OrdinaryITPostAd

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০২৪

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খুলবো জানার জন্য এখন অনেকেই আগ্রহী। বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষের বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের চাহিদা লাঘব করেছে ফ্রিল্যান্সিং। 

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব

তাই আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে আপনার উচিত হবে আর দেরি না করে একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলে ফেলা। আজই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব, ফ্রিল্যান্সিং কি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন প্রকারভেদ।

সূচিপত্রঃ ঘরে বসে খুব সহজে যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলতে হয়

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব এটা জানার জন্যই হয়তো আপনি এখানে এসেছেন। এবার আপনাদেরকে জানাবো খুব সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার নিয়ম। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট লাগবে। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলবঃ

  1. ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম খুঁজে বের করা। বর্তমানে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তার মধ্যে আপনার কাছে সবচেয়ে উপযুক্ত যে প্লাটফর্মটি মনে হবে আপনি সেই প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খুলতে পারেন। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো হল Upwork, Fiver, Freelancer, Guru ইত্যাদি আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। প্রতিটি প্লাটফর্মে কাজ করার জন্যই আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। এবং অ্যাকাউন্ট খোলার পরে আপনার কি কি অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে।
  2. আপনার পছন্দের প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলার পরে আপনাকে আপনার প্রোফাইলটি সেটিং করতে হবে। প্রোফাইলটি এমন ভাবে সেটিং করতে হবে যেন ক্লাইন্ট আপনার প্রোফাইলে ঢুকা মাত্রই আকৃষ্ট হয়। অবশ্যই একটি ফরমাল ছবি দিবেন। এবং আপনার কাজের অভিজ্ঞতা গুলো খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করবেন। পাশাপাশি কেন আপনি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় আলাদা সেটাও উল্লেখ করবেন। আপনার সার্ভিস নিয়ে তারা কি কি উপকার পাবে তা জানাতে ভুলবেন না। এবং আপনার প্রোফাইলে অবশ্যই আপনার পূর্বের কাজের ডেমো গুলো শেয়ার করে রাখবেন। যাতে করে ক্লাইন্ট তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
  3. এরপর আপনাকে শুরু করতে হবে কাজের জন্য আবেদন করা। প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে আপনি কাজের অনেক পোস্ট দেখতে পারবেন। এবং পোস্টগুলোতে স্কিল লেখা থাকে অর্থাৎ ক্লাইন্টরা কি ধরনের কাজ যাচ্ছে। কাজের আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি আবেদন লিখতে হবে। খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে একটি আবেদন লিখবেন। এবং সেখানে অবশ্যই উল্লেখ করবেন কেন আপনি তার এই কাজের জন্য উপযুক্ত। আপনার আবেদনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে যে আপনি কাজটি পাবেন কি পাবেন না।
  4. কাজ পাওয়ার পর অবশ্যই প্রতিদিন সময়মতো কাজ সম্পূর্ণ করবেন। এতে করে ক্লাইন্ট আপনার প্রোফাইলে ভালো রিভিউ দিবে। আর আপনার কাজ পাওয়া সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। এমনও হতে পারে ক্লাইন্ট তার বন্ধুদেরকে আপনার কাজ রেফার করতে পারে। তাই অবশ্যই ক্লাইন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি নিজেই আপনার বস। এখানে কেউ আপনাকে কাজের জন্য ধমকাবে না বা জবরদস্তি করবে না। আপনি নিজের ইচ্ছামত যেকোনো সময় এই কাজটি করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কোথাও যেতেও হবে না আপনি ঘরে বসেই কাজটি করতে পারবেন। শুধু আপনার প্রয়োজন হবে দক্ষতা এবং ইন্টারনেট কানেকশন। ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা হল মুক্ত পেশা। আমাদের দেশে চাকরির বাজার বর্তমানে খুবই খারাপ। 

অসংখ্য শিক্ষার্থীরাই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে টাকা আয় করছে। আর এই টাকার পরিমাণ এতই বেশি যে আপনি জানলে অবাক হবেন। আমাদের দেশে এমনও ফ্রিল্যান্সাররা আছে যাদের মাসে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকাও ইনকাম হয়। 

