমস্যা হলে হাতিশুর গাছের বিশেষ একটু থেতলে ব্রণ হওয়ার জায়গায় লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে আর ব্রণের সমস্যা থাকবে না।
- গলা ব্যথা বা ফেরিনজাইটিস জনিত সমস্যা হলে গাছের রস গরম পানিতে মিশিয়ে গার্গল করলে সমস্যা সেরে যাবে।
- কোন জায়গায় ছিলে গেলে হাতিশুর গাছের অংশ থেতলে দিলে ব্যথা কমে যাবে কাটা জায়গা সেরে যাবে।
- রিউম্যাটিক বাতের সমস্যা দেখা দিলে রেডি তেলের গরম করে রস এর সাথে মিশিয়ে ব্যাথার জাইগায় লাগালে বাত সেরে যাবে।
- দাঁতের মারি ফোলা জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে গাছের রস পানিতে জালিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা উপশম হবে।
- টাইফয়েড জাতীয় কোন জ্বর হলে এ গাছের পাতা একটু গরম করে খাওয়ালে রোগ সেরে যায়।
- কোন জায়গায় আঘাত লাগলে গরম করে বেটে ফোলা জায়গায় লাগালে ব্যথা সেরে যাবে।
- জ্বর বা কাশিতেও এই কাজ খুবই উপকার।
- ছত্রাক জাতীয় কোন সমস্যা দেখা দিলে চামড়ার উপর চাকা চাকা হয়ে গেলে গাছের রস সেখানে লাগিয়ে দিলে ছত্রাক জাতীয় সমস্যা সমাধান হবে।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম, হাতিশুর গাছ সংগ্রহ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গাছটি যেন বাচ্চা কাজ না হয়। প্রাপ্তবয়স্ক গাছ বোঝার জন্য এমন গাছ দেখবেন যেখানে ফুল হয়েছে। ফুল যে সব কাছে হয় না মানে যেগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক গাছ সেসব গাছের মূল কোন কাজে আসে না। তাই ফুলসহ হালকা হলুদ রঙের পাতা সমৃদ্ধ কাজটি নির্বাচন করবেন।
এরপর গাছটির সংগ্রহ করবেন। আর হাতিশুর গাছ বড় হতে সর্বোচ্চ তিন মাস সময় লাগে। পরে সংগ্রহ করে মূল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। আর এর থেকে ওষুধ বানানোর জন্য চারটি উপাদান প্রয়োজন। একটি হচ্ছে প্রচুর গাছ দ্বিতীয়টি হচ্ছে মধু তৃতীয়টি হচ্ছে পান অংশটা হচ্ছে কালোজিরা।
প্রথমে সবগুলো উপাদান পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরবর্তীতে প্রথমে পান নিয়ে হাতিশুর গাছের শিকড় প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটে নিতে হবে পরবর্তীতে এ এক চিমটি ওই পানের উপর দিয়ে দিতে হবে। শেষে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিতে হবে।
এই উপকরণগুলো দিয়ে বাজারে যেমন পান বিক্রি করা হয় সেভাবে পান টিকে ভাঁজ করে খেয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই হাতিশুর গাছের শিককরটি যেন ১ ইঞ্চি সাইজের হয়।
এই ওষুধটি ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে খেতে হবে। এতে উপকার ভালো পাওয়া যায়। আর প্রতিদিন রাতে একবার করে খেলে এক সপ্তাহ পর আপনি ফলাফল পেয়ে যাবেন।
- হাতিশু গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম হলো, শরীরের কোন জায়গায় ফুলে গেলে এই হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস বের করে হালকা গরম পানিতে সেদ্ধ করে খেলে ওই ফোলা জায়গাটা কমে যাবে।
- কোন জ্বর ঠান্ডা কাশি হলে এই গাছের শিকড় পানিতে ফুটিয়ে ওই পানি পরবর্তীতে খেলে ঠান্ডা কাশি সেরে যায়।
- শরীরে কোন জায়গায় আঘাত লাগলে আঘাতের স্থানে আছে শিকড় পেটে লাগিয়ে দিলে ব্যথা কমবে।
হাতিশুর গাছের উপকারী অংশ
হাতিশুর গাছ আমাদের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। হাতিশুর গাছের ফুল থেকে শিকড় পর্যন্ত প্রত্যেকটা অংশই খুবই কার্যকরী। হাতিশুর গাছের যে এক থেকে দেড় ফুট লম্বা গাছটি হয় এর প্রত্যেকটা অংশ একটা রোগ সারাতে সাহায্য করে। গাছটির ফুল সাদা রঙের এবং পাতাগুলো খসখসে হয়ে থাকে।