নিশ্চয়ই আপনি অবাক হচ্ছেন তবে এটি মোটেও বানানো কোন গল্প নয়। হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে পা বাড়াচ্ছে। এর কারণ হলো এই পেশাতে রয়েছে স্বাধীনতা। 

আপনি যদি কোনদিন অসুস্থ থাকেন আপনার যদি কাজ করতে ইচ্ছে না হয় আপনি বিশ্রাম নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি একটি অফিসে চাকরি করেন আপনি অসুস্থ থাকলেও আপনাকে যেতেই হবে। এবং বর্তমানে চাকরিজীবীদের তুলনায় ফ্রিল্যান্সাররা বেশি টাকা আয় করে থাকে। 

এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিনিয়ত অনেক কিছু শিখতে পারবেন পাশাপাশি বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে আপনার কমিউনিকেশন হবে। আশা করি এবার আপনি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি।

আমি কেন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট বানাবো?

দেখুন যদি আপনার কাছে করার মত দক্ষতা আর আপনি ঘরে বসে টাকা আয় করতে চান তাহলে কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট বানাবেন না? এতে করে আপনি ঘরে বসে শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। 

আর এটি একদম স্বাধীন পেশা। আপনি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তাই দক্ষতা থাকলে আপনার উচিত অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করা।

কি কি কাজ ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যাবে?

আপনি এর মধ্যেই জেনে গিয়েছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো ফিল্ড রয়েছে। আপনার যে ফিল্ডে দক্ষতা রয়েছে আপনি সে ফিল্ডেই কাজ করতে পারবেন। তবে যে বেশি কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায় তা হলঃ

  • কনটেন্ট রাইটিং
  • লোগো ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়ার্ডপ্রেস
  • অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট
  • এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • ভিডিও এডিটিং
  • ভিডিও ক্রিয়েশন
  • সার্ভার ম্যানেজমেন্ট
  • কোডিং

আরো নানা ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ পেয়ে যাবেন।

প্রজেক্ট বিড মানে কি

যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে আপনার যখন একটি একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে তখন আপনাকে কাজের জন্য প্রজেক্ট বিট করতে হবে। এই প্রজেক্ট গুলো সাধারণত যে কোন কোম্পানি বা ক্লাইন্ট পাবলিশ করেছে। 

আপনার যদি এই ধরনের কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি পুরো পোস্ট ভালো করে পড়ে সেখানে এপ্লাই করবেন। আর সেই এপ্লাই করা টিকে বলা হয় প্রজেক্ট বিডিং।

  • প্রথমে আপনি যেই প্রজেক্টে কাজ করতে চান সেই প্রজেক্ট এ ক্লিক করবেন।
  • তারপর আপনি প্রজেক্ট এর সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
  • তথ্য দেখার পর আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কি কি দক্ষতা থাকতে হবে।
  • এবার আপনার যে দক্ষতা আছে তা এপ্লাই করার সময় লিখে দিতে হবে।
  • ক্লাইন্টকে বুঝাতে হবে কেন এই কাজটি আপনাকে দিয়ে করার সে উপকৃত হবে।
  • এবং একটি করার জন্য আপনি কত টাকা নিবেন এবং কতদিন পরে প্রজেক্ট জমা দিবেন সেটাও লিখে দিবেন।
  • এরপর "place bid" অপশনে ক্লিক করলেই আপনার বিড হয়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট কিভাবে খুলব তা আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। একাউন্ট খোলার পর কাজ শেখার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে দক্ষতা। শুধু ফ্রিল্যান্সিং না যে কোন কাজ করতেই দক্ষতা প্রয়োজন। 

ফ্রিল্যান্সিং-করতে-কি-কি-দক্ষতা-প্রয়োজন

আপনার যদি সঠিক দক্ষতা না থাকে আপনি খুব বেশি দূর আগাতে পারবেন না। আমাদের চারপাশে কম্পিটিশন এখন অনেক বেশি। কাজের দিক দিয়ে সবাই মোটামুটি বেশ দক্ষ। তাই আপনাকেও যে কোন সেক্টরে আঘাতে হলে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। তবে মোটামুটি দক্ষতা থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। 

বিদেশি ক্লাইন্টের সাথে কাজ করতে হলে আপনার ইংরেজি স্কিল ভালো থাকতে হবে। পাশাপাশি আপনার কমিউনিকেশন করার দক্ষতাও থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত ভাল কমিউনিকেশন করতে পারবেন তত ভাল আপনি কাজ পাবেন। 

এটা মোটেও কঠিন কোন ব্যাপার নয়। আপনি ইউটিউব কিংবা বই পড়ে মোটামুটি ভালো ইংরেজি আয়ত্ত করে ফেলতে পারবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং করার সাথে সাথে ধীরে ধীরে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে। তাই মোটেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। 

আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আগ্রহ থাকে তবে youtube এ ঘাটাঘাটি করুন। আপনি এমন অনেক ফ্রিল্যান্সারদের ভিডিও পাবেন যারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ দিয়ে ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলে কাজ করার জন্য আপনার এই সম্পর্কে আগে জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। আপনার যে সেক্টরে দক্ষতা বেশি আপনি সেই সেক্টর নিয়েই আগাতে পারেন। 

এখনকার দিনে এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা একসাথে অনেকগুলো সেক্টর নিয়ে কাজ করছে। আমাদের দেশেই আপনি দেখতে পারবেন অসংখ্য ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরা এজেন্সি খুলে নিয়েছে। যেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সেবা দিয়ে থাকে।

বিশ্বে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সুগম পথ হলো এখন ফ্রিল্যান্সিং। আসুন এবার জানা যাক ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রকারভেদ গুলোঃ

  • কপিরাইটিং
  • কোডিং, প্রোগ্রামিং, ডেভেলপিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • ব্র্যান্ডিং ও পি আর
  • এসইও প্রফেশনাল
  • এইচ আর ম্যানেজমেন্ট
  • ক্যাড ও থ্রিডি মডেলিং
  • ট্রানসলেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট
  • এডিটিং

এই প্রতিটি সেক্টরের আবার ভিন্ন ভিন্ন শাখা রয়েছে। যেমন কপিরাইটিং এর ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট কপিরাইটিং বা ব্লগ কপিরাইটিং এই ধরনের শাখা আপনি পেয়ে যাবেন। তেমনি প্রত্যেকটি সেক্টরের আপনি বিভিন্ন আরও শাখা পাবেন। 

আপনার আপনাকে যে বিষয়ে দক্ষ মনে হয় আপনি সেই বিষয়ে আরো বেশি প্র্যাকটিস করবেন। এবং পরবর্তীতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর নতুন নতুন শাখা গুলোতে দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখা যাবে আপনি অনেক বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন এবং একসাথে অনেকগুলো সেক্টরে নিজের বিস্তার ঘটাতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন

ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট কিভাবে খুলবো জানার আগে আপনার জানতে হবে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। ইন্টারনেট এর ব্যবহার এখন সর্বত্রই। আর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম যে জিনিসটা দরকার হবে তা হল ইন্টারনেট। 

সহজে-ফ্রিল্যান্সিং-অ্যাকাউন্ট-খোলার-নিয়ম

কারণ কাজ খোঁজা এবং কাজ তৈরি করা তারপর ক্লাইন্টকে সাবমিট করা সবকিছুই আপনার করতে হবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে। আর এই কারণে আপনার ইন্টারনেট প্রয়োজন হবে। এবং আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পারেন এটিও আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে।

বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে বা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার professionalism মার্কেটিং করতে পারবেন। এছাড়া আপনাকে একটি প্রফেশনাল একাউন্ট তৈরি করতে হবে। নিজের দক্ষতা যত বেশি আপনি মার্কেটিং করবেন তত বেশি মানুষ জানতে পারবে আপনি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং এক্সপার্ট। এতে করে আপনি খুব দ্রুত ক্লাইন্ট পাবেন। 

ইতিমধ্যেই আপনি জেনে গেছেন ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো ফিল্ড বা সেক্টর রয়েছে। আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনি কোন সেক্টরে বেশি ইন্টারেস্টের এবং কোন সেক্টরে আপনার দক্ষতা সবচেয়ে বেশি। 

আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এই সকল সেক্টর নিয়ে অনেক পোস্ট দেখতে পারবেন। যেখানে ক্লায়েন্টরা পোস্টে লিখে থাকে যে তারা কি কি স্কিলস চাচ্ছে। এই পোস্টগুলো ঘেটে আপনি বুঝতে পারবেন ওই সেক্টরে কাজ করার জন্য আপনার কি কি স্কিল বাড়াতে হবে। 