হাতিশুর রয়েছে ইনডিসিন, পাইরোলিজিডিন, এলকালয়েড্স ও হেলিওট্রিন লেজিটিং নামক নানা ধরনের উপকারী রাসায়নিক উপাদান। পানি জমা ছোট ছোট ডোবা এলাকাগুলোতে এইসব কাজ বেশি পাওয়া যায়। হাতিশুর গাছের যেসব অংশগুলো মানুষের জন্য খুবই উপকারী সেগুলো হলো।
- পাতা
- মূল
- কান্ড
- শিকড়
হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম জানলাম কিন্তু আমরা এটা জানতাম না যে হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা কি। হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের শরীরের জন্য এই গাছের শিকড় খাওয়া যে কি উপকারি আমরা বেশিরভাগ মানুষের জানিনা। কিন্তু আমাদের এসে ফোর আগে থেকেই গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে।
- আমাদের শরীরের যেমন ছত্রাকের সমস্যা হয় অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়। এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। এই ক্ষেত্রে কাজ হবে তোর গাছের শিকড় থেকে রস সংগ্রহ করে উক্ত ফুলে যাওয়া স্থানে ভালোভাবে লাগানো। তাহলেই খুব তাড়াতাড়ি সমাধান পাবেন।
- আমাদের শরীরের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে ক্ষত হয়ে যায়। আমরা তখন বুঝতে পারিনা আমাদের এই মুহূর্তে কি করা উচিত। আবার বিভিন্ন সময় খেলাধুলা করতে গিয়ে ব্যথা পাই এবং সেখান থেকেও ক্ষত এর সৃষ্টি হয়। এইসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে গেলে অনেক টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- কিন্তু আপনি যদি এখন একটি হাতিশুর গাছের শিকড় বেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান হবে। হাতিশুর গাছের এই রস এক মাসের মতো ব্যবহার করলে ক্ষত ঘা সব ঠিক হয়ে যাবে।
- বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বা দাদ যাদের হয়ে থাকে অনেক সময় দেখা যায় ওষুধ খাওয়ার সত্বেও এই সমস্যাগুলার সমাধান পাওয়া যায় না এগুলো ভালো হয় না। সেসব ক্ষেত্রে হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস যদি করা যায় স্থানে তাহলে অবশ্যই ক্ষত ঠিক হয়ে যাবে।
- প্রচন্ড পরিমান দাঁতের ব্যথা যাদের তাদের ক্ষেত্রেও শিশুর গাছের শিকরের রস খেলে ঐ রস দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা সেরে যায়।
হাতিশুর গাছের শিকড় কখন খাবেন
হাতির শুয়োর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম হাতিশুর গাছের কর কখন খেতে হবে সে ব্যাপারে আমাদের ধারণা থাকা জরুরী। হাতিশুর গাছ যেহেতু একটি ভেষজ উদ্ভিদ তাই এই গাছের খাবার সময় এবং পদ্ধতি রাখা জরুরী।
হাতিশুর গাছের শিকড় সাধারণত ভোর বেলায় খেতে হবে। খালি পেটে না খেলে এর কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। সকালে এই পাতা, খালি পেতে খেলে পরবর্তীতে প্রচন্ড পরিমাণে পানি সেবন করতে হবে। এবং খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে আর অন্য কোন কিছু খাওয়ার যাবে না। সকালে হাতিশুর গাছের শিকরের বের করে তা পানিতে গরম করে যদি মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে আরো উপকার পাওয়া সম্ভব।
হাতিশুর গাছের শিকড় থেকে যৌন সমস্যার সমাধান
যৌন জাতীয় কোন সমস্যার সমাধানের জন্য পুরুষদের ক্ষেত্রে এটা খুবই কার্যকরী একটি ভেষজ উদ্ভিদ। যৌন চাহিদা মেটাতে যাদের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই হাতিশুর গাছের কথা অনেক জায়গায় উল্লেখ করা আছে। কি কি ধরনের জমি চাহিদা চুর গাছ সে ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হলো।
যাদের বন্ধ্যাত্তের সমস্যা রয়েছে সেই সব পুরুষরা যদি এই গাছটার শিকড় খেয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের সমস্যার সমাধান হবে। যারা যৌন ক্ষমতায় দুর্বল তাদের জন্য এই গাছের শিকড় খুবই উপকারী।এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আরো বেশি ভালো ধারণা পাওয়া যাবে।