নিজের ফিল্ড খোঁজা হয়ে গেলে এবার আপনাকে একটি বায়োডাটা বা প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনার বায়োডাটা বা আপনার প্রোফাইল হল আপনার পরিচয়। এবং এই বায়োডাটা তে আপনার স্কিলগুলো এমন ভাবে সাজাবেন যাতে করে ক্লাইন্ট দেখামাত্রই আকৃষ্ট হয়। 

আপনার প্রোফাইলে ঢুকা মাত্র সর্বপ্রথম যে জিনিসটা ক্লাইন্টের চোখে পড়বে তা হল আপনার ছবি। তাই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সব সময় ফরমাল ছবি ব্যবহার করবেন। আপনার স্কিল অনুযায়ী ডেসক্রিপশন তৈরি করবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কম্পিটিশন অনেক বেশি। 

অসংখ্য প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। তাদেরকে টপকাতে হলে অবশ্যই আপনার বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। আর ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনাকে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় করতে হবে না।

আপনার যদি ধৈর্য থাকে আপনি ইউটিউব থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কিনতে পাওয়া যায়। এই কোর্সগুলো ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার জন্য খুব কার্যকরী। এভাবেই আপনি ধীরে ধীরে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের পথে আগাতে পারেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং শেখাটা খুব কঠিন কোন ব্যাপার নয়। আপনার যদি আগ্রহ থাকে এবং ধৈর্য থাকে আপনি অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। বর্তমানে আমরা সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। প্রতিনিয়ত ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নানারকম বিনোদনমূলক ভিডিও দেখে থাকি। 

একইভাবে আপনি ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইউটিউবে নানা ফ্রিল্যান্সিং শেখার ভিডিও দেখতে পারেন। এই ভিডিও গুলো খুব কার্যকরী। বিভিন্ন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররাই এই ভিডিওগুলো দিয়ে থাকে। 

আপনার যদি ধৈর্য থাকে আপনি ধীরে ধীরে এই ভিডিও গুলো দেখে প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন রকমের অনলাইন কোর্স কিনতে পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর এর উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা কোর্স পাওয়া যায়। এই কোর্সগুলো কিনার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। 

আর আপনি যদি হাতে-কলমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হল অফলাইন কোর্স। অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে Udemy, Creative IT Institute, E-Shikhon অন্যতম। এমন আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসবে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা

ফ্রিল্যান্সিং এর নানা সুবিধা রয়েছে। যেহেতু এটি একটি মুক্তি পেশা তাই এর সুবিধা বলে শেষ করা যাবে না। চলুন জেনে নেওয়া ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাঃ

  • কাজের স্বাধীনতা
  • নিজের বেতন নিজে ঠিক করা
  • সময়ের স্বাধীনতা
  • অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ
  • নিজের টিম তৈরি করে কাজ করার সুযোগ
  • পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ
  • নিজের মন মত কাজের পরিবেশ তৈরি করে নেওয়া
  • বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া
  • কমিউনিকেশনের দক্ষতা বৃদ্ধি পাওয়া
  • প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়ে জানতে পারা

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা

সুবিধার পাশাপাশি এই সেক্টরের কিছু অসুবিধা রয়েছে। তবে এই অসুবিধা গুলো অনেকটাই শারীরিক। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

  • ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় ধরে এক জায়গায় বসে কাজ করার জন্য শারীরিক কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন কোমর ব্যথা করা, ঘাড় ব্যথা করা ইত্যাদি।
  • আবার ফ্রিল্যান্সাররা দীর্ঘ সময় ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে বেশিরভাগ সময় তাদের চোখে সমস্যা দেখা দেয়।
  • রাত জেগে কাজ করার জন্য ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন হয়। ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়।

লেখকের মন্তব্যঃ ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার নিয়ম

আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা ও কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খুলবো। এই পোস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কিছু উপায়ও আপনাদের জানিয়েছি। যারা ঘরে বসে টাকা আয় করতে চাচ্ছেন তারা এই পেশা থেকে বেছে নিতে পারেন। 

এই পেশাতে আপনি যেমন স্বাধীনতা পাবেন তেমনি খুব ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবি। আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