যৌন সমস্যার সমাধানে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই হাতে সুর গাছের যে উপকারিতা রয়েছে যৌনতার সমস্যার বিষয়ক সেটা জানেন না। আবার জানলেও এটা সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তাই সঠিক ব্যবহার না করার জন্য এর পর্যাপ্ত ফল পান না। যৌনতার সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে এই গাছের আগের থেকেই হয়ে আসছে।
তাই কিভাবে এই গাছের শিকড় থেকে তার সমাধান পাওয়া যাবে নিচে চলুন সে ব্যাপারে আলোচনা করে আসি।
- প্রথমত শিকড়ের এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটে নিতে হবে যদি শিকড়টি অনেক চিকন থাকে তবে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ কাটতে হবে। এরপর এই শিকটি পান পাতার সাথে ফেলতে হবে। পান পাতাটি যথেষ্ট বড় হতে হবে। আর এই তাল পাতা বিভিন্ন রকম দোকানে বা হাটে বাজারে পাওয়া যায়। পান পাতা আর সাথে অবশ্যই এক চামচ পরিমাণ নিয়ে খেতে হবে।
- রাতে ঘুমানোর আগে খেয়ে ফেলতে হবে ভালো করে চাবিয়ে রসগুলো নিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে একটি হাতিশুর এর শিকড় এবং একটি পাতা ফেলতে হবে। এভাবে যদি দুই থেকে তিন মাস খাওয়া যায় তবে অবশ্যই যৌন সমস্যার সমাধান হাতে হাতে পাওয়া যাবে।
- সহবাসের পূর্বে ১৫ মিনিট আগে পান পাতা এবং শিকড় খেতে হবে।
- পরিমাণের বেশি কখনোই খাওয়া যাবেনা খেলে প্রচুর কষ্ট এবং পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে।
হাতিশুর ছাড়াও যৌন সমস্যার সমাধানে কিছু উপকারী গাছ
আমরা হাতিশুর গাছে শিকড় খাওয়ার নিয়ম এর মাধ্যমে আমরা জেনেছি যে যৌন সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু হাতিশুর গাছ ছাড়াও আরো অনেক গাছ রয়েছে যেগুলো খেলেও এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শিমুল ইক্ষো অশ্বগন্ধা বনধা জিনসিন বিভিন্ন গাছগুলো শরীরের যে হরমোনাল সমস্যা থাকে এই সমস্যাগুলার থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
আরও পরুনঃ কাঁচা শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা
হরমোনাল এই সমস্যার কারণে যৌনশক্তি নষ্ট হয়। পুরুষরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও পুরুষদের আরো কিছু সমস্যা দেখা যায় যে সমস্যাগুলো চিকিৎসা করলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে ফর্মোনাল সমস্যা সমাধান করে পরিবারে শান্তি বজায় রাখা যেতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন কোন ভেষজ উদ্ভিদ গুলো খাওয়া জরুরী সেইসব বিষয়ে অবশ্যই ভালো জ্ঞান আহরণ করেই সামনে আগাতে হবে।
হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা
হাতিশুর গাছের মূল যৌন রোগ খুবই কার্যকরী। পান পাতার সাথে দুই ইঞ্চি পরিমাণ কেটে সকালে ঘুম থেকে উঠে চিবিয়ে রস খেয়ে ফেলতে হবে। প্রথমে শুধু পানি খেত খেতে হবে। তারপরেই এই ভেষজ উদ্ভিদটি খাওয়া যাবে। এবং এর মধ্যে আধা ঘন্টার আর কিছু খাওয়া যাবেনা।
শরীরে কোন জায়গায় ফুলে গেলে বা জ্বর কাশি হলে হাতিশুর গাছের মূল সঙ্গে ফুটিয়ে ওই পানিটির পরে ওই ফোলা জায়গায় লাগিয়ে দিতে হবে। ফোড়া হলে হাতিশুর গাছের মূল ছেচে যদি ফোঁড়া জায়গায় প্রলেপ দিয়ে রাখা যায় তবে অবশ্যই সেরে যাবে।
হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলেও হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা পড়ে শেষ করা যাবে না। হাতিশুর গাছের পাতাটি একটি ছোট আকৃতির ছোট অবস্থায় পাতাটির কালার সবুজ এবং পূর্ণবয়স্ক হলে এর পাতার রং হালকা হলদেটে হয়ে যায়।
চলুন আমরা জেনে নেই হাতিশুর গাছের পাতা থেকে কি কি ধরনের উপকার আমরা পেতে পারি।
- দেহে কোন ছত্রাক জাতীয় রোগ হলে হাতিশুর গাছের পাতা থেতলিয়ে রস বানিয়ে নিয়মিত স্থানে লাগাতে হবে। তবেই সমাধান মিলবে।
- কোন জায়গায় ফোড়া হলেও পাতা বেটে একটু গরম করে ফোড়ার জায়গায় দিলে ফোড়া সেরে যায়।
- বিষাক্ত কোন পোকা কামড় দিলেও রস করে ওই জায়গায় লাগালেও ব্যথা কমে যায়।
- টাইফয়েডের জ্বরের জন্য পাতা থেকে কার্যকারী সমাধান পাওয়া যায়। জ্বরের সময় হালালকা গরম পানিতে ফুটিয়ে বের হবে তা রবি যদি খায় তাহলে টাইফয়েড সেরে যায়।
- এক্সিমা বা বাতের সমস্যা তেও পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
হাতিশুর গাছের ফুল খাওয়ার কারণ
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম আমরা জানতে পেরেছি।হাতিশুর গাছের কোরের উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা যেমন জেনেছি তেমনি শিখড় ছাড়াও গাছের পাতা কাণ্ড মূল এগুলো খেলেও যে কত উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু কাছের খাওয়ার জন্য কোন উপকার পাওয়া যায় কিনা বা ফুল ব্যবহার করে কোন সুবিধা রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে আমরা কিছু জানতে পারি নাই।
অনেকেই মনে করেন যে হাতিশুর গাছের ফুল দিয়ে বশীকরণ মন্ত্র বানানো যায়। অনেক তান্ত্রিক শাস্ত্রে এই কথা লেখা আছে। কিন্তু এটা খুবই বেআইনি একটি কাজ। এবং এগুলার কোন ভিত্তি নেই। সব আইন নীতি বাঁধা পড়ে এমন না করাই উত্তম। এগুলো মূলত সমাজের কুসংস্কার।
হাতিশুর গাছের ফুল একটি খুব সুন্দর ছোট পাঁচ পাতা বিশিষ্ট সাদা রঙের ফুল। ফুলের এমন কোন গন্ধ নেই। তবে এর ফুলের যে সুরটা এটা হাতির সুরের মতো দেখায়। এবং দেখতে খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। এর ফুল গুলো সারা বছরই ফোটে কিন্তু শীতকালে একটু বেশি দেখা যায়। এই ফুলটিকে শ্রী হস্তিনী ও বলা হয়ে থাকে।
হাতিশুর গাছের অপকারিতা
কোন ঔষধ কোন নির্দিষ্ট রোগের জন্য খেলে যেমন রোগটা সেরে যায় তেমনি ওই ওষুধটা যদি একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে রোগটি সারার বদলে আরো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর থেকেও বেশি আরো বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তেমনি একইভাবে হাতিশুর গাছ নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী না খেলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমরা এখন হাতিশুর গাছের অপকারিতা সম্পর্কে জানব। হাতিশুর গাছের এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা বেশি ব্যবহার করলে বা খেলে শরীরের ভেতর অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড বার টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই মারাত্মক টিউমার পরবর্তীতে ক্যান্সারের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই এটি যে কোন সমস্যায় খাওয়ার আগে সব নেওয়া জরুরি।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে লেখকের শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে যা যা জানলাম তা অবশ্যই আপনাদের সবার কাছে খুবই স্পষ্ট হয়েছে। নিশ্চয়ই পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে বা রোগে পড়লে হাতিশুর গাছের শিকড় মূল পাতা ব্যবহার করে রোগের সমাধান পাবেন।
আজকের আলোচনা থেকে হাতিশুর গাছ সম্পর্কে যে বিষয় গুলো জানলেন। তা অবশ্যই খুবই কার্যকরী। এবং দিন শেষে এর থেকে জ উপকার পাবেন তার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা। আরও তথ্য বহুল আলোচনা অবশ্যই এই আর্টিকেল থেকে পাবেন। 2024112
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url